বান্ধবীর বোনের বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি একটি নতুন পোস্ট।
গতদিন বিকেলে গিয়েছিলাম বান্ধবী নীলার সাথে কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে মার্কেটে। কেনাকাটা মূলত সব ওরই, আমি সাথে গিয়েছিলাম বেচারিকে সঙ্গ দিতে ( সাথে অবশ্য নিজেরো কিছু ছোট-খাটো জিনিস কিনতে)।
তো মার্কেটে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নেওয়া। কারন সকলবেলা শুনি যে, নীলার আম্মু ওকে কল দিয়ে বলেছেন যে আগামী শুক্রবার ওর ফুফাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছে এবং সেখানে ওকে যেতে হবে।
স্বাভাবিকভাবেই পরিবারে কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক হলে সকলে আনন্দ - উৎসবে মেতে ওঠে। খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড় কেনা, নতুন আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়া এগুলো তো লেগেই থাকে।আর বড়ো ভাই-বোনদের বিয়েতে ছোট ভাই-বোনদের আনন্দ তো সর্বোচ্চ হয়!কাজেই ছোট বোন হিসেবে নীলার আনন্দও যেনো আকাশ ছুঁয়েছে!
তো আম্মুর সাথে কথা বলার পর পরই আমাকে কল দিয়ে এই খুশির সংবাদটি জানায় এবং আবদার করে যে বিকেলে ওর সাথে যেতেই হবে মার্কেটে। বান্ধবীর আবদার বলে কথা সহজে তো আর ফেলা যায় না। তাই রাজি হয়ে গেলাম সাথে সাথেই। মিশন আপুর বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটা!
মার্কেটে যাওয়ার জন্য দুপুরে কোচিং শেষে দুজনে উঠে পড়লাম একটি রিকশায়।যেতে হবে নিউমার্কেটে কিন্তু
পথ যেনো আর এগোচ্ছে না!সামনে গাড়ির দীর্ঘ লাইন, ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েছি সকলে।বসে বসে কী আর করার ... নীলার কাছ থেকে শুনছিলাম ওর যাবতীয় পরিকল্পনা।কথা শুনতে শুনতে একসময় দেখি যে অবশেষে আমাদের রিকশাটি চলতে শুরু করেছে।এরপর অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই গিয়ে পৌঁছলাম নিউমার্কেটের সামনে।
কিছু দিন আগেই নীলা কয়েকটি জামা কিনেছিল এখান থেকে। কিন্তু সেগুলোর সাথে ম্যাচিং স্কার্ফ কেনা বাকি ছিল।তাই আমরা প্রথমেই গেলাম স্কার্ফের দোকানে।আমার ধারণা জামা কিনতেও বোধহয় ওর ওতো সময় লাগেনি যতটা লাগলো ম্যাচিং স্কার্ফ কিনতে! প্রায় সবগুলো দোকান ঘুরে দেখার পর অনেক কষ্টে স্কার্ফগুলো খুঁজে বের করেছি দুজনে।
এরপর গেলাম কসমেটিকস এর দোকানে। বড় বোনের বিয়েতে ছোট বোন সাজ-গোজ করবে না এ তো হতেই পারে না। কাজেই সেখানেও কেনা হলো একগাদা জিনিসপত্র।ওগুলো কিনে গেলাম ঘড়ির দোকানে। নীলার একটি ঘড়ি বেশ কিছু দিন হলো নষ্ট হয়েছিল, সেটিই গেলাম সারাতে।ঘড়ি সারাতে বেশ অনেকটা সময়ই লাগল।এরপর ঘড়ির দোকান থেকে গেলাম আরো বেশ কয়েকটি দোকানে। ছোট ভাইয়ের জন্য শার্ট কেনা এবং আমারো কিছু ছোট কেনাকাটা ছিল সেগুলো কিনে অবেশেষে বের হলাম মার্কেট থেকে।
এত ঘোরা-ঘুরি শেষে দুজনেই বেশ ক্লান্ত। কাজেই কিছু একটা তো খেতে হয়, না খেলে আর চলছে না।তাই দুজনেই দাড়িয়ে পড়লাম রাস্তার পাশে এক ফুচকার দোকানের সামনে। ওখানে দাড়াতেই দেখি আমাদের আরো এক বান্ধবী ওখানে দাঁড়িয়েছে ফুচকা খেতে।এরপর আরকি?তিনজন একসাথে খাওয়া -দাওয়া, আড্ডা শেষে ফিরে এলাম মেসে।
ঘুরে -ফিরে বেশ ভালোই কাটলো সময়গুলো!
ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়বার জন্য।
বান্ধবীর বোনের বিবাহ উপলক্ষে আপনারা বাজার থেকে সুন্দর কেনাকাটা করেছেন এবং পাশাপাশি ফুচকা খাওয়ার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত ঘটিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তের ফটোগুলো এবং উপস্থাপনা। আর এই থেকে নতুন কিছু সম্পর্কে ধারণা পেলাম।
দারুন কেনাকাটা করেছেন আপু। আপনাদের এই কেনাকাটার মুহূর্তটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন আমিও ছিলাম আপনাদের সাথে। আমারও বেশ ভালো লাগে বাইরে আপনজনদের সাথে কেনাকাটা করতে। অতঃপর ফুচকা খাওয়ার আয়োজন। এটা আমার খুব ফেভারিট কিন্তু আমাদের এদিকে বেশি একটা পাওয়া যায় না। অনেক সুন্দর ছিল আপনার ব্লগ।