শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী।শুরুতেই আমার পক্ষ থেকে সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। দীর্ঘ দুই মাস পর পুজোর ছুটি কাটাতে গতকাল বাড়িতে এলাম। কাজেই এই পুজোর ছুটির আনন্দ যেনো আরো দিগুন হয়ে গেছে আমার কাছে। অনেক দিন পর বাড়িতে আসা মানেই একগাদা কেনা-কাটার লিস্ট সঙ্গে করে আনা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।বরং পুজো উপলক্ষে এই লিস্টটা যেনো একটুখানি লম্বাই হয়ে গেছিলো।
পুজোর আগে লাগালাগি কলেজ -কোচিং এর ব্যস্ততা থাকায় নিজে গিয়ে তেমন কিছু কেনা -কাটা করতে পারিনি। তবে বাড়িতে আগে থেকেই আমার জন্য কিছু কিছু জিনিস কিনে রাখা হয়েছিল।বাড়িতে আসার পর সেগুলো যখন দেখলাম, তখন তো আমার আহ্লাদে আটখানা হওয়ার মতো অবস্থা! কিন্তু তবুও নিজে না গেলে কি আর পুজোর শপিং কমপ্লিট হয়?!তাই বিকেল বেলা আমি, আমার দাদা আর আমার এক বোন বেড়িয়ে পড়লাম মার্কেটের উদ্দেশ্যে।
খুব যে বেশি কেনা- কাটা বাকি ছিলো তা নয় তবে টুকিটাকি কিছু ছোট জিনিসের জন্য যাওয়া। প্রথমেই গেলাম ওড়নার দোকানে।কিন্তু কপাল খারাপ,যে রঙের ওড়না খুঁজছিলাম তা কয়েকটা দোকান ঘুরেও খুঁজে পেলাম না। আমি এক রকম আশাই হারিয়ে ফেলেছিলাম, ভাবছিলাম ফিরে আসব কিনা! এমন সময় আমার বোনটা বলল যে," আচ্ছা চলতো লাস্ট ওই কর্নারের দোকানটা দেখে আসি।" আর যাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছিলো না তবু্ও ওর জোরাজুরিতেই গেলাম ওখানে। দোকানে এক আন্টি সব কিছু দেখা-শুনা করছিলেন। তো ওনাকে বলা মাত্রই উনি বললেন যে এই রঙের ওড়না বোধহয় আছে কিন্তু একটু খুঁজে দেখতে হবে।আমরা তাতেই রাজি হলাম। অবশেষে কিছুক্ষন পর তিনি খুঁজে বের করলেন আমার কাংখিত রঙের সেই ওড়নাটি। দেখেই মন ভালো হয়ে গেল!
এরপর দামদর মিটিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম একটি চুড়ির দোকানে। এখানে অবশ্য দ্রুতই পছন্দ মতো এক সেট চুড়ি পেয়ে গেলাম।
এরপর আরো কিছু জিনিস কিনে বেরিয়ে এলাম মার্কেট থেকে। মার্কেটের পাশেই একটি খাবারের দোকান ছিলো যেখানে চপ,নুডলস বিক্রি হচ্ছিলো।তো দোকান দেখেই দাদা জিজ্ঞেস করল, "কিরে কিছু কি খাবি তোরা? " যেহেতু বিকেল বেলা,অনেকটাই হাঁটা - হাঁটি হয়েছে তাই বললাম যে খেলে মন্দ হয় না! তো ওই দোকানে গিয়ে বসে পড়লাম তিনজনে।আসলে এই দোকানের সব খাবারই আমার ভীষণ প্রিয়। এটা দাদা ভালো করেই জানে এবং তাই প্রতিবার আমি বাড়িতে এলেই আমার জন্য এখান থেকে খাবার নিয়ে আসে। কিন্তু কখনো এখানে এমন দোকানে বসে থেকে খাওয়ার সুযোগ হয়নি।এবারই প্রথম,তাই যেনো আরো বেশি উপভোগ করছিলাম সব কিছু। আমরা প্রথমেই খেলাম চপ এবং তারপর খেলাম নুডলস।
বরাবরের মতোই অসাধারণ খাবারের টেস্ট! নিমিষেই সবটুকু শেষ করলাম। এরপর খাওয়া -দাওয়া শেষে গল্প করতে করতে তিনজনে রওনা দিলাম বাড়ির পথে।অনেক দিন পর ভাই-বোন মিলে এমন সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগছিলো।
পুজো মানেই সব ভিন্ন রকমের আয়োজন। পুজো উপলক্ষে অনেক শপিং করেছেন বুঝতে পারছি আপু। আসলে ব্যস্ততা থাকলে অনেক সময় শপিং করা হয়ে ওঠে না। যাইহোক ভাই বোন মিলে বেশ ভালোই শপিং করেছেন। আর শেষে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। পুজো ভালো কাটুক এই প্রার্থনাই করি আপু।
হ্যাঁ ধন্যবাদ, আপু। আসলেই বেশ ভালো সময় কেটেছে।