গল্প :- প্রিয়জন // পর্ব - ০৮
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সীমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সীমার মুখ থেকে "না" শব্দটি শুনে সাগর হতভম্ব হয়ে গেল। মুহূর্তেই সাগরের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। সাগর সীমাকে নিয়ে এত যে স্বপ্ন দেখেছে তার সমস্ত স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। সীমাকে নিয়ে সাগরের সকল স্বপ্ন ও আশা গুলো নিরাশার রূপ ধারণ করলঝ। লজ্জায় মাথা নিচু করে সীমা এবং ঝর্নার সামনে সাগর দাড়িয়ে রইল। আসলে অনেক আশা নিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে যদি সরাসরি নেগেটিভ উত্তর আসে তাহলে ভালোবাসায় গড়ানো মনটা কাঁচের মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যেমনটি ঝর্নার ক্ষেত্রে হয়েছিল সাগরকে প্রথমে ভালোবেসে। কিন্তু ঝর্না তো তার ভালোবাসার কথা সাগরের নিকট প্রকাশ করতে পারিনি।
সীমার মুখ থেকে সাগরের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান শুনে ঝর্না মনে মনে খুবই খুশি হলো। আর ঝর্ণার তো খুশি হওয়ারই কথা। যে ঝর্না তার নিজের জীবনের থেকেও সাগরকে বেশি ভালোবাসতো। কিন্তু ঝর্নার এই অপ্রকাশিত ভালোবাসা একদিন হতাশার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু আজ সেই হতাশায় সাগরের জীবন ভরাডুবি হয়ে উঠেছে। ঝর্না তার কোমল হাতটি বাড়িয়ে সাগরের হাতটি চেপে ধরলো। সাগরের হাতের উপর ঝর্ণার হাত দেখে সাগর কেমন যেন বাচ্চা ছেলের মতো চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। সাগরের চোখে জল দেখে ঝর্নার চোখ দিয়েও নোনা জল গড়াতে লাগলো।
এদিকে সাগর ও ঝর্ণার এমন অবস্থা দেখে সীমা বেশ বিস্মিত হয়ে গেল। তারপরে সীমা বলতে লাগলো, হয়তো আমার এরকম ভাবে বলা উচিত হয়নি। তারপর সীমা আরো বললো, তবে আমার সম্বন্ধে প্রথমেই আপনাকে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত ছিল। কারণ আমি একজন বিবাহিত নারী। আমার স্বামী আছে। সীমার মুখে এরকম কথা শুনে সাগর ও ঝর্ণা পুনরায় হতবাক হয়ে গেল। সীমা আর বললো যে, তার স্বামী ইউরোপের একটি দেশে থাকে। এই বছরের শেষের দিকে সে তার স্বামীর সাথে প্রবাসে চলে যেতে পারে। সীমার মুখে এরকম কথা শুনে সাগর লজ্জায় ও ক্রোধে নিজের উপর নিজেই রাগ করতে লাগলো।
সাগর অত্যন্ত মৃদুস্বরে সীমাকে বললো, আমাকে ক্ষমা করে দিও। তবে সীমা বললো, ভাইয়া এখানে অপরাধের কিছু নেই। আপনি আপনার মনের কথাগুলো জানানোর চেষ্টা করেছেন। এখানে আপনার কোন ভুল হয়নি। তবে প্রত্যেক মানুষেরই নিজের পছন্দমতো প্রিয়জন খুঁজে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই আপনিও সঠিকভাবে চেষ্টা করলে অবশ্যই আপনার মনের মানুষ প্রিয়জনকে খুঁজে পাবেন। এ কথা বলে সীমা সেখান থেকে চলে গেল। এরপর হতাশায় জর্জরিত সাগরকে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে দিতে সহায়তা করতে লাগলো ঝর্না। ঝর্না সাগরকে বললো, তোমাকে একজন তার নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে। এ কথা শুনে সাগর ঝর্নার মুখে দেখে তাকালো।💖💝❤️💕
গল্পটি চলমান থাকবে। গল্পটির নবম পর্ব আগামী সপ্তাহে শেয়ার করা হবে।
গল্পের সপ্তম পর্বটি পড়ার লিংক
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.