আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২ | আমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আমার পোষ্টের শুরুতে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই 'আমার বাংলা ব্লগ' কমিউনিটির ফাউন্ডার আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদাকে, আমি আরো আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সকল এডমিন এবং মডারেটরদেরকে। যারা দিন রাত আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এডমিন এবং আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রদ্ধেয় অভিভাবক @shuvo35 ভাইয়া কর্তৃক আয়োজিত "শেয়ার করো তোমার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতি" প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।বন্ধুগণ,আজ আমি আমার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো আপনাদের নিকট শেয়ার করছি। আমার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন পাওয়ার পিছনে অনেক লম্বা এবং চমৎকার ঘটনা রয়েছে। চলুন শুরু করি।


mobile-phone-g483368acb_1280.png

Source



২০০৬ সাল আমি তখন নবম শ্রেণীর একজন ছাত্র ছিলাম। ওই সময় আমরা সকলে মোবাইল ফোনের নাম শুনেছিলাম কিন্তু মোবাইল ফোনটি সকলের জন্য পাওয়া সহজ ছিল না। আমি নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় আমার মেজো মামার হাতে প্রথম মোবাইল ফোন দেখেছিলাম। আমার মেজো মামা ছিলেন বনবিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আমার আজও মনে আছে, তিনি ওই সময় কোরবানি ঈদের পরে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন এবং সঙ্গে মোবাইল ফোন এনেছিলেন। আর তখন মামার হাতে মোবাইল ফোন দেখে আমার খুব ইচ্ছে জাগলো যে আমি একটি মোবাইল ফোন কিনবো। কিন্তু ওই সময় মোবাইল ফোন হাতে পাওয়া খুবই কঠিন ছিল।দিনটি ছিল শুক্রবার। মামা মোবাইল ফোনটি আমাদের বাড়িতে রেখে জুম্মার নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিলেন। আর আমি ওই সুযোগে মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনের নামটি খাতায় লিখে নিয়েছিলাম। তখন ওই মোবাইল ফোনটির নাম ছিল 'বার্ড'। আপনাদের কাছে মনে হতে পারে বার্ড আবার মোবাইলের নাম হতে পারে নাকি, কিন্তু ওই সময় বার্ড নামের মোবাইল ফোনটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি বার্ড নামের মোবাইল ফোনটি কিনেছিলাম কিন্তু খুবই কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে।


woman-ge526dc5c3_1920.png

Source



আমার মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা প্রথমে আমি আমার আম্মুকে বলেছিলাম। আম্মু আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেনার কথা শুনে কথাগুলো আবার আমার আব্বাকে বলেছিল। কিন্তু মোবাইল ফোন কেনার কথা শুনেই আব্বা সাথে সাথেই নাকচ করে দিয়েছিলেন। ওই সময় আব্বা বলেছিলেন মোবাইল ফোন কিনলেই বাড়িতে ডাকাত আসবে, বাড়িতে বোমা মারবে এমনকি বাড়ি থেকে যেকোনো মানুষকে ডাকাতের দল তুলে নিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে চাঁদা আদায় করবে। আব্বা'র মুখে এ সমস্ত কথাগুলো শুনে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আসলে ওই সময়কার পরিবেশটা খুবই খারাপ ছিল। প্রতিদিনই প্রায়ই আমাদের এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাত আসতো। এমনকি প্রতিদিন রাত পাহারা পর্যন্ত করেও ঠেকানো যেত না ডাকাত দলদের। যাই হোক আব্বা'র মুখের কথা শুনে ভয় পেলেও আমার মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ছিল যে মোবাইল ফোন আমি কিনবোই-কিনবো। ওই সময় আমার কাছে প্রায় ১১০০ টাকা ছিল। টাকাগুলো আমি অনেকদিন ধরে খুবই কষ্ট করে গুছিয়েছিলাম। আর আমাদের বাড়িতে তখন অনেকগুলো হাঁস এবং মুরগি ছিল। আমি প্রতিদিন চুরি করে মুরগির ডিম দোকানে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করে দিতাম। ওই সময়ে হাঁস মুরগির ডিমের তেমন একটা ভালো দাম ছিল না। সর্বোচ্চ বারো টাকা হালিতে ডিম বিক্রয় করতাম। আর প্রতিদিন টিফিন খাওয়ার জন্য আমার বাড়ি থেকে আমি যে পরিমাণ টাকা পেতাম তার প্রায় সম্পূর্ণটাই জমানো শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমি জমানো টাকা ঠিকমতো ধরে রাখতে পারতাম না। কারণ নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং পিকনিক করার কাজে বেশ কিছু টাকা খরচ করে ফেলতাম। যাহোক ২০০৬ সালের মে মাস পর্যন্ত আমার কাছে টাকা জমা হয়ে গেল ১৯০০ টাকা। কিন্তু মোবাইল ফোন কিনতে লাগবে চার হাজার টাকা।


hand-gfb5509108_1280.png

Source



বাড়িতে আবার মোবাইল ফোন কেনার জন্য মায়ের কাছে বারবার বলা শুরু করলাম। অবশ্য আব্বা'র কাছে বলার কোন সাহস ছিল না। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত মাথায় বুদ্ধি এল ১৯০০ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনব। এই বুদ্ধিটা আমার আম্মু খুবই সমর্থন করলেন এবং আমাকে আরো ২০০ টাকা দিয়ে আমার ছোট আব্বা'র মাধ্যমে ২১০০ টাকা দিয়ে একটি খাসি ছাগল কিনে দিলেন। ওই সময় ছাগলটির মাংসের ওজন প্রায় ০৮ কেজির মতো ছিল। খুবই যত্ন সহকারে আমি ছাগলটিকে লালন-পালন শুরু করলাম। ছাগলটিকে মোটাতাজা করার জন্য আমি নিয়মিত ভাত, চাল, কাঁঠালের পাতা খাওয়াতাম। ছাগলটি আমার খুবই শিকারী হয়ে গিয়েছিল। আমার পিছন পিছন বেড়াতে ছাগলটি খুবই পছন্দ করত। আমি যদি একটি রুটি খেতাম তবে সেই রুটির প্রায় অর্ধেকটা ছাগলটিকে খাওয়ায়ে দিতাম। উদ্দেশ্য একটাই ছাগলটিকে মোটা-তাজা করতে হবে। ছাগলটি ছিল কালো রঙ্গের দেশীয় জাতের ছাগল। আমি ছাগলটিকে বেশি সময় দিতাম যার কারণে আমার আব্বা খুবই বকাবকি করতেন। তিনি সবসময় বলতেন এক ছাগল, আর মোবাইল কেনার নেশায় লেখাপড়া ওর শেষ হয়ে গেল।২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আব্বা জোর করেই ছাগলটি বিক্রয় করে দিলেন ৩৪০০ টাকা দিয়ে। এবং টাকাগুলো তিনি নিজের কাছে রাখলেন। শুধু তাই নয়, খুবই তীব্র রাগ দেখিয়ে বললেন, বড় হও মোবাইল কিনে দেবো এখন মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করো সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। অবশ্য এখন মনে হয় আব্বা কথাগুলো খুবই সঠিক বলেছিলেন কিন্তু ওই সময়ে আব্বা'র কথাগুলো আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল।


social-gf18e6e469_1920.jpg

Source



মোবাইল ফোন কেনার জন্য আমি আব্বা'র কাছ থেকে টাকা গুলো নেওয়ার খুবই চেষ্টা করেছিলাম। মায়ের মাধ্যমে, বড় আব্বা'র মাধ্যমে, ছোটা আব্বা'র মাধ্যমে, এমনকি ফুফুর মাধ্যমেও আব্বা'র কাছ থেকে টাকা গুলো আদায়ের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি, আব্বা'র একই কথা ছিল এখন তাকে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। আমার আম্মু অবশ্য একটু কৌশল করে বলেছিল আমাদের পরিবারের জন্য তো একটা মোবাইল ফোন লাগে সে হিসেবেই কিনে দাও। কিন্তু আব্বা'র একই কথা ছিল সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, তাকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার সুযোগ দাও, মোবাইল ফোন কেনার কোন প্রয়োজন এই মুহূর্তে নেই। আব্বা'র মুখের কথা শুনে আমি তো পুরো হতাশ হয়ে গেছিলাম এবং মোবাইল কেনার বিষয়টা মাথা থেকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দিয়েছিলাম। শুরু করেছিলাম গভীর মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করা। আমার আজও মনে আছে, তখন পুজো'র ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। পুজো'র ছুটি শেষের দিকে চলে এসেছিল তাই লেখাপড়ার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ চলে এসেছিল আমার। পুজো'র ছুটির শেষের দিকে একদিন রাতে আমি আমার পড়ার ঘরে ইংরেজি গ্রামারের ন্যারেশন করছিলাম। আমার পরিবারের একটি বিশেষ নিয়ম আমার দাদার আমল থেকেই ছিল যে খাবার খাওয়ার সময় সবাই একসাথে বসে খাবার খেতে হবে।


smartphone-g595fc038b_1280.png

Source



খাবার খাওয়ার জন্য আমার আম্মু আমাকে বেশ কয়েকবার ডেকেছিল কিন্তু গভীর মনোযোগ ছিল ন্যারেশন করার প্রতি, তাই খাবারের ঘরে যেতে একটু দেরি হয়েছিল। ঠিক ওই সময় আমার আব্বা আমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিল, বিদ্যুৎ কি খাওয়া দাওয়া করেছে এখনো ? আমি পাশের ঘরে বসে ন্যারেশন করছিলাম আর তাদের সমস্ত কথাগুলোই শুনছিলাম। হঠাৎ আম্মু বলে উঠলো, মোবাইল ফোন না পাওয়ার কারণে হয়তো মন খারাপ করে বসে আছে। আমি লক্ষ্য করেছিলাম, এ কথা শোনার সাথে সাথে আব্বা আমার পড়ার ঘরে চলে আসলো। আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম, হয়তো আব্বা আমাকে মারধর করার জন্যই এসেছে। আমি যে গভীর মনোযোগ দিয়ে গ্রামার করছিলাম এটা তো আব্বা জানতো না। কিন্তু পড়ার ঘরে আমাকে দেখে আব্বা হাসিমুখে বলেছিল, "আব্বু মন খারাপ করো না, ভালোভাবে লেখাপড়া করে বার্ষিক পরীক্ষাটা সম্পূর্ণ কর। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই আমি তোমাকে মোবাইল ফোন কিনে দিব।"আবার মুখ থেকে কথাটা শোনার সাথে সাথেই আমার মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠল এবং সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। আমি চেয়ারে বসেই আব্বা'র বুকে মাথা দিয়ে দিলাম। তারপরে আব্বা আমাকে তার পাশে বসিয়ে কয়েকবার মুখে ভাত তুলে দিলো। সেই দিন আমার হাতে কিন্তু মোবাইল ফোন এসেছিল না। কিন্তু মোবাইল ফোন পাওয়ার শতভাগ প্রত্যাশা আমি আমার আব্বা'র কাছ থেকে পেয়েছিলাম। ওই দিনের আমার হাসি মুখ এবং আনন্দ দেখে আমার পরিবারের সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল। তারপর আমি আমার আব্বা'র মুখের দিকে তাকিয়ে খুব লজ্জা অনুভব করেছিলাম। কারণ প্রথম দিকে আমি তো আমার আব্বা'র প্রতি খুবই অভিমান করেছিলাম এবং মোবাইল পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। আসলে আব্বা যে সকল সমস্যার সমাধান, পৃথিবীর বুকে বট বৃক্ষের ছায়া, স্নেহ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসার এক অফুরন্ত ভান্ডার এই বিষয়টি আমি সেদিন রাতে খুবই গভীরভাবে অনুভব করেছিলাম।


যাহোক, ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আমার বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেল। বাবা এবং মায়ের অনুপ্রেরণায় গভীর মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করার কারণে বার্ষিক পরীক্ষাটা আমার খুবই ভালো হয়েছিল। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুইদিন পরে আব্বা আমাকে টাকা দিয়েছিল মোবাইল ফোন কেনার জন্য। সেই দিনটি ছিল রবিবার। মোবাইল ফোন কেনার টাকা পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছিলাম। আমি এতই পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম যে মনে হচ্ছিল আমি আনন্দে আকাশে উঠতেছি। তারপর আমি আমার চাচাতো ভাই এবং আমার ছোট খালাকে সাথে করে মোবাইল ফোন কেনার উদ্দেশ্যে মেহেরপুরে টাউনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ওই সময় আমাদের গাংনী বাজারে মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয় হতো না। মোবাইল ফোন কিনতে যাওয়ার সময় আমার ছোট খালার সঙ্গে করে একটি ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল।৪১০০ টাকা দিয়ে বার্ড মোবাইল ফোনটি ক্রয় করেছিলাম। মোবাইল ফোনের দোকানে আমার ছোট খালা আমাকে একটি ছবি তুলেছিল। তখন বার্ড মোবাইল ফোনটি আমার হাতেই ছিল। তারপর মোবাইল ফোন ক্রয় করে আমি খুবই আনন্দের সাথে বাড়িতে চলে এলাম এবং আমার পরিবারের সকলকেই মোবাইল ফোনটি দেখালাম। মোবাইল ফোনটি দেখে আমার পরিবারের সকলে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল এবং সবচাইতে বেশি আনন্দিত হয়েছিল আমার আব্বা।
|-------|



hand-gfb5509108_1280.png

Source



জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে যে কি পরিমাণ আনন্দ হয়েছিল সেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে আমি আমার আব্বা'র প্রতি খুবই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলাম পাশাপাশি আমার মায়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলাম। বার্ড মোবাইল ফোনে কোন ক্যামেরা ছিল না তাই এই মোবাইল দিয়ে ছবি তোলা যেত না। ফোনটি ছিল বাটন ফোন। ফোনটিতে গান শোনার কোন সিস্টেম ছিল না। কিন্তু এই মোবাইল ফোনে সুন্দর একটি এবং আমার খুবই প্রিয় একটি গেম ছিল সেটা হল ক্রিকেট খেলা। পাশাপাশি বার্ড মোবাইল ফোনে খুবই সুন্দর সুন্দর রিংটোন ছিল। আমি প্রায় প্রতিদিনই রিংটোন পরিবর্তন করে রাখতাম। নতুন নতুন রিংটোন শুনতে আমার খুবই ভালো লাগতো। এই মোবাইল ফোনটি একটি বিশেষ গুণাবলী ছিল যে একদিন চার্জ দিলে প্রায় তিন-চার দিন চার্জ দেওয়া লাগত না। মোবাইলটি দিয়ে আমি প্রচুর এসএমএস করতাম বিভিন্ন জায়গায়। সেটা চেনা নাম্বার হোক কিংবা অচেনা নাম্বারই হোক। বার্ড মোবাইল ফোনটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ছিল। তারপর, পরের বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালের প্রথম দিনেই আমি মোবাইল ফোনটি সাথে করে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং আমার বন্ধু বান্ধবীদের কাছে মোবাইল ফোনটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করেছিলাম।


IMG_20211225_162819_690.jpg



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন পাওয়ার আনন্দ এতটাই বেশি ছিল যে পরবর্তীতে এত আনন্দ আর আমি কোন কিছুতে খুজে পাইনি। এমনকি বিয়ে করে নতুন বউ পাওয়ার আনন্দটাও জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার আনন্দের চেয়েও বেশি ছিল না। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমার জীবনে প্রথম মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো নিশ্চয়ই আপনাদের নিকট ভালো লেগেছে। আমার মোবাইল ফোন পাওয়ার অনুভূতির কথাগুলো আপনাদের নিকট কেমন লেগেছে সেটা জানার জন্য আমি অপেক্ষায় রইলাম। অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন।


১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ



Sort:  
 2 years ago 

প্রথম হাতে মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি সবসময় আলাদা হয় শুধু মোবাইল সব কিছুর ক্ষেত্রেই তাই। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59446.26
ETH 2613.63
USDT 1.00
SBD 2.41