নাটক রিভিউ // "X যখন শালি"
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ৩১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট "X যখন শালি" নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করছি। আশা করি নাটকটির রিভিউ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাটকটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:-
নাটকটির নাম | X যখন শালি। |
---|---|
পরিচালক | মহিন খান। |
অভিনয়ে | মাসুম বাশার,নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, মাইমুনা ফেরদৌস মম, রিমো রোজা খন্দকার ও অন্যান্য জন। |
ভাষা | বাংলা। |
দৈর্ঘ্য | ৪১ মিনিট। |
দেশ | বাংলাদেশ। |
নাটকটির সারসংক্ষেপ।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাটকটির শুরুতেই দেখা যায় যে আসিফের গার্লফ্রেন্ড রিয়া তার বড় বোনের বিয়ের খবর নিয়ে হাজির হয়েছে। খবরটা শুনে আসিফ খুশি হলেও রিয়া মোটেও খুশি ছিল না। বরং রিয়া আসিফকে চাপ দিতে লাগলো একটি চাকরি সংগ্রহের জন্য। যাতে রিয়ার বাবা সেই চাকরির সুবাদে রিয়ার সাথে আসিফের বিবাহ দিয়ে দেয়। রিয়ার কথা মতো আসিফ চাকরির জন্য চেষ্টা করতে লাগলো। হঠাৎ একদিন একটি মেয়ের সাথে আসিফের ধাক্কা লাগলো। তারপর মেয়েটির সাথে আসিফের কিছু কথা কাটাকাটি হলো। এক পর্যায়ে মেয়েটি আসিফকে একটি চাকরি দিতে চাইলো। চাকরিটি ছিল মেয়েটির হাজবেন্ড হয়ে আসিফকে ৬ মাস অভিনয় করতে হবে। ছয় মাস পর মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে মেয়েটিকে বিয়ে করবে। আর এই পর্যন্ত তাকে স্বামী হিসেবে অভিনয় করলে মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে আর অন্য কোথাও বিয়ে দিতে পারবে না। আর এই চাকরির বেতন হিসেবে আসিফকে ৫০০০০ করে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় মেয়েটি।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আসিফ মেয়েটির এই চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর আসিফ কোন চাকরি জোগাড় করতে পারেনি এটা জেনে রিয়া বেশ রাগান্বিত হয়। এরপর রিয়ার রাগ দেখে আসিফ তার ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির কথাটি বলার চেষ্টা করে কিন্তু রিয়া কোন কথা না শুনে থাকে ওই চাকরিটি করার আদেশ দেয়। তারপর আসিফ সেই মেয়েটির স্বামী হিসেবে অভিনয় করতে লাগলো এবং স্বামী হিসেবে সেই মেয়েটির সাথে তাদের বাড়িতে গেল। সেই মেয়েটির নাম ছিল মায়া। মায়া ও আসিফ যখন মায়ার বাবার সামনে দাঁড়ালো তখন মায়ার বাবা বেশ রাগান্বিত হলো এবং একপর্যায়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করতে গেল। কিন্তু আসিফ কৌশল করে মায়ার বাবাকে ম্যানেজ করে নিল। আসিফের কৌশলে মায়ার বাবা আসিফকে জামাই হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিল।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মায়ার বাবা আনন্দে মিষ্টি নিয়ে আসার জন্য আদেশ করলো রিয়াকে। রিয়া মিষ্টি নিয়ে এসে দেখলো তার বয়ফ্রেন্ড তার বড় বোনের স্বামী হিসেবে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেছে। আসিফও রিয়াকে দেখে হতবাক হয়ে যায়। এরপর থেকে রিয়া ও আসিফের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে। পাশাপাশি রিয়া সর্বক্ষণ আসিফ থেকে তার বড় বোনকে আলাদা করার চেষ্টা করে। এদিকে আসিফ চেষ্টা করে সত্য কথাগুলো রিয়াকে জানানোর। কিন্তু রিয়া কোনভাবেই আসিফের কথা আর শুনতে চাই না। এমনকি একদিন রিয়া বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। তারপর একদিন আসিফ রিয়াকে পুরো বিষয়টি খুলে বললো। ঠিক তখনই রিয়ার বড় বোন মায়া তার বয়ফ্রেন্ড এর নিকট থেকে জানতে পারে তার বয়ফ্রেন্ড অস্ট্রেলিয়া থেকে আর কখনোই দেশে ফিরে আসবে না।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এমন মুহূর্তে মায়া ঠিক করলো আসিফকে সে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবে। কিন্তু এদিকে আসিফ তার চাকরি থেকে রিজাইন দেওয়ার জন্য মায়ার কাছে এসেছিল। কিন্তু মায়া আসিফকে ছাড়তে রাজি হয় না। বরং সরাসরি বলে দেয় তোমাকে আমি বিয়ে করবো। কিন্তু বড় বোনের একথা একেবারেই মানতে নারাজ তার ছোট বোন রিয়া। একপর্যায়ে মায়া ও রিয়া দুজনেই আসিফকে বিয়ে করার জন্য পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া শুরু করলো। তখন এই বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য রিয়ার বাবাকে আসিফ পুরো ঘটনা খুলে বললো। তারপর পুরো ঘটনা শুনে মায়ার বাবা বললো আমি আসিফের মুখ থেকে শুনে সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবো। এদিকে মায়া ও রিয়া আত্মহত্যা করার জন্য আসিফকে ভালোভাবে শাসিয়ে দিল। দুজনার কথা শুনে আসিফ উভয় সংকটে পড়ে গেল। মায়ার বাবার কাছে আসিফ যদি রিয়াকে চায় তাহলে মায়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবে, আবার যদি মায়াকে চায় তাহলে রিয়া বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তারপর আসিফ মায়ার বাবার কাছে গিয়ে কারোর নাম উল্লেখ না করে চলে আসলো। তখন মায়ার বাবা সিদ্ধান্ত নিলো, সে নিজেই ঠিক করবে তার কোন মেয়ের সাথে আসিফের বিয়ে দিবে। তারপর মায়ার বাবা আসিফকে সামনে নিয়ে এবং দুই পাশে তার দুই মেয়েকে নিয়ে বললো আসিফের সাথে রিয়ার বিয়ে দিলে মায়া কষ্ট পাবে, আবার মায়ার সাথে আসিফের বিয়ে হলে রিয়া কষ্ট পাবে। তাই এর সমাধান তাদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিলাম। অর্থাৎ বিষয়টি নিয়ে এখন টস হবে। টসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত নিলো রিয়ার বাবা। তারপর রিয়ার বাবা যখন টস করা শুরু করল ঠিক তখনই নাটকটি শেষ হয়ে গেল।
নাটকটি সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
"X যখন শালি" নাটকটি একটি হাস্যরস বিশিষ্ট নাটক। নাটকটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি অংশ চমৎকার হাসির ঘটনায় পরিপূর্ণ। একই সাথে নাটকের অভিনয় অত্যন্ত নিখুঁত হয়েছে। আসলে এই নাটকের অভিনয় গুলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল। মনের বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে ক্ষণিকের আনন্দ পাওয়ার জন্য এ নাটকটি বেশ উপযোগী একটি নাটক। তাই আমি মনে করি, মনকে আনন্দে রাখতে হলে এই নাটকটি একবার হলেও সকলের দেখা উচিত।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.