গল্প: মামা ও ভাগ্নে। পর্ব: ০৯ || তাং: ১৭/০৩/২০২৩ ইং।

Source

হেরোইন নামটি শুনেই হৃদয় চমকে উঠলো এবং বলল এগুলোর তো অনেক টাকা দাম। সুজন বললো, হ্যাঁ এগুলোর মূল্য প্রায় কোটি কোটি টাকা হবে। হেরোইনের মূল্য কোটি টাকা শুনে হৃদয়ের চোখ কপালে উঠে গেল। তখন হৃদয়ের মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা-ভাবনা চলে আসতে লাগলো। হৃদয় চিন্তা করলো যে হেরোইন গুলো যদি আমরা অন্যত্র বিক্রয় করতে পারি তাহলে দিনে-দুপুরে কোটিপতি হয়ে যাব। আমাদের আর কোন টাকার অভাব থাকবে না।

Source

তাই হৃদয় তার মামার সুজন কে বলল, মামা চলো এগুলো নিয়ে আমরা এখান থেকে চলে যায়। তারপর এগুলো বিক্রয় করে আমরা কোটিপতি হয়ে যাব। ভাগ্নে এরকম কথা শোনার সাথে সাথে সুজন রেগে ধমক দিয়ে উঠলো। এবং বলল, দূরে যা চ্যাংড়া। এসব কথা মুখে আনাও পাপ। এ সমস্ত কাজগুলো যারা করে তারা দেশের শত্রু, আমাদের জাতির শত্রু। সুজন আরো বলল, আমি হতে পারি একজন ছিচকে চোর। কিন্তু আমি বেইমান না। আমার দেশের সাথে এবং আমার দেশের মানুষের সাথে আমি কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না। তাই তুমি কখনো যদি এ কথা মুখে আনো তাহলে আমি তোমাকে ক্ষমা করব না।

Source

মামার মুখে এরকম কথা শুনে হৃদয় খুবই লজ্জিত হলো এবং তার মামার নিকট ক্ষমা চাইলো। তারপর সুজন আরো একটি বাক্সের তালা ভাঙলো। সেই বাক্সটিতেও রয়েছে এই হেরোইনের প্যাকেট বোঝাই করা। সুজন তখন ভাবলো যে, এরা ডাকাত নয় এরা হলো চোরাকারবারীর দল। তারপর সুজন এবং হৃদয় সব থেকে ভারী বাক্সের তালা ভাঙতে লাগলো। ভারী বাক্সের তালা ভেঙ্গে সুজন এবং হৃদয় দেখল বাক্সের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য মদের বোতল। মদের বোতল গুলো দেখে সুজন বুঝতে পারল যে এগুলো অনেক দামি বিদেশি মদের বোতল।

Source

তারপর এতগুলো মাদকদ্রব্য জব্দ করে সুজন এবং হৃদয় খুবই চিন্তায় পড়ে। হঠাৎ সুজন বলে উঠল পেয়েছি। হৃদয় বললো, কি পেয়েছো মামা? উত্তরে সুজন বলল, মাদক ব্যবসায়ী এই দেশের শত্রুদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার বুদ্ধি পেয়েছি।

Source

[গল্পটি চলমান থাকবে]