উড়ছে ধোয়া পুড়ছে দেশ।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজ ক্রমাগত আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন দেখতে পারছি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের বিরূপ আচরণ দেখতে পারছি। আর আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে দিন দিন খারাপ থেকে অধিকতর খারাপ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আর এর জন্য প্রকৃত দায়ী আমরা। কারণ আজ আমাদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার জন্য যখন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করছি, ঠিক আমাদের সেই কাজকর্মগুলোই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য বিশাল হুমকি হয়ে যাচ্ছে। শুধু এতেই শেষ নয়, আমরাও প্রতিনিয়ত প্রকৃতির বিরূপ আচরণের সাক্ষী হচ্ছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের সুবিধা অর্জনের জন্য আমরা যে সমস্ত কাজকর্মগুলো প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি ঠিক তার মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হলো ইটভাটার মাধ্যমে নতুন নতুন ইট তৈরি করা। আমাদের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য ইমারত নির্মাণের জন্য ইট নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু একমাত্র ইট তৈরিতে আমরা আমাদের জন্য কত বড় যে ক্ষতি সাধন করছি সেটা কি কখনো একবারও আমরা ভেবে দেখেছি। হয়তো আমরা স্বাভাবিকভাবে বলে থাকি যে ইট ভাটার দ্বারা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে একমাত্র ইটভাটা, সেটা কি কখনো আমরা গভীরভাবে ভেবে দেখেছি?
আমাদের গ্রাম অঞ্চলের অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা। আর ইট ভাটার অন্যতম প্রধান জ্বালানি হলো গাছ ও গাছের ডালপালা। একমাত্র ইটভাটার জ্বালানি সরবরাহ করার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার গাছ নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে আমাদের পরিবেশ থেকে। যেটা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য অপূরণীয় একটি ক্ষতি। আজ আমরা এতটাই নির্বোধ হয়ে যাচ্ছি যে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। যে গাছ আমাদের প্রতিদিন মহামূল্যবান অক্সিজেন বিনামূল্যে সরবরাহ করে আমাদের সহ সকল জীবকে বাঁচিয়ে রাখছে। আর আজ আমরা সেই গাছপালা নির্বিচারে নিধন করে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছি। সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটলেও আমাদের বিবেক ও বুদ্ধি খুবই সংকীর্ণ হয়ে গেছে। আর আমাদের সংকীর্ণ বুদ্ধির কারণেই আজ আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ ইটভাটা থেকে বের হচ্ছে কালো ধোয়া। প্রতিদিন মাত্রারিক্ত কালো ধোয়া বের হওয়ার কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আরো বেশি বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। এসব কালো ধোয়ার প্রভাবে আমরা মানুষ জাতি দিন দিন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। শুধু তাই নয়, ইটভাটা থেকে নির্গত হওয়া ধোয়ার প্রভাবে আমাদের আবাদি ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। আর আমাদের এধরনের অপূরণীয় ক্ষতি হবেই না কেন? যে গাছপালা এ সমস্ত ক্ষতিকর ধোয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করবে আমরা তো আগেই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সেই গাছপালা কেটে উজাড় করে দিয়েছে। ঠিক যেন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা হয়েছে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজ আমাদের দেশে ইট ভাটার মতো অনেক ধরনের শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেছে। আর প্রতিটি কলকারখানা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বের হচ্ছে কালো ধোয়া। যেটা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত করার যথেষ্ট। আজ আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশের কাছ থেকে যে বিরূপ আচরণ পাচ্ছি যেটা অনেক বড় ক্ষতিকর। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এর থেকেও মারাত্মক ও জটিল সমস্যা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ প্রতিদিন আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা আমাদের মানুষ জাতিসহ সকল প্রাণী জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য এখনই যথার্থ কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করি এবং সুন্দর পরিবেশে বাঁচার চেষ্টা করি।
ভাই সত্যি আজকে দারুন একটি ব্লগ শেয়ার করলেন ৷কথা গুলো আসলেই যথার্থ বলেছেন ভাই ৷ প্রকৃতি সহ আমাদের চারপাশের পরিবেশ সবকিছুর পিছনে মানুষের কর্মকাণ্ড ৷যার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছি ৷
গ্রাম অঞ্চল এসব ইটের ভাতা বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত চলছে যা ভবিষ্যৎ পরিবেশ বা প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরপ৷
ইট ভাটা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশাল হুমকি হচ্ছে আপনি যথার্থ বলেছেন আমরা উন্নত হতে গিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি।
আপনার পোস্টটির টাইটেল পড়ে অনেকটা ভালো লাগলো ভাইয়া।আসলেই আপনার কথাগুলো একদম যৌক্তিক।আমরাই আমাদের পরিবেশকে প্রতিনিয়ত দূষিত করে যাচ্ছি। যার ফলে আমরা নিজেরাই সাফার করছি।ভালো লাগলো পোস্টটি অনেক।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।