প্রতিযোগিতা-০৬ (বর্তমান অথবা বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য শেয়ার করুন।)@bidyut01
আসলামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ,আমি আশাকরি, আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ এবং অনেক ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
পোষ্টের প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিষ্ঠা@rme ভাইয়া এবং @moh.arif ভাইয়া,@blacks , @hafizullah,@rex-sumon,@winkles,@shuvo35 ভাইয়া সহ সকল মডারেটরদের।এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আপনাদেরকে আমি আমার মনের অন্তর স্থল থেকে আন্তরিক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানায়।আমি আরোও অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানায় সকল সুদক্ষ মডারেটরদের।
যারা আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান/ বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য আমি শেয়ার করছিঃ
নকসী কাঁথা বর্তমানে আমার স্থানীয় লোকসংস্কৃতি ঐতিহ্যঃ
আমার স্থানীয় লোকসংস্কৃতি অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন হচ্ছে নকসী কাঁথা। আমার গ্রামের কিশোরী থেকে শুরু করে মধ্যম বয়সের মেয়েরা নকসী কাঁথা বানিয়ে থাকে।
#নকসী কাঁথা তৈরির জন্য প্রয়োজন পরিষ্কার কাপড়, রঙিন সুতা,সুচ ও নিজের দক্ষতা।
আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজন মেটাতেই নকসী কাঁথা তৈরি করে।
একজন বাঙালি হিসেবে নকসী কাঁথা শিল্পকে সমাদর করা,রক্ষা করা এবং নকসী কাঁথার গুরুত্ব বর্তমান প্রজন্মের নিকট তুলে ধরা আমার, আপনার, সকলের একান্ত দ্বায়িত্ব।
মৃৎশিল্পঃ
মৃৎশিল্পের যে সব জিনিস- পাত্র আমাদের স্থানীয় লোকসংস্কৃতি ঐতিহ্য থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে সেগুলো হলঃ
চেরাগ
অতীতে এই চেরাগ ছিলো আলোর প্রধান উৎস। কিন্তু, বর্তমানে চেরাগ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
পানি রাখার ছোটো ঘড়া বা ঘটিঃ
আমাদের স্থানীয় লোকসংস্কৃতি অন্যতমপ্রধান ঐতিহ্য এই পাত্র।
মাটির পুতুল
গ্রামঅঞ্চলের ছেলেমেয়ে দের খেলনা ছিলো মাটির পুতুল
মাটির বড়ো ভাড় বা কলসি ও ঠিলাঃ
আমাদের লোকসংস্কৃতি থেকে এই মাটির পাত্রগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। এর ব্যবহার একেবারিই কম।তবে শীতকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য ছোটো ঠিলা ব্যবহারিত হয়।
সরাই বা ঢাকনা, মালসা ও ঢোকসাঃ
এই সব ঐতিহ্যবাহী মাটির পাত্রগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে।
আমাদের লোকসংস্কৃতি এখন অপসংস্কৃতির কালো ছায়ায় আচ্ছাদিত, বিপর্যস্ত। দেশীয় লোকসংস্কৃতির এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে তা রক্ষা করতে।তবেই আবার আমাদের লোকসংস্কৃতি তার আপন মহিমা নিয়ে জেগে উঠবে।
মনে রাখতে হবে,আমাদের স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে আমাদের বাঙালি জাতিসত্তা নিহিত আছে।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই নিরাপদে থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে
অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টটি উপস্থাপনা করেছেন যা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
মানুষের হাতে বানানো জিনিস পত্র বর্তমান খুবই কম দেখা যায়। বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তাই এগুলো এখন আর দেখা যায় না। এখন বিলুপ্তির পথে হাঁটছে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্ট টি পড়ে আপনি সঠিক মতামত ব্যক্ত করেছেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হারিয়ে যাওয়া অনেক গুলো লোকসংস্কৃতির ছবি এবং বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আমাদের দেশে এখন নকশী কথার চল নেই বললেই চলে। সবই আমাদের থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার মুল্যবান প্রশংসা পাওয়া সত্যিই আমার সৌভাগ্য। চির কৃতজ্ঞ থাকবো। শুভকামনা আপনার জন্য।
ভাই বিশেষ করে নকশি কাঁথা টি খুব সুন্দর হয়েছে। হাতের কারুকাজ টি ছিল অসাধারণ সুন্দর।
তাছাড়াও মাটির যাবতীয় তৈজসপত্র আজ বিলুপ্ত প্রায়
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার এ ক্ষুদ্র পোস্টের মাধ্যমে আপনার মুল্যবান প্রশংসা পাওয়া সত্যিই আমার সৌভাগ্য। চির কৃতজ্ঞ রইলাম। শুভকামনা আপনার জন্য।
বেশ ভালো লেগেছে। অনবদ্য হয়েছে। ভাইয়া আপনি যে বিষয় গুলি তুলে ধরেছেন। সত্যিই এখন বিলুপ্তির পথে।আমাদের বাড়িতে ছিলো মেটো কলসি থেকে শুরু আরো ও অনেক মাটির পাত্র গুলি। নকশি কাঁথাও দিন দিন বিলুপ্তির পথে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্ট টি পড়ে আপনি সঠিক মতামত ব্যক্ত করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।