সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের জাতীয় ফল হলো কাঁঠাল। আমরা হয়তো সকলেই পাকা কাঁঠাল ফল খেতে সব থেকে বেশি পছন্দ করি। তবে কাঁচা কাঁঠালের এচোড় তরকারি খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে। যাহোক ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে সেই মধুমাস অর্থাৎ জৈষ্ঠ মাস চলে এসেছে। আর জৈষ্ঠ মাস আসার সাথে সাথে গাছে অসংখ্য পরিমাণে ধরে থাকা কাঁঠালের মধ্যে কয়েকটি করে কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। আসলে পাকা কাঁঠালের সুগন্ধটাই এক অসাধারণ ও আকর্ষণীয়। আবার পাকা কাঁঠালের প্রতিটি শ্বাসের সাথে থাকে প্রচুর পরিমাণে মধুর রস। সব মিলিয়ে পাকা কাঁঠাল আমার কাছে তো খেতে অনেক অনেক ভালো লাগে। নিশ্চয়ই আপনাদের কাছেও পাকা কাঁঠাল খেতে বেশি ভালো লাগে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয় একটি কাঁঠাল গাছ বোঝাই অনেকগুলো কাঁঠাল দেখতে পারছেন। আসলে এই কাঁঠাল গাছটি আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে লাগানো একটি কাঁঠাল গাছ। এই গাছটি কোন ব্যক্তির আওতাধীন নয়। সরকারের রাস্তার পাশে গাছটি হওয়ার কারণে এটা মূলত সরকারের আওতাধীন। তবে আমাদের গ্রামটি যেহেতু অত্যন্ত সুন্দর এবং আমাদের গ্রামের মানুষ প্রায় সকলেই অত্যন্ত ভদ্র। তাই রাস্তার পাশে এতো সুন্দর একটি কাঁঠাল গাছ হওয়া সত্ত্বেও কাঠালগুলো যে কোন মানুষ ভোগ করতে আগ্রহী হয় না।
এই গাছের অধিকাংশ কাঁঠালগুলো আমাদের গ্রামের একেবারেই দরিদ্র পরিবারের মানুষেরাই খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের কাঁঠাল গাছ নেই এবং কাঁঠাল ক্রয় করে খেতে পারে না, ঠিক এমন শ্রেণীর মানুষেরাই এই সরকারি গাছের কাঁঠালগুলো খেয়ে থাকে। আর এটা অবশ্য আমাদের গ্রামের মন্ডল শ্রেনীর মানুষেরাই নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। যাহোক আপনারা ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে যে কাঁঠালগুলো দেখছেন এই কাঁঠালগুলোর রং ছোটবেলা থেকে এরকম হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। যারা এই কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল পূর্বে খেয়েছে তাদের কাছ থেকে আমি শুনেছি যে এই গাছের প্রতিটি পাকা কাঁঠাল খেতে অত্যন্ত মিষ্টি লাগে। একই সাথে প্রতিটি কাঁঠালের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে শ্বাস থাকে। আর এজন্যই গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের দৃষ্টি থাকে এই গাছের কাঁঠালের দিকে। যাহোক আমি আশা করি আমার আজকের ভিডিওগ্রাফিটি আপনাদের সামান্য হলেও ভালো লেগেছে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ। |
জাতীয় ফল কাঁঠালের ভিডিওগ্রাফি দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। কাঁঠাল আমার খুবই পছন্দের একটি ফল। কাঁঠালের এঁচোড় রান্না খেতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি পাঁকা কাঁঠাল খেতেও অনেক বেশি মজা লাগে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে কাঁঠালের ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ধারণা করা কাঁঠালের সুন্দর ভিডিও দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার। আমারে জানি আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল আর বর্তমান সময়ে দেশের সর্বস্থানে কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল লক্ষণীয়। বেশ দারুণভাবে ভিডিও ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম।