DIY: বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প//পর্ব-১৫[কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরি]
আসসালামু আলাইকুম।
💖আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে সুস্বাগতম💖
আজ ০৯/০১/২০২২ইং। রোজ: রবিবার।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন এবং নিরাপদে আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের দেশের অন্যতম পুরাতন শিল্প হচ্ছে মৃৎশিল্প। একসময় আমাদের দেশে মৃৎশিল্প অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। আমাদের দেশের কুমোর সম্প্রদায়ের মানুষেরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাদামাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করত। তাদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র আমাদের দেশের মানুষের নিকট অতি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনের ফলে আস্তে আস্তে আমাদের দেশের মানুষের নিকট থেকে মৃৎশিল্পের ব্যবহার কমতে থাকে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের দেশ থেকে মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এই বিলুপ্ত হওয়া মৃৎশিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র নতুনভাবে তৈরি করে আপনাদের নিকট শেয়ার করার জন্য আমি একটি সিরিজ চালু করেছি। আজ আমি আমার চলমান সিরিজের পর্ব-১৫ পাবলিশ করছি। আজ আমি কাদামাটি দিয়ে তৈরি রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরির একটি মডেল আপনাদের নিকট শেয়ার করছি। আমি আশা করি আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। প্রিয় বন্ধুগণ, চলুন দেখে আসি কাদামাটি দিয়ে তৈরি রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরির প্রসেস গুলো।
উপাদান পরিমাণ কাদামাটি পরিমাণমতো
💖 কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরীর প্রসেসগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হল💖
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
প্রথমে পরিমাণমতো কাদামাটি নিলাম এবং কাদামাটি গুলো ভালোভাবে সেনে নিলাম।
⬇️ ধাপ-০২:↙️
চুলা তৈরি করার জন্য কাদামাটি গুলো একটি নির্দিষ্ট সাইজ করে নিলাম।
⬇️ ধাপ-৩:⬇️
হাত দিয়ে কাদামাটি গুলোর মাঝখানে গর্ত করে নিলাম। চারিপাশের বাড়তি কাদামাটি গুলো হাতের আংগুল দিয়ে ঝরিয়ে দিলাম।
♣️ ধাপ-০৪:♣️
হাত দিয়ে চুলার ভিতরের অংশ এবং বাহিরের অংশ গুলো সুন্দরভাবে নেপে মসৃণ করে দিলাম।
👇 ধাপ-০৫:👇
অল্প পরিমাণ কাদামাটি দুই হাত দিয়ে ভালোভাবে সেনে নিলাম।
↘️ ধাপ-০৬:↙️
সেনে নেওয়া কাদামাটি গুলো দুই হাতের তালুর সাহায্যে গোলাকার ফুটবলের মত তিনটি বল তৈরি করে নিলাম।
⬇️ ছবি-৭:⬇️
গোলাকার বল তিনটি চুলার উপর তিনটি অংশে বসিয়ে দিলাম। এবার এই তিনটি বল দিয়ে চুলার ঝিক বানানো শুরু করলাম।
⬇️ ছবি-৮:↙️
চুলার উপর তিনটি ঝিক বসিয়ে দিলাম।
⬇️ ছবি-৯:⬇️
চুলার উপর ঝিক লাগানোর পরে চুলার মুখ তৈরি করে দিলাম।
♣️ ছবি-১০:♣️
চুলার ঝিক সহ চুলার সমস্ত অংশটুকু হালকা পানি দিয়ে ভালোভাবে নেপে দিলাম। চুলার মুখের অংশটুকু হাত দিয়ে সমান করে নেপে মসৃণ করে দিলাম।
👇 ছবি-১১:👇
হাত দিয়ে চুলার ভিতরের অংশটুকু সমান করে নেপে দিলাম।
↘️ ছবি-১২:↙️
হাতের উপর হালকা পানি নিয়ে চুলার সমস্ত অংশটুকু আরো একবার সুন্দর করে নেপে মসৃণ করে দিলাম। আর এভাবেই কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা তৈরি হয়ে গেল।
⬇️ ধাপ-১৩:⬇️
কড়াই তৈরি করার জন্য পরিমাণমতো কাদামাটি দুই হাত দিয়ে ভালোভাবে সেনে নিলাম।
⬇️ ধাপ-১৪:↙️
কাদামাটিগুলো দিয়ে প্রথমে কড়াইয়ে আকৃতি করে দিলাম।
⬇️ ধাপ-১৫:⬇️
হাত দিয়ে ভালোভাবে নেপে কড়াই এর মাঝখানে একটু নিচু করে দিলাম এবং কড়াইয়ের সমস্ত অংশটুকু সুন্দর ভাবে নেপে মসৃণ করে দিলাম।
♣️ ধাপ-১৬:♣️
কড়াইয়ের হাতল তৈরি করে নিলাম।
কড়াইয়ের হাতল লাগানো শুরু করলাম।
কড়াইয়ের দুইটি হাতল সুন্দর করে লাগিয়ে দিলাম। আর এভাবে তৈরি হয়ে গেল কাদামাটি দিয়ে রান্না করার কড়াই।
👇 ধাপ-১৭:👇
আর এভাবেই কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরি সুসম্পন্ন হয়ে গেল।
এই ছিল আমার আজকের মত আয়োজন। মৃৎশিল্পের অন্তর্গত কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরীর এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার পরিচিতি | কিছু তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @bidyut01 |
ফটোগ্রাফার | @bidyut01 |
ডিভাইস | infinix hot 11 S |
আমার বাসা** | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৮ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে ব্লগিং করা |
আপু আপনার ডাই দেখে ছোট বেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় যখন মাটি দিয়ে হাড়ি-পাতিল বানিয়ে খেলতাম তখন খুবই মজার দিন ছিল। হয়তো আর কখনো এই দিন ফিরে আসবে না। আপু আপনার ডাই আমার খুব খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যাক শেষ পর্যন্ত আমার পোস্টটি দেখে যে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়েছে এতে আমি অনেক সন্তুষ্ট হলাম।
দেখেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। মৃৎশিল্প নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া। কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া অতি জনপ্রিয় একটি আর্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি। খুবই সুন্দর হয়েছে মাটির চুলা এবং কড়াই টি। আপনার সিরিজের আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক উৎসাহ মূলক মন্তব্য করেছেন আপনি। অনেক খুশি হলাম আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে।
কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। বিশেষ করে চুলা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার চুলা তৈরি দেখে ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল। ছোটবেলায় মাটির চুলা অনেক বানিয়েছি। তবে এতটা সুন্দর করে হয়তো বানানো হয়নি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি মাটির চুলা ও কড়াই তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাদামাটি দিয়ে তৈরি চুলাটি আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে আমি অনেক খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই গ্রামীণ শিল্পগুলো এখন বিরল প্রায়।কিন্তু গ্রামে গেলে এখন এগুলার সন্ধান পাওয়া যায় প্রায় বাড়িতে বাড়িতেই আছে।আর সেগুলো নিয়েই খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।🤟🖤
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন আপনি।
আরে বাহ! অনেক সুন্দর হয়েছে কাদামাটি দিয়ে রান্না করার চুলা এবং কড়াই তৈরি। তবে আমাদের দেশে মৃৎশিল্প যতদিন যাচ্ছে ততই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে । আপনি অনেক সুন্দর চুলা তৈরি করতে পারেন ।অনেক গুলো ধাপে ও বর্ণনা দিয়েছেন সুন্দর ভাবে । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন।
আমার এই পোষ্টটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। আমার এই পোস্টের টুইটার লিংক:https://twitter.com/bidyut01/status/1480208959948476416?t=4rXxBRLNoKcv9jQyPD_SUA&s=19
মৃৎশিল্পকে আপনি এখনো আপনার মাঝে রেখেছেন তা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। খুব সুন্দর একটি চুলা এবং কড়াই বানিয়েছেন। সুন্দর হয়েছে অনেক। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর ও গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন।
ভাই আপনিও দেখছি কাদা মাটি দিয়ে সুন্দর কারুকার্য সম্পন্ন করেছেন।কাদামাটি দিয়ে তৈরি করা চুলা এবং কড়াই উভয়ই অনেক সুন্দর হয়েছে।ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
হ ভাই অনেক দিন পর দেখলাম এটা। আমরা ছোট বেলার সবাই মিলে এ রকম কাঁদা মাটি দিয়ে খেলতাম। খুব মজা করতাম আমারা। আপনার বানানো চুলা ও করাই অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমার পোস্ট টি পড়েসুন্দর মতামত দিয়েছেন