কবিতা || শশুর বাড়ি || তাং: ১৭/১০/২০২২ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। |
---|
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজ আমি একটি ভিন্ন ধরনের কবিতা লিখেছি। ভিন্ন ধর্মের কবিতাটি লিখতে আমাকে অনেকক্ষণ ভাবতে হয়েছে এবং যথার্থভাবে মাথার ব্রেন এর ব্যবহার করতে হয়েছে। সত্যি কথা বলতে আপনারা যারা বিবাহিত তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন শ্বশুরবাড়ির বিষয়টা কেমন হয়। তাই বিবাহিত বন্ধুরা আপনারা খুব সহজে আপনাদের শ্বশুরবাড়ির সাথে আমার লেখা কবিতাটি মিলিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন প্রায় শতভাগই মিলে যাবে। আর যারা আজও বিবাহ করেননি তারা আমার কবিতাটি পড়ে শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা লাভ করতে পারবে। যাহোক কবিতাটি একটু হাস্যরসমূলক ভাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। জানিনা আমি কবিতাটি কতটুকু ফুটাতে পেরেছি। আমার লেখা আজকের কবিতাটি যদি আপনাদের নিকট ভালো লাগে তাহলে আমার কবিতা লেখাটি সার্থক হবে। বন্ধুগণ চলুন কবিতাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আসি। |
---|
কবিতা:- শশুর বাড়ি।
কাক ডাকা দুপুর বেলায়,
হাতে নিয়ে রসগোল্লার হাড়ি
রঙ্গিন ছাতা দিয়ে মাথায়।
বাজার থেকে নিলাম কিনে
লিপস্টিক আর নাইট ক্রিম,
আরো নিলাম রেশমি চুরি ও পাউডার
চুল বাধতে নিলাম ডিজিটাল গাডার।
শ্যালিকা আমার দেখতে ভাল বাইনা ধরে বেশি
শ্যালিকার জন্য নিলাম প্লাস্টিকের একটি হাতি,
শশুর আব্বা একটু কালো মুখে মধুর হাসি
বউয়ের সাজুগুজু দেখে আনন্দে আমি ভাসি।
শ্বশুরবাড়িতে খুব মজায় আছি
শাশুড়ি আম্মা রান্না করতেছে খাসি,
শ্যালিকার হাতের শরবত খেয়ে
প্যারায় পড়ে শুরু হয়ে যায় কাশি।
ভালো ভালো খাবার খাচ্ছি বারবার
একটি খাবার শেষ না হতেই দিচ্ছে আবার,
ভালোবাসার শ্বশুর বাড়ি কেমনে আমি ছাড়ি
সাময়িকভাবে ভুলে গেলাম আমার বাপের বাড়ি।
শাশুড়ি আম্মার ব্যবহার ভালো
বউ যে আমার জগতের আলো,
পেয়ে গেলাম জীবনে ভালোবাসার গাড়ি
এরই নাম চির মধুর আমার শ্বশুর বাড়ি।
সুপ্রিয় বন্ধু, আমার আজকের লেখার কবিতাটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনারা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। আমি আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম। কবিতাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
ভাইয়া কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজটি করেছেন যা পড়ে বুঝতে পারলাম। শশুর বাড়ি আসলে এমনি।বিয়ে যেহুতু করেছি আপনার কবিতাটি পড়ে কথা গুলো মিলিয়ে গেল। কবিতা পড়ে আসলে অনেক মজা পেয়েছি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter link:-https://twitter.com/bidyut01/status/1582050176813871109?t=e0Uag7ARQLG_131t-pvRQg&s=19
আপনার কবিতাটি পড়ে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগলো। আসলে মনের অনুভূতি থেকে শ্বশুরবাড়ির প্রতি আগ্রহ ভালবাসা প্রকাশ হয়েছে কবিতাটির মাধ্যমে।
ছন্দ গুলো অনেক ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
যাক আপনি তাহলে বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
বাহ! আপনি তো শ্বশুর বাড়ি নিয়ে বেশ মজার একটা কবিতা লিখেছেন ভাইয়া।পড়ে তো আমি হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল।আসলে যা লিখেছেন সব বাস্তবতা।একটা শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের আদর কেমন হতে পারে সেটা আমি খুব ভাল করে জানি।কারন আমার বড় দুলাভাই বাড়িতে আসলে সেই দিন আমার মা রাতে ঘুমাতেন না কারন সকালে জামাইকে কিভাবে? কি দিয়ে খাওয়াবে সে পরিকল্পনা করতে করতে। জামাই মানে তো বুঝতেছেন শ্যালিকা, শাশুড়ি, শ্বশুর আব্বা সবার আপ্যায়নের কোন তুলনা হয় না। সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করেছেন খুব ভালো লাগলো।
আপ্যায়নের যে তুলনা হয় না এই কথাটা অবশ্য সঠিক। তবে বেশি শ্বশুর বাড়ি যাওয়া ঠিক নয়।
ভাই কবিতাটার নাম টা দারুন দিয়েছেন 👌,, নামটা দেখেই পড়তে আসলাম। বেশ মজা পেলাম সত্যি। বিবাহিত অবিবাহিত সবাই মজা পাবে লেখা টা পড়ে 😅। কিন্তু শ্যালিকার জন্য প্লাস্টিকের হাতি কেন নিলেন ভাই এটাই তো বুঝলাম না 😅।
যাই হোক ভালো ছিল লেখাটা। তবে ভাই প্রতিটা লাইনের মাত্রা এবং ছন্দ টা যদি আরেকটু সুন্দর ভাবে মিলানো যেত তাহলে আরো বেশি মজা পাওয়া যেত ।
দাদা শ্যালিকার বায়না বেশি তাই প্লাস্টিকের হাতে কিনে দিলাম। যাতে সহজে কোন কিছু আর না চায়।
শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি যেতে তো হবেই। আপনার শ্বশুর বাড়ি কবিতাটি বেশ সুন্দর হয়েছে ছন্দের সাথে ছন্দ মিশে একদম একাকার। কবিতাটি পড়ছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
দাদা কবিতাটি লেখার সময় আমিও বেশ হেসেছিলাম।
ভাই ইমোশনাল করে দিলেন আপনার না হয় শশুর বারি আছে কিন্তু আমাদের কি হবে আমাদের তো নেই এভাবে লোভ দেখালেন ভাই।যে যাই বলুক আসলে শশুর বারির তুলনা হয়না।দারুন লিখেছেন।
ভাইজান দুঃখ কইরেন না। বিয়ের পরে অবশ্যই শ্বশুরবাড়ির মজা নিতে পারবেন।
প্রথমে আপনার কবিতার নামটি শুনে একদমই অবাক হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে আপনি ঠিকই বলেছেন শ্বশুরবাড়ি নিয়ে বেশ সুন্দর মজার মজার ছন্দ লিখেছেন। আবার দেখছি যারা বিয়ে করেছে তাদেরকে মিলিয়ে নিতে বলছেন। আর যারা বিয়ে করেননি তাদেরকে ধারণা নিতে বলছেন। বেশ মজা পেলাম আপনার আজকের কবিতাটি পড়ে।
খুবই উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা দারুণ ছিল হা হা। সবাই বলে শ্বশুরবাড়ি নাকী মধুর হাঁড়ি সত্যি কী তাই ভাই। যাইহোক দারুণ লিখেছেন কবিতা টা। নেগেটিভ কিছু তো পেলাম না সবই পজেটিভ। আজ শ্বশুরবাড়ি নেই বলে এইরকম কবিতা লিখতে পারি না হা হা। ভালো হয়েছে।।
ভাইয়া এরকম কবিতা লেখার চেয়ে পড়ার মধ্যেই বেশি আনন্দ।
শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে বেশ ভালো অভিজ্ঞতাই আছে দেখছি। তা না হলে এত সুন্দর একটি কবিতা লেখা সম্ভব হতো না । আপনার কবিতাটির সঙ্গে আমিও একমত। খুব ভালো লিখেছেন কবিতাটি । শ্বশুরবাড়িতে গেলে জামাইরা যে আপ্যায়ন পায় তাতে আসলেই বাপের বাড়ির কথা ভুলে যাওয়ারই কথা। ভালো লেগেছে কবিতাটি।
হা হা দারুন অভিজ্ঞতা আছে বলেই তো লিখে ফেললাম।