লাইফ স্টাইল।। বড়া খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(১৯/১১/২০২৩) রোজ: রবিবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল।। বড়া খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
কালকে বিকেলের দিকে বাসা থেকে যখন বের হয় তখন একটা বড়ো ভাই বললো চলো বড়া খেতে যাই। ভাইয়া সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। দশ দিনের ছুটিতে এসেছেন। তাই কালকে বিকেলে বলবো চলো আজকে আমরা বড়া খেয়ে আসি। বড় ভাইয়ের কথা না ফেলতে পেরে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলাম বড়া খাওয়ার জন্য। যদি কালকে ছিল শনিবার আমাদের গ্রামের হাটছিল। কিন্তু গ্রামের হাটের পাশ দিয়ে আমরা চলে গেলাম হেমায়েতপুরের দিকে বড়া খাওয়ার জন্য। আমাদের এলাকায় একজন বড়া ভাজায় অনেক সুনাম ছড়িয়েছেন । তার বড়া খেতে খুবই স্বাদ লাগে। অনেক গ্রাম থেকে ছুটে আসে তার বড়া খাওয়ার জন্য। তার নাম হচ্ছেন হায়দার।নামকরা বরাবাজেন তিনি। তিনি সপ্তাহে চার দিনহাটে বসেন বাকি তিন দিন অনান্য কাজ করেন। তবে কাল শনিবার হাওয়ায় ঐদিন তার কোন হাঁটছিল না। যে কারণে তার বড়াটা আমাদের খাওয়া হয়নি। তবে বড়া খাওয়ার নেশা যেহেতু উঠে পড়েছে তাই বড়া খাওয়ার জন্য বের হয়ে গেল। আমরা হেমায়েতপুরে গিয়ে দেখি সেখানে বড়া ভাজছে। ভাবলাম যেহেতু এত দূরে চলে এসেছি তাই গরম গরম বড়াই খাওয়া যাক। যদিও কালকে হেমায়েতপুরে হাটছিল না তবুও সেখানে বড়া ভাজ ছিল।
এরপরে আমরা সেখান থেকে ২০০ গ্রাম বড়া এবং তিনটা সিঙ্গারা ও চপ নিয়ে নিলাম। আমাদের মোট বিল হয়েছিল ৭০ টাকা।আসলে গরম বড়া পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে বনানী আমরা রওনা হলাম। যদিও ভাইয়া বলছিল এখানেই আমরা খেয়ে দেয়ে কিন্তু আমি বললাম না চলেন সামনে একটা নিরিবিলি জায়গা আছে সেখানে বসে খাওয়া যাক এতে খুবই ভালো লাগবে। তাই সেখান থেকে বড়া নিয়ে আমরা চলে আসলাম।
আসলে এরপর আমরা সেখান থেকে বড়া নিয়ে গাড়িতে উঠলাম তখন একটু শীতের আভাস পেলাম। যদি আমি আগে থেকে হরি পরে গিয়েছিলাম যাতে আমার কোন সমস্যা হয়েছে না কিন্তু আমার সাথে আরও যে দুজন ছিল তারা শীতে কাঁপছিল। আমরা চলে আসলাম একটা ব্রিজের পাশে। সেখানে এক পাশে গাড়ি পার্কিং করে ভাই করে নেমে আসলো । এরপর আমরা ঘাসের উপর বসে পড়লাম । শীত শীত ভাব আবার গরম বড়া খেতে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এমন একটা সময় অতিবাহিত করতে পেরে সেখান থেকে ক্যামেরাবন্দি না করলে যেন মনের মধ্যে একটা অতৃপ্ত থেকে যায় । তবে সেখানে আমাদের মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছিল। তারপর বড়া খাওয়া শেষ করে আমরা খুব দ্রুত বাসায় ফিরে চলে আসি।
আমি আজ কয়েকটি দিন খুবই ব্যাস্ততার সময় পার করছি। তারপরেও আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করছি। এটাই আমার ভালো লাগা আপনাদের ভালবাসা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
ভাজা-পোড়া মুখরোচক খাবার। শীতের সন্ধায় বড়া বা ওই জাতীয় খাবার বেশ মজার। আপনি বড় ভাইয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে, বড়া খাওয়ার অভিযানে বের হয়ে ,হেমায়েতপুরে গিয়ে সফল হয়েছেন। এবং নিরিবিলি জায়গায় ঘাসে বসে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছেন, যেনে ভাল লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সব জায়গায় মনে হয় একজন করে সুস্বাদু বড়া ভাজার লোক থাকে তাঁর মতো বড়া কেউ ভাজতে পারে না।আমাদের এখানেও নাম করা বড়া ভাজে এক ব্যাক্তি।সবাই ওনার বড়া খেতে আসেন দূরদূরন্ত থেকে।আমিও খাই মাঝে মাঝেই। ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীত অনুভব হয় এখন।বাইরে গেলে শীতের পোশাক পড়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।ধন্যবাদ সুন্দর বড়া খাওয়ার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আমরা সবাই জানি আমাদের এলাকায় যিনি বড়া ভাজেন তিনার বড়া অত্যন্ত সুস্বাদু। পেঁয়াজ বড়া খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সময় বন্ধুদের সাথে একত্রে বসে এই ধরনের জিনিস গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাই।
এভাবে বড়া আছে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। বৃষ্টির দিনে অথবা শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বড়ার তুলনা হয় না। সিঙ্গারা সহ অন্যান্য ভরা ৭০ টাকার কিনলেন,একটু ভাগ ও তো দিতে পারতেন।লোভ লাগাচ্ছেন আমাদের😏।
আপু অবশ্যই বানারের দিক থেকে সতর্ক থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হায়দার সাহেবের নাম আমিও শুনেছি এবং ওনার ভাজা বড়াও আমি খেয়েছি। বেশ ভালই বড়া ভাজেন ওনি। যাইহোক হায়দার সাহেবের বড়া না পেয়ে আপনারা হেমায়েতপুর বাজারে গিয়ে বড়া কিনে আনলেন যেন ভালো লাগলো। আশা করি হেমায়েতপুর বাজারের বড়াও খেতে ভালো ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া বড়া খুবই স্বাদ ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দারুন মজাদার খাবার। শীতের মধ্যে কয়েকজন মিলে এমন গরম গরম বড়া খেতে দারুণ লাগে। তাও আবার মাঠের মধ্যে ঘাসের উপর বসে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার বড়া খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য।