নাটক রিভিউ :- 'গভীর জলের ফিস'।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ সোমবার। ০৮ ই মে, ২০২৩ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট 'গভীর জলের ফিস' নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করছি। আশা করি নাটকটির রিভিউ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাটকটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:-
নাটকটির নাম | গভীর জলের ফিস |
---|---|
পরিচালক | মহিন খান |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর,ফখরুল বাশের মাসুম, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, নূর এ কাঞ্চন, সাথী মাহবুব, প্রহর সরকার, সিদ্দিক মাস্টার, আব্দুল্লাহ আল, জুয়েল ও অন্যান্য জন |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকটির সারসংক্ষেপ।
নাটকটির শুরুতেই দেখা যায় যে, এক দল ছিনতাইকারী বাশার এবং তার মেয়ে মাহি'র কাছ থেকে সমস্ত কিছু ছিন্তাই করে নিয়ে যায়। একটু পরে শান্ত নামে একটি ছেলে ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে তাদের ব্যাগপত্র ছিনিয়ে নিয়ে বাশার এবং তার মায়ের কাছে দিয়ে দেয়। এই কাজে শান্তর প্রতি বাশার এবং তার মেয়ে সন্তুষ্ট হয় এবং আগামীকাল বাশার তার মেয়ে মাহি'র বিয়ের দাওয়াত দিয়ে দেয়।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শান্ত বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে জানতে পারলো যে, বাশারের মেয়ে মাহি'র সাথে যে ছেলের বিয়ে হবে, সেই ছেলেটি বিয়ে করতে আসবে না। তখন সুযোগ বুঝে শান্ত মাহিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় এবং মাহিকে বিয়ে করে। বাসর রাতে শান্ত তার বউকে নিয়ে নাচানাচি শুরু করে। তারপর শান্ত খুবই কৌশল করে বাশারের মন জয় করার চেষ্টা করে। বাশার শান্ত'র বাবার নাম ধোকা খান শুনে কিছুটা বিস্মিত হয়। তারপর শান্ত তার বাপের নামের ব্যাখ্যা করে।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শান্ত তার শ্বশুরের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে লাগলো এবং তার শ্বশুরকে সেবা-যত্ন করতে লাগলো। তারপর শান্ত খুব সহজেই তার শশুরের মনে জায়গা পেল। তারপর বাশার তার জামাই শান্তর উপর আস্থা রেখে তার অফিসের সমস্ত দায়িত্ব শান্তর উপর দিয়ে দিলো। এমন অবস্থায় বাশারের বড় জামাই এবং মেয়ে এসে বাশারের সম্পত্তির ভাগ চাইলো। বাশার তার বড় জামাইয়ের কাছে এরকম কথা শুনে বেশ অসন্তুষ্ট হলো।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শান্ত এবং তার বউ মিলে বাশারের বড় জামাইকে রাত্রে ভূতের ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করলো। তারপর ৫ লক্ষ টাকা চুরির দোষটা শান্ত বাশারের বড় জামাই মেয়ের উপরে চাপালো। শান্ত খুবই শান্তভাবে বাশারের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নিল। তারপরে বাশারের বড় জামাই পুনরায় বাশারের কাছে হাজির হলো এবং বস্তির কিছু মানুষ নিয়ে আসলো। বস্তির মানুষের কাছ থেকে বাশার জানলো যে, তার ছোট জামাই শান্ত বস্তিতে থাকে। কিন্তু এতেও বাশার তার ছোট জামাই শান্তর উপর অসন্তুষ্ট হলো না।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যার সাথে বাশারের ছোট মেয়ে মাহি'র বিয়ের কথা হয়েছিল সেই ছেলেটির সাথে বাশারের বড় জামাইয়ের দেখা হল। তারপর তার কাছ থেকে বাশারসহ সকলেই জানলো যে, শান্ত কৌশল করে প্রথম দিন বাশার এবং তার মেয়ের কাছ থেকে সমস্ত জিনিসপত্র ছিনতাই করে। তারপর, বিয়ের দিন শান্ত বরকে বেঁধে রেখে কৌশল করে বাশারের ছোট মেয়েকে বিয়ে করে। বাশার পুরো ঘটনা শুনে শান্তকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। কিন্তু একটু পরেই, বাশার জানতে পারলো যে, শান্ত তার সমস্ত জমি জায়গা, ঘরবাড়ি, বিষয় সম্পত্তি তার নামে লিখে নিয়েছে।
শান্ত তার শ্বশুরের সাথে এরকম আচরণ কি কারনে করলো, সেটা শান্তর স্ত্রীসহ বাশার ভালোভাবেই বুঝতে পারলো। তারপর শান্ত যখন বাসারকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে শান্তর বাবা সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত হলো। সিদ্দিকুর রহমান শান্তকে কিছু উপদেশ মূলক কথা বললো। তারপর বাশার তার পূর্বের ভুল বুঝতে পেরে সিদ্দিকুর রহমানের কাছে ক্ষমা চাইলো। তারপর সিদ্দিকুর রহমান পূর্বে সমস্ত কিছু ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিয়ে তারা পরস্পরের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে গেল। নাটকটি সমাপ্ত হয়ে গেল।
youtube থেকে স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাটকটি সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত।
'গভীর জলের ফিস' নাটকটি শুরু থেকেই হাস্যরসে পরিপূর্ণ। নাটকটির অভিনয় গুলো খুবই স্বাভাবিক হয়েছিল। বিশেষ করে, শান্ত বিয়ে করে বাসর রাতে বউকে নিয়ে নাচানাচি করার অভিনয়টা সত্যিই দারুন ছিল। আবার রাত্রে ভূত সেজে বাশারের বড় জামাই এবং মেয়েকে ভয় দেখানোটা খুবই হাসির একটি দৃশ্য ছিল। এভাবে 'গভীর জলের ফিস' নাটকের প্রতিটি মুহূর্ত হাসি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ ছিল। আবার শশুরকে মায়াজালে বন্দি করে শান্তর প্রতিশোধ নেওয়ার অভিনয়টা সত্যিই চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। শান্ত এবং তার শশুরের অভিনয়টা দেখে মনে হচ্ছিল যেন, বাস্তব দৃশ্য দেখছি। তবে এই নাটকের শেষ দিকের অভিনয়টা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। যখন সিদ্দিকুর রহমান বলতে লাগলো, "আমি পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করি। মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায় আর মরে গেলে পচে যায়।" সিদ্দিকুর রহমানের এই কথাগুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এই কথাগুলো আমাদের সকলের জন্য একটি শিক্ষামূলক বার্তা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কিছুটা আনন্দ নেওয়ার জন্য এবং বাস্তব জীবনের কিছু শিক্ষা লাভের জন্য এই নাটকটি আমাদের সকলেরই দেখা উচিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter link
নিলয়ের অসম্ভব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন তো আমাদের সকলের মাঝে। এরকম নাটকগুলো রিভিউ পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। খুবই মজার একটা নাটক ছিল এটি। এরকম নাটকগুলোর রিভিউ পোস্ট আমি ভীষণ পছন্দ করি পড়তে। সাজিয়ে গুছিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দরভাবে নাটকটির রিভিউ পোস্ট লিখেছেন আপনি। বলতে হলে জাস্ট অসাধারণ ছিল।
নিলয় এবং জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি তাদের দুজনের জুটি মানিয়েছে। তারা ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো নাটক করেছে প্রত্যেকটা নাটকই হিট হয়েছে। এই নাটকটি দেখা হয়নি দেখার চেষ্টা করব।
ভাইয়া নিলয়ের এই নাটকগুলো দেখতে নিলে আমার পেটে খিল লেগে যায় হাসতে হাসতে। এতটা মজার কনসেপ্ট কি করে বানায় এটাই বুঝতে পারি না। কারো যদি মন খারাপ থাকে তবে এই নাটক দেখলেই মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য। দুর্দান্ত রিভিউ লিখেছেন। লেখাগুলো পড়তে পড়তে যেন পুরো নাটকটা আবার দেখে ফেললাম।
গভীর জলের ফিস নাটকটির রিভিউ শুরু থেকে শেষ শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দরভাবে করেছেন আপনি। এরকম নাটকগুলো দেখতে আমি এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দ করি। নিলয় এর নাটক গুলো খুবই মজার হয় আমি মাঝেমধ্যে দেখে থাকি তার নাটক গুলো। এই নাটকটা মনে হয় আমার এখনো দেখা হয়নি তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটি একবার দেখে নেব। খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন নাটকটার রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে।
এই নাটকটা আমি মনে হয় দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। এরকম নাটক গুলো দেখতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি আজকে নতুন করে আমাদের মাঝে নাটকটির রিভিউ পোস্ট সম্পূর্ণভাবে লিখে শেয়ার করেছেন দেখে পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। খুবই ভালো ছিল আপনার আজকের এই নাটকটির রিভিউ পোস্ট। সম্পূর্ণটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।