আমার বাংলা ব্লগ-এসো নিজে করি(DIY)-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র অংকন- ১১/১০/২০২১ইং
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন ও নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি ভালো আছি। পোস্টের শুরুতে আমি আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন, মডারেটর ও সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানাই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র অংকন:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১খ্রিস্টাব্দের ৭ই কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ এবং পিতামহ ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটবেলা থেকেই অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কবিতাটি ছিল হিন্দুমেলার উপহার। তাঁর প্রথম ছোটগল্প ভিখারিনী এবং তার প্রথম উপন্যাস করুণা প্রকাশিত হয় ১৮৭৭ সালের প্রথম দিকে। তিনি 22 বছর বয়সে বিবাহ করেন। তার স্ত্রীর নাম ছিল মৃণালিনী। তিনি সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি ১৮৯০ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে কুঠিবাড়িতে থেকে জমিদারি দেখাশুনা করতেন এবং সাহিত্য চর্চা করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বর্ণাঢ্য জীবনে অসংখ্য কবিতা,উপন্যাস ,ছোটগল্প, নাটক ,প্রবন্ধ এবং গান রচনা করেছেন। আমাদের বাংলাদেশ জাতীয় সংগীতের রচিয়তা এবং সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
যাহোক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র অংকন এর প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো হল:
- A4 সাইজের একটি কাগজ।
- একটি রুল পেন্সিল।
- একটি রুল কাটার।
প্রথম ধাপ:
প্রথমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখটি আঁকিয়ে নিব। সাথে তার চোখ ,নাক ,কান,আঁকানোর চেষ্টা করবো।
মাথার চারিদিকে একটু কালো করে দেব। নাক ও চোখের আশেপাশে জায়গাগুলো হালকা কালো করে দিব। নাকের উপরে কয়েকটা শিরার দাগ টেনে দিব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডানপাশের ঝাঁকড়া চুল গুলো আঁকিয়ে নিব। চুলগুলো রং সাদা ও কালো বা আধা পাকা করে রাখবো।
তৃতীয় ধাপ:
তার বাম পাশের চুলগুলো আঁকিয়ে দিব। তার গোঁফ গুলো আঁকিয়ে দিব। তার গোঁফ গুলো এমন ভাবে আঁকাবো যাতে তার গোঁফের কারণে মুখ ঢেকে যায়। রবীন্দ্রনাথের গোফ আঁকানোর সময় অতি সতর্ক থাকতে হবে। কেননা গোফ আঁকানো বিশৃঙ্খলা হলে ছবিটি বেমানান লাগবে।
চতুর্থ ধাপঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখের দাড়ি গুলো আঁকিয়ে নিব। যেন তার মুখের দাড়ি গুলো দেখতে কালো সাদার মিশ্রণ হয়।
তার দাড়ি গুলোর ভিতরে ভিতরে রুল পেন্সিল দিয়ে চিকন করে দাগ করে নিতে হবে। তার দাড়িগুলো ঘন প্রকৃতির হবে। তার দাড়ি অংকনের মধ্য দিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখের প্রকৃত আকার ভেসে উঠবে।
পঞ্চম ধাপঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাড়ির রং কালো সাদা করে রাখবো। দাড়িগুলো খুব সুন্দর হবে সুসজ্জিত ভাবে আঁকিয়ে নিব। তার দাড়ি আঁকানোর সময় বেশ সতর্ক থাকতে হবে। দাড়ি গুলোর সাইজ ঠিক রাখতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাথার চুলগুলো ঘন করে দিব এবং চুলের মাথা গুলো একটু বাঁকা করে দিব। তার চোখের ভুরু গুলো কালো করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে পাশাপাশি তার গোফ এবং দাঁড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করতে হবে।
সপ্তম ধাপ: ## কবিগুরুর শরীরের ডান পাশের বুক পর্যন্ত অংশ নিয়ে নিব। আঁকানো অংশে একটি চাদর দিয়ে দিব। এ চিত্র টি দেখলে মনে হবে যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডান দিকে ঘুরে তাঁকিয়ে আছি।
অষ্টম ধাপ:
সুপ্রিয় বন্ধুগণ এভাবেই আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র অংকন সুসম্পন্ন হল।
প্রিয় বন্ধুগণ মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়। তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অসামান্য কর্মের জন্য আমাদের মাঝে তিনি অমরত্ব লাভ করেছে। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, নাট্যকার ও গীতিকার ছিলেন । এছাড়াও উপন্যাস লেখায় তিনি ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত। তার লেখা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হল মানবী, ক্ষণিকা, বলাকা, সোনার তরী ও গীতাঞ্জলি। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মধ্য থেকে সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯১৩ সালে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারপর তার প্রতিটি লেখায় সাম্য ও মানবতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কারকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তার লেখায় সামাজিক ন্যায়বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা কথা জোরালোভাবে উচ্চারিত হয়েছে। আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্র অঙ্কন করতে গিয়ে তার সোনার তরী' কবিতাটি খুব মনে পড়ে গেল। তাই কয়েক লাইন উচ্চারণ করলাম-
"ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে, ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহি নু পড়ি,
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অনেক ভাল ছিল
অসাধারণ হয়ছে আপনার আঁকা ছবিটি। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে বর্ণনা করার জন্য
ওয়াও ভাইয়া!!
এতোটা দারুণ করে কি করে আঁকতে পারবন!জাস্ট অসম্ভব ভালো হয়েছে,অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
আমি দেখেই অবাক
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অংকন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রশংসা আমাদের করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একজন মহৎ ব্যক্তি, তার অংকন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।অংকনটি অনেক সুন্দর হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অংকন টা সুন্দর হয়েছে। আপনি আপনার আর্টের মাধ্যমে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আমার মনে হচ্ছে ড্রয়িংটা ট্রেসিং করে করেছেন ।
ভাইয়া ট্রেসিং টা কি বুঝলাম না। তবে, ছবি অংকন করার কৌশল মি মোবাইল থেকে শিখেছি । এবার সাগরপাড়ের রাজকন্যা নামে একটি ছবি অংকন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ভাইয়া, কিছুদিন আগে আমি শিলাইদহ ভ্রমণ করেছি আর সেখান থেকেই আমার আগ্রহ ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একটি চিত্র অংকন করা।
আপনি অনেক দক্ষতার সাথে কবি গুরুর পেন্সিল স্কেচ করেছেন।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি খুবই সুন্দর করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটি অংকন করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে আমি কিছুদিন আগে উনার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম আগেকার সাদাকালো ছবি এখনো তার দেওয়ালে লাগানো আছে।
বাহ অসাধারণ ভাই। কবি গুরুর খুবই সুন্দর একটি চিত্র অংকন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো দেখে। প্রতিটা ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। সত্যিই অবাক করার মতো🥰🥰