লাইফ স্টাইল।। ছুটির শেষ দিন ভাইয়া চলে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৮/০১/২০২৪) রোজ: সোমবার
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল।। ছুটির শেষ দিন ভাইয়া চলে যাওয়ার মুহূর্ত।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
এইতো ৪ তারিখ বৃহস্পতিবারের ভাইয়া ছুটি কাটানোর জন্য বাড়িতে এসেছিল। আর আজকেই খুব সকালে ছুটি শেষ করে বাড়ি ত্যাগ করে চাকরিতে চলে গেল। আসলে ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক গভীর। আমাদের দুজনের অনেক মিল সেই ছোটবেলা থেকে যেখানেই যায় এক সাথেই যাই। এভাবে ভাইয়ার চাকরি হয়ে গেল। তবে যদিও সে এখন কর্মজীবনে জড়িত হয়ে গেছে তারপর ও আমাদের ভালোবাসা কমে নাই অর্থাৎ আরো গভীর হয়েছে। ভাইয়া ছুটিতে এসেছিল চার দিনের চার দিন সে আমাকে ছাড়া কিছু বোঝেনা। দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে এক বিছানায় ঘুমায় যেখানে যাই একসাথে ঘুরেছি। বেশি মজাদার একটা সময় পার করেছি আমি। আজকে সকাল ভোর ৬ টাই ভাইয়ার গাড়ি ছিল। তাই আমি আর ভাইয়া আজকে সকাল ভোর ৪ টার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়। এরপরে আমরা বাসা থেকে মোটরসাইকেল করে ৫: ৩৮ মিনিটের দিকে বের হয়। ভাইয়া গাংনী বাজার থেকে গাড়িতে উঠবে বাজার থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব খুব একটা বেশি না মোটরসাইকেলে গেলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। তবে আজকে আমরা যখন সব খুব সকালে বের হয়েছিলাম রাস্তায় দেখলাম অনেক কুয়াশা কুয়াশা কিছু দেখাই যাচ্ছে না। কিভাবে খুবই দীর্ঘ অধিকার ড্রাইভ করে গাংনীতে পৌঁছালাম। গাড়িতে পৌঁছে দুই ভাই একটা সেলফি তুললাম। আমি ড্রাইভ করেছিলাম তাই আমি অনেক প্রটেক্ট নিয়েছিলাম। তবে আজকের এমন কুয়াশা আমি আগে কখনো দেখিনি। এরপরে আমরা গালি দিতে ঠিক ৬:০০টার সময় পৌঁছালাম।
ভাইয়া এস বি সুপার ডিলাক্স গাড়ির টিকিট ক্রয় করেছিল। আমরা ঠিক ছয়টার সময় গান-বাজারে পৌঁছে গিয়ে দেখলাম কাউন্টার এখনো খোলে নাই তখন বাজে ঠিক ছয়টা। এরপরে সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে দেখলাম কাউন্টার খুলে দিল।
গাড়িটা আসার কথা ছিল ৬:১৫ মিনিটে। কিন্তু গাড়িটি একটু লেট করে কাউন্টার এসে পৌঁছেছিল ৬: ২৩ মিনিটে । ভাইয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আমি একটু ভিতরে গিয়ে দেখলাম গাড়ির পুরো ছিট ফাঁক। কারণ খুব সকালে এসডি সুপার ডিলাক্সের এই গাড়িটি গাংনী থেকে ডাইরেক্ট ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভাইয়ার সিট ছিল বি-1। খুব ভালো ছিট পেয়েছিলেন ভাইয়া। গাংনী থেকে যাত্রী ছিল চারটি। এরপরে ঠিক ০৬: ২৮ মিনিটের দিকেই গাড়িটি রওনা দিল ঢাকার উদ্দেশ্যে।
যাওয়ার সময় অনেক কুয়াশা পার করে আমি গিয়েছি তাই ভাবলাম গাংনিতে কিছুক্ষণ থেকে যায়। কারণ কুয়াশা একটু কমলে আমি বাসার দিকে রওনা দিব। এরপরে আমি প্রায় ০৬:৪৫ এর দিকে বাড়িতে রওনা দিলাম। তবে তখনো রাস্তায় বেশ কুয়াশা ছিল উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আজকে কুয়াশায় মোটরসাইকেল চালিয়ে আমার ঠান্ডা লেগে গেছে। সত্যি ছিল অনেক বেশি কুয়াশা তো নয় যেন মনে হচ্ছিল ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে। সবশেষে ভাইয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে একা একা বাড়িতে ফেরার বেদনা । এটা খুবই শূন্যতা। আর এখন আমার মনে হচ্ছে আমি বড় বড্ড একা হয়ে গেছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
৬:৪৫ মিনিট হলেও দেখে মনে হচ্ছে যে মাঝরাত। রাস্তায় খুবই কুয়াশা ছিল বোঝা যাচ্ছে। তাহলে যাওয়ার সময় আপনাদের অবস্থা তো আরো খারাপ হয়েছিল। থাক বাস খুব বেশি লেট করে নি। অল্প সময় পরেই ছেড়ে দিয়েছে জন্য আপনাকেও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় নি। শীতের সকালে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে লোকজন কোথাও যেতে চায় না। এজন্যই বাস একদম ফাঁকা ছিল। যাইহোক ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন যে বাস আসতে খুব একটা বেশি দেরি করে নাই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।
ছুটির শেষে আপনার ভাইয়া চলে যাওয়ার মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে ব্লগ আকারে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনজন যখন পাশে থাকে তখন বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মধ্যে বিরাজমান থাকে। যাইহোক আপনি তাকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন পাশাপাশি সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তাই ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া প্রতিনিয়ত মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।