আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। |
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, মধুর রস সম্পূর্ণ রুই মাছ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মজাদার লাগে। রুই মাছ আমাদের সকলের নিকট অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি মাছ। স্বাভাবিকভাবে রুই মাছ রান্না করে খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। এছাড়াও রুই মাছের ভুনা কিংবা রুই মাছ ভাজা খেতে অনেক মজাদার লাগে। আবার বিভিন্ন সবজির সাথে রুই মাছ রান্না করলে রুই মাছের স্বাদ আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে রুই মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই রুই মাছ রান্না আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। আমি অবশ্য রুই মাছ ভাজা খেতে খুব একটা পছন্দ করি না। বিভিন্ন সবজির সাথে যদি রুই মাছ রান্না করা হয় সে ক্ষেত্রে সে তরকারিটা খেতে আমি আরো বেশি পছন্দ করি। তাই আজ আমি সবজির সাথে রুই মাছ রান্নার রেসিপি আপনাদের নিকট শেয়ার করছি। আমি আশা করি আমার আজকের রুই মাছ রান্নার রেসিপিটি আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে। |
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক রুই মাছের রেসিপি তৈরির জন্য আমার ব্যবহারিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো :-
উপাদান | পরিমাণ |
রুই মাছ | ৫০০ গ্রাম |
কচু | ৩০০ গ্রাম |
আলু | ২০০ গ্রাম |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচ বাটা | ৩-৪ টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচের গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
পেঁয়াজের কুচি | ৩ টেবিল চামচ পরিমাণমতো |
রসুন বাটা | ১.৫ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
জিরা বাটা | আধা চা চামচ পরিমাণ |
দারচিনি | পরিমাণমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
রুই মাছের রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়াগুলো নিম্নে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলো:
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
আমি প্রথমেই রুই মাছ গুলো কেটে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখলাম। |
⬇️ ধাপ-০২:⬇️
রুই মাছের টুকরোগুলোর সাথে পরিমাণ মতো শুকনো মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুড়া এবং লবণ মাখিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিলাম। |
⬇️ ধাপ-০৩:⬇️
রুই মাছের সাথে আলু এবং কচু রান্না করার জন্য পরিমাণ মতো আলু এবং কচু কেটে বিশুদ্ধ পানিতে ধৌত করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখলাম। |
⬇️ ধাপ-০৪:⬇️
সয়াবিন তেল, দারচিনির গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে রুই মাছের টুকরো গুলো ভেজে নিলাম। |
⬇️ ধাপ-০৫:⬇️
কড়াই এর ভিতরে পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচ বাটা, পেঁয়াজের কুচি, রসুন বাটা, হলুদ ও ধনিয়া গুড়া, দারচিনি গুড়া, পরিমাণ মতো জিরা বাটা, লবণ ও অন্যান্য মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। কেটে নেওয়া আলু ও কচু গুলো কড়াইয়ের ভিতরে ঢেলে দিলাম। তারপর অল্প পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে দিলাম। একটি খুন্তি দিয়ে আলু এবং কচুগুলোর সাথে মসলাগুলো মাখিয়ে দিলাম। চুলায় আগুনের জ্বালানি দিয়ে কড়াই এর ভিতর আলু এবং কচুগুলো কষিয়ে নিলাম। |
⬇️ ধাপ-০৬:⬇️
কষিয়ে নেওয়া আলু এবং কচুগুলোর ভিতর পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি ঢেলে দিলাম। তারপর চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দিয়ে আলু ও কচুগুলো আধা সিদ্ধ করে নিলাম। |
⬇️ ধাপ-০৭:⬇️
আধা সিদ্ধ আলু ও কচুগুলোর মধ্যে ভেজে নেওয়া রুই মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর পুনরায় চুলায় আগুনের জ্বালানি দেওয়া শুরু করলাম। |
⬇️ শেষ ধাপ⬇️
কিছুক্ষণের মধ্যেই রুই মাছের রান্না সুসম্পন্ন হয়ে গেল। আর রান্না শেষে রুই মাছের তরকারি গুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে রাখলাম। তারপর রুই মাছের তরকারি গুলোর উপর অল্প পরিমাণ দারচিনির গুড়া ছিটিয়ে দিলাম। যাতে রুই মাছের রান্না করা তরকারি সুগন্ধযুক্ত হয়। |
⬇️ পরিবেশন⬇️
অত্যন্ত সুস্বাদু এবং রুচি সম্মত রুই মাছের তরকারি গুলো আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে পরিবেশন করা হয়েছিল। রান্না করা রুই মাছের তরকারি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারাও বাড়িতে রুই মাছের রেসিপি তৈরি করতে পারেন। |
সুপ্রিয় বন্ধুগণআমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের নিকট কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আবারো আগামী দিন নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ। |
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
রুই মাছ আমার অনেক ভালো লাগে।আপনি রুই মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে রুই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে।আপনার রেসিপি কালার দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি, আপু রুই মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টুইটার লিংক
রুই মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। কচু ও আলু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি দারুন ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপি তৈরির ধাপগুলো আমাদের সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
অতি চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ্ বেশ অসাধারণ হয়েছে রুই মাছের ঝোল রান্নার রেসিপিটি।রেসিপিটির প্রতিটি ধাপের পাশাপাশি পরিবেশনটি খুবই অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের ঝোল রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার লাগে।
আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রুই মাছের ঝোলের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপ গুলো আপনি খুবই সুন্দর গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ ভাইয়া লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো।রুই মাছ আমার কাছে ভিশন ভালো লাগে। ভাজি করলে মজাটা একটু বেশি ভালো হয়। রুই মাছের ঝোল রেসিপি টা অনেক ভালো লাগে। আপনি রান্নার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ভাইয়া আপনিও বাড়িতে ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পারেন। উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর করে সুস্বাদু রুই মাছের ঝোল তরকারি রান্না রেসিপি করেছেন। রিসিভের কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভকামনা রইল।
অত্যন্ত উৎসাহমুলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও ভাইয়া সুস্বাদু রুই মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। যা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কারণ রুই মাছ আমার প্রিয় একটি মাছ।আপনি সবজি দিয়ে রান্না করছেন দেখে স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্যতিগতভাবে রুই মাছ আমি অনেক বেশি পছন্দ করি আর এই রুই মাছ যদি আলু দিয়ে ঝোল রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ,মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া রুই মাছ খেতে আপনি পছন্দ করেন এটা জানতে পেরে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুস্বাদু রুই মাছের ঝোল তরকারি রেসিপিটি। দেখতেও বেশ ভালো লাগছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।