বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। পুজো দেখা,ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে কয়েকদিন বেশ ভালো সময়ই কাটল।এর মধ্যে আবার পুজোর অষ্টমীর দিন বিকেলে দেখা হয় আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, আবৃত্তির সাথে । প্রায় দশ মাস পর ওর সাথে দেখা!
ক্লাস সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত আমরা ছিলাম সারাক্ষণের ছায়া সঙ্গী।এমনকি আমাদের স্কুলের রোল নম্বরও সব সব এক সিরিয়ালে থাকত। পড়ালেখার গল্প থেকে শুরু করে মুভি, ড্রামা যেকোনো টিভি শো এমনকি বাড়িতে কিংবা আশে -পাশে কোথায় কি হলো এই সব ধরনের গল্প ওর সাথে শেয়ার না করলে যেনো পেটের ভাত হজম হতো না! খারাপ লাগা, ভালো লাগা, রাগ -অভিমান সবকিছুই ওকে জানাতে হবে। ওর ক্ষেত্রেও অবস্থা একই রকম। এমনকি আমাদের কোনো কিছু বুঝানোর জন্য চোখের ইশারায় যথেষ্ট।
কিন্তু স্কুল শেষ করার পর কলেজ চয়েজে দুজনের আসে ভিন্ন দুটি কলেজ। ও ভর্তি হয় ঢাকার একটি কলেজে আর আমি বগুড়ায়। এজন্য এখন আরা দেখা -সাক্ষাৎ খুব একটা হয়না। এরকমটা অবশ্য আমাদের বন্ধু -বান্ধবদের ক্ষেত্রেই হয়েছে...এক একজন একেক জায়গায়। তাই আমরা এই বড়ো বড়ো ছুটির দিনগুলির দিকে তাকিয়ে থাকি।কেনো না এরকম ছুটিতেই একটুখানি সুযোগ পাওয়া যায় সেই আগের দিনের মতো সব বাইরে থাকা পুরনো বন্ধু -বান্ধবরা মিলে সময় কাটানোর।
এবারো তেমনি হয়েছে। অষ্টমীর বিকেলে বসে বসে ফনে স্ক্রল করছিলাম ( যেহেতু সবসময়ই ঠাকুর দেখতে বের হই রাতে)। এমন সময় দেখি আমার বাড়িতে এসে হাজির আমার বান্ধবী আবৃত্তি ও অনন্যা। আমিতো ওদের দেখে স্পেশালি আবৃত্তিকে দেখে পুরোই সারপ্রাইজড এজ অনন্যার সাথে বগুড়ায় প্রায়ই দেখা হয়। তারপর বেশ কিছুক্ষন আমার বাসায় বসে গল্প-গুজব করলাম। এরপর বেরুলাম তিনজন ঘুরতে।
প্রথমেই গেলাম আমাদের চেনা-পরিচিত একটি কেফেতে।সেখানে গিয়ে অনেকটা সময় ধরে তিনজনে আড্ডা দিলাম। কতো রকমের গল্প! এতদিনের জমিয়ে রাখা সব গল্প যেনো একদিনেই সব বলে ফেলেছি! গল্প করতে করতেই এসে হাজির হলো আমাদের অর্ডার করা খাবার-দাবার।
এরপর খাওয়া -দাওয়া শেষে বের হলাম ঠাকুর দেখতে। কেফের ওই রাস্তাতেই এবার বেশ কয়েকটা পুজো হচ্ছিলো। সেগুলোয় গেলাম দেখতে।
এরপর আরো অনেকক্ষন ঘোরাঘুরি শেষে তিনজনেই অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই অবশেষে ওই দিনের মতো ইস্তফা দিয়ে ফিরে এলাম নিজেদের বাড়িতে।
অনেক দিন পর এমনভাবে সময় কাটাতে পেরে খুবই ভালো লাগছিলো।
আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়বার জন্য।
অনেকদিন পরে বান্ধবীদের সাথে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। আবার তিনজন একসাথে ক্যাফেতে গিয়ে মজা করেছেন দেখছি। সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর মন্তব্য লিখবার জন্য!
যতদিন যাবে কারণে অকারনে এমন দেখা সাক্ষাত আরো কমতে থাকবে আপু। এটাই জীবন। কারণ আমাদের জীবনে এমনটাই হয়েছে। পাশে থাকা বন্ধুরা আজ অনেক দূরে, যে যার পেশায় কর্মস্থানে। যাইহোক ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরি মুহূর্ত।
জি ভাইয়া, ঠিকই বলেছেন,এমনই বোধয় হয়। আবার যে নেক্সট কোন ছুটিতে দেখা হবে সবার সাথে!
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। অনেকদিন পর তিন বান্ধবী একসাথে হয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে সত্যি বেশ ভালো লাগছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আপনারা সবসময় একসাথে থাকবেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া। পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম!
স্কুলের বান্ধবীর সাথে ঘোরাঘুরি বেশ ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।আসলে জীবনে স্পেশাল কিছু বন্ধু থাকে কিন্তুু পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় আলাদা হয়ে যেতে হয়।কিন্তুু কখনো সেই বন্ধুকে কিংবা তার সাথে দুষ্ট মিষ্টি সময় গুলোকে ভোলা যায় না কোন ভাবেই।ভালো লাগলো খুব পোস্ট টি পড়ে।একটু সময়ের জন্য হারিয়ে গেছিলাম নিজের অতীতে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর বলেছেন মামি। ধন্যবাদ।