| হ্যালো বন্ধুগণ, আমি @bidyuy01. আজ বৃহস্পতিবার। ১১ই আগস্ট, ২০২২ইং। |
|---|
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ইউনিক পটলের রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। তাই, ভোজন প্রিয় একজন বাঙ্গালী হিসেবে আজ আমি আপনাদের নিকট পটলের ইউনিক রেসিপি শেয়ার করছি। আমি আশা করি, পটলের ইউনিক রেসিপিটি আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
ইউনিক পটলের রেসিপি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:-
| উপাদান | পরিমাণ |
|---|
| পটল | ৫০০ গ্রাম |
| রুই মাছের মাথা ও তেলাপিয়া মাছ | ৫০০ গ্রাম |
| আলু | ২০০ গ্রাম |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| কাঁচা মরিচ | ৮-১০টি |
| শুকনো মরিচের গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
| পেঁয়াজের কুচি | ৩ টেবিল চামচ পরিমাণমতো |
| রসুনের বাটা | ১.৫ টেবিল চামচ |
| হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
| ধনিয়া গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
| দারচিনি | পরিমাণমতো |
| লবণ | পরিমাণমতো |
ইউনিক পটলের রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়াগুলো নিম্নে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলো:
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
প্রথমেই আমি পটলগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে নিলাম। তারপর পটলগুলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধৌত করে নিলাম। ধৌত করা পটলগুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিলাম।
⬇️ ধাপ-০২:⬇️
রেসিপিটি ইউনিক করার জন্য পরিমাণ মতো আলু কেটে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম। তারপর ধৌত করা আলুগুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দিলাম।
⬇️ ধাপ-০৩:⬇️
তেলাপিয়া মাছ এবং রুই মাছের মাথা সুন্দর ভাবে কেটে নিলাম। তারপর কেটে নেওয়া মাছ গুলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখলাম। তারপর মাছগুলোর সাথে পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া, শুকনো মরিচের গুড়া এবং লবণ ভালোভাবে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। তারপর তেলাপিয়া মাছ এবং রুই মাছের মাথা পটলের সাথে রান্না করার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত করে নিলাম। এক্ষেত্রে রুই মাছের মাথার ফটোগ্রাফি করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৪:⬇️
একটি পরিষ্কার কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিলাম। তারপর তেলাপিয়া মাছ এবং রুই মাছের মাথা সয়াবিন তেল দিয়ে ভেজে নিলাম। ভেজে নেওয়া মাছগুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখলাম।
⬇️ ধাপ-০৫:⬇️
তারপর কড়াই এর ভিতর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল, ফালি করে কেটে নেওয়া কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজের কুচি, পরিমাণ মতো রসুন বাটা, পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া, ধনিয়া গুড়া, দারচিনির গুড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম। একটি খুন্তি দিয়ে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দিলাম। তারপর কড়াইয়ের ভিতর মসলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।
⬇️ ধাপ-০৬:⬇️
তারপর কষিয়ে নেওয়া মসলাগুলোর ভিতর পরিমাণ মতো পটল এবং পরিমাণ মতো আলু ঢেলে দিলাম। একটি খুন্তি দিয়ে পটল এবং আলু গুলোর সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দিলাম। তারপর পটল এবং আলু গুলো মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
⬇️ ধাপ-০৭:⬇️
কষিয়ে নেওয়া পটল গুলোর ভিতর পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি ঢেলে দিলাম। তারপর একটি ঢাকনা দিয়ে কড়াইটি ঢেকে দিলাম। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দেওয়া শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর কড়াইয়ের ভিতর পটল এবং আলুগুলো আধা সিদ্ধ হয়ে গেল।,
⬇️ ধাপ-০৮:⬇️
আদা সিদ্ধ পটল গুলোর ভিতর ভেঁজে নেওয়া তেলাপিয়া এবং রুই মাছের মাথা ঢেলে দিলাম। তারপর কড়াইয়ের ভিতর পটলের উপর অল্প পরিমাণ দারচিনির গুড়া এবং পরিমাণ মতো অন্যান্য মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। পুনরায় চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দেওয়া শুরু করলাম।
⬇️ শেষ ধাপ ⬇️
১০-১২ মিনিটের মধ্যেই সুস্বাদু পটলের ইউনিক রেসিপি সুসম্পন্ন হয়ে গেল। তবে পটলগুলো একটু বেশি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল যার কারণে পটলগুলো প্রায় গলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
⬇️ পরিবেশন ⬇️
রান্না করা সুস্বাদু পটলের তরকারি আলাদা নতুন পাত্রে ঢেলে রাখলাম। তারপর পটলের অনন্য এই তরকারি গুলো পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে পরিবেশন করা হলো। আমার পরিবারের সকল সদস্যগণ পটলের এই ইউনিক রেসিপি খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছে।
| সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি আশা করি পটলের ইউনিক রেসিপিটি আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনারাও পটলের ইউনিক রেসিপি তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
|---|
| ১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ। |
|---|
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে পটল দিয়ে মাছ রান্না করে আমরা মাঝেমধ্যে বাসায় খেয়ে থাকি। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক উৎসাহ মূলক কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার তৈরি করা মাছ দিয়ে পটলের রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। এরকম ভাবে পটল রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর মাছ দিয়ে যখন পটল রান্না হয় সেদিন আসলে আমার খুবই ভালো লাগে কেননা এরকম ভাবে রেসিপি তৈরি করে খেলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয় অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার তৈরি করা পটল রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো । আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
আপনিই মনে হয় এই প্রতিযোগীতার প্রথম প্রতীযোগী । বেশ ভালো লাগলো দুই রকমের মাছ দিয়ে পটলের রেসিপি তৈরি করেছেন । যদিও এই সময়ে এসে আলু গুলোতে একটু মিষ্ট ভাব চলে আসে তারপরেও পটলের সাথে একটু বেশী ঝাল বাড়িয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে পটলের রেসিপি তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের জন্য ।
হুম প্রতিযোগিতার প্রথম প্রতিযোগী আমি। গঠনমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু তরকারিটা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ইউনিক পটলের রেসিপি।দেখতে চমৎকার হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে যেনো কতটা টেস্টি হয়েছে।খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন আপনি। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দাদা আপনার করা ইউনিক পটলের রেসিপি টা সত্যি অসাধারণ ৷মনে হয় আপনিই সবার আগে এই পোষ্ট শেয়ার করলেন ৷ধন্যবাদ ভাই
আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাহ,পটলের রেসিপিটি দারুণ হয়েছে।ধাপগুলো সুন্দর ছিল,তাছাড়া আপনি মনে হয় প্রথম কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।তেলাপিয়া মাছ আমার খুবই প্রিয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু আমি এই কনটেস্টে প্রথম অংশগ্রহণ করি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
টুইটার লিংক
২১ তম প্রতিযোগিতায় আপনাকেই প্রথম অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখছি। পটলের ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা বেশ লোভনীয় ছিল।
এমন লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গঠনমূলক মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।