জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ মঙ্গলবার। ২৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমরা বাঙালি জাতি। আর বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। আর আমাদের দেশে প্রায় সকল ধরনের মাছ সারা বছরই পাওয়া যায়। মাছ এমনিতেই প্রোটিনের একটি সহজলভ্য উৎসব। তাই আমরা চেষ্টা করি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে মাছ কিংবা মাছের তরকারি রাখতে। যাহোক, আমি প্রায় সব ধরনের মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে আমার পুকুরে চাষ করা জিওল মাছটি আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। জিওল মাছের সাথে রান্না করা যেকোনো ধরনের সবজি তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার লাগে। এমনকি জিওল মাছগুলো ভেজে খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। আজ আমি আপনাদের নিকট জিওর মাছের খুবই সুস্বাদু ঝোল ঝোল রেসিপি শেয়ার করছি। আমি আশা করি, আমার আজকে রেসিপিটি আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, চলুন এক নজরে দেখে আসি জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরির জন্য আমার ব্যবহারিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো :-
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
জিওল মাছ | ৫০০ গ্রাম |
আলু | ২৫০ গ্রাম |
পাকা টমেটো | ০৪ টি |
চাল কুমড়ার বড়ি | আটটি |
সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচের ফালি | পরিমাণ মতো |
শুকনো মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চা চামচ |
পেঁয়াজের কুঁচি | পরিমাণমতো |
রসুনের পেস্ট | ১.৫ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১.৫ টেবিল চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াগুলো নিম্নে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলো:
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
প্রথমেই জিওল মাছ গুলো রান্না করার জন্য যথার্থভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। বিশেষ করে জিওল মাছগুলো সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নেওয়ার পর একটি পরিষ্কার পাত্রে শুকনো মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০২:⬇️
আলু এবং টমেটো গুলো কুচি কুচি করে কেটে জিওল মাছের সঙ্গে ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য যথার্থভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৩:⬇️
প্রয়োজনীয় মসলা সামগ্রী গুলো পরিমাণ মতো প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম রেসিপি তৈরি করার জন্য। তবে কাঁচা মরিচগুলো ফালি করে কেটে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৪:⬇️
রেসিপি তৈরির শুরুতেই সরিষার তেল দিয়ে চাল কুমড়ার বড়িগুলো ভেঁজে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৫:⬇️
তারপরে জিওল মাছ গুলো সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেঁজে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৬:⬇️
পরিমাণ মতো সরিষার তেল, পেয়াজ ও জিরার পেস্ট, ধনিয়া গুড়া, কাঁচা মরিচের ফালি, হলুদের গুঁড়া এবং লবণ দিয়েছিলাম। তারপর মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছিলাম। কষানো মসলার মধ্যে প্রথমে আলুর টুকরো গুলো দিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৭:⬇️
কড়াইয়ের মধ্যে আলু গুলো হালকা কষিয়ে নিয়েছিলাম। তারপরে আলু গুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি ঢেলে দিয়েছিলাম। তারপরে চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দেওয়া শুরু করেছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৮:⬇️
কড়াইয়ের ভিতর পানি গুলো যখন টকবগ করে ফুটতে শুরু করেছিল ঠিক সেই সময় টমেটোর টুকরোগুলো কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিয়েছিলাম। তারপর চামচ দিয়ে আলু ও টমেটোর টুকরোগুলো একত্রে মিশ্রণ করে দিয়েছিলাম। তারপরে পুনরায় চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৯:⬇️
কড়াইয়ের ভিতর ঝোল গুলো যখন টগবগ করে ফুটেছিল ঠিক সেই সময় ভেঁজে নেওয়া চাল কুমড়ার বড়িগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-১০:⬇️
চাল কুমড়ার বড়িগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দেওয়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই ভেঁজে নেওয়া জিওল মাছ গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়েছিলাম। তারপরে পুনরায় চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে জ্বালানি দেওয়া শুরু করেছিলাম।
⬇️ চূড়ান্ত ধাপ⬇️
কিছুক্ষণ আগুনের জ্বালানি দেওয়ার পরেই জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি সম্পন্ন হয়েছিল। তারপর জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে রেখেছিলাম।
⬇️ পরিবেশন ⬇️
আমার পরিবারের সকলেই জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি খেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল। কারণ এই রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। তাই আপনারাও বাড়িতে এরকম সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন এবং পরিবারের সকলকে খাওয়াতে পারেন।
আমার পরিচয়।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।




আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
আজকের কাজ সম্পন্ন।
মাছের সাথে টমেটো দিলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই অসাধারণ হয়েছে। বেশ সুন্দর করে জিওল মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি উপস্থাপন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনিও এরকম রেসিপি তৈরি করবেন, দেখবেন খেতে অসাধারণ সুস্বাদু লাগবে। সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শিং মাছ কে অনেকেই জিওল মাছ বলে থাকে।আপনি চমৎকার সুবিধা করে জিওল মাছের সবজি দিয়ে ঝোল করেছেন।জিওল মাছের ঝোল খেতেই বেশি ভালো লাগে পুষ্টি ও অনেক বেশি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এই মাছ টি শিং মাছ হিসাবে চিনি এটাকে যে জিওল মাছ বলে জানা ছিল না।তবে আপনি সত্যিই অসাধারণ ভাবে জিওল মাছের সবজি দিয়ে ঝোল তৈরি করেছেন। জিওল মাছের ঝোল খেতে একেবারে স্বাদে ভরপুর, আর পুষ্টিগুণও বেশ ভালো। আপনি রন্ধন প্রণালীটি ধাপে ধাপে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছেন,তা খুবই প্রশংসনীয়। এমন একটি সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!
সত্যি আপনার কমেন্টটি পড়ে আমি রেসিপি তৈরি করতে আরো বেশি উৎসাহ পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেকোনো জিওল মাছের এই ধরনের রেসিপি খেতে ভালো লাগে। বেশি মসলা দিয়ে অনেক কিছু কান্ড করে রান্না করলে কিন্তু এতটা হয় না। আমার মা খুব করতেন আগে৷ তখন পুকুরে মাছ ধরা হত। এখন শহরে সব পাওয়া যায়।
আমার রেসিপি পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।