"আমার অন্তরে তুমি" মুভিটির রিভিউ||তাং:-০৬/০৭/২০২২ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট 'আমার অন্তরে তুমি' মুভিটির রিভিউ উপস্থাপন করছি। আশা করি মুভিটির রিভিউ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:-
মুভিটির নাম | আমার অন্তরে তুমি |
---|---|
পরিচালক | এম এম সরকার |
অভিনয়ে | শাকিল খান, শাবনুর, বাপ্পারাজ, সন্ধ্যা, আহমেদ শরীফ, খলিল, ডলি জহুর, এটিএম শামসুজ্জামান, দিলদার, নাসরিন ও অন্যান্য। |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ২:৩১ মিনিট |
মুক্তি পায় | ১৯৯৮ সালে |
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুভিটির সারসংক্ষেপ।
মুভিটির শুরুতেই আমরা দেখতে পাই আগুন নামের একটি ছেলে শর্মিলা নামের একটি মেয়েকে নদী থেকে তুলে মেয়েটির প্রাণ বাঁচায়। পরবর্তীতে আগুনের সাথে মেয়েটির বন্ধুত্ব হয়ে যায়। মেয়েটি আগুনকে বলে বন্ধু কোনদিন পর হয় না, বন্ধু চিরদিন আপন থাকে। তাই মেয়েটি আগুনকে তাকে সাথী নামে ডাকতে বলে। এদিকে আগুনের মা আগুনকে ওই মেয়েটির সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করে। কারণ, চৌধুরীর কারণে আগুন গ্রামে বেওয়ারিশ নামে পরিচিত। একদিন আগুনের রাগ হয়েছিল শর্মিলাদের প্রতি, শর্মিলা নামের মেয়েটি আগুনকে একটি সুন্দর গান বলে (ওগো সাথী আমার তুমি কেন চলে যাও) রাগ ভাঙ্গিয়ে ছিল। আগুন যখন শর্মিলাদের বাড়িতে শর্মিলার সাথে খেলা করছিল তখন আগুনের মা এসে তাকে বাড়িতে যেতে বলে এবং শর্মিলার বাবা চৌধুরী সাথে আগুনের মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আগুন জানতে পারে তার বাবা আছে এবং তার বাবার খবর চৌধুরী সাহেব জানে। চৌধুরী তার গ্রামের বাড়ি এবং জমি জমা বিক্রয় করে যখন শহরে চলে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় আগুন চৌধুরীর কাছে এসে তার বাবার ঠিকানা চাই। এতে চৌধুরী খুবই রাগান্বিত হয় এবং আগুনকে অনেক মারধর করে। ওই সময় শর্মিলা আগুনের জন্য অনেক কান্না করছিল এবং যাওয়ার সময় শর্মিলার প্রিয় পুতুলটি রাস্তায় ফেলে গিয়েছিল। আগুন শর্মিলার প্রিয় পুতুলটি সযত্নে হাতে তুলে নিল এবং পিতার খোঁজ করার জন্য আগুন শহরে চলে গেল।
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগুন শহরে গিয়ে মুরুব্বী নামের একজন অসাধু মানুষের নিকট আশ্রয় লাভ করে এবং আগুন ধনী হওয়ার জন্য মুরুব্বির সাথে খারাপ কাজ করা শুরু করে। আগুন শহরে তার খেলার সাথীকে সময় পেলেই খুঁজতে থাকে। আগুন প্রচুর টাকা পয়সার মালিক হয় এবং তার গ্রামে চৌধুরীর বিক্রয় করা সেই পুরনো বাড়িটি ক্রয় করতে সক্ষম হয়। একদিন শহরের একটি সঙ্গীতালয়ে 'ওগো সাথী আমার তুমি কেন চলে যাও'এই গানের সুর শুনতে পায় এবং আগুন সেখানে ছুটে যায়। আগুন এবং সাথীর মধ্যে দেখা হয় কিন্তু দুজন দুজনাকে চিনতে পারে না। কিন্তু আগুন শর্মিলার গাড়ির পিছনে পিছনে আসে এবং পরবর্তীতে জানতে পারে এই তার বাল্যকালের সাথী এবং চৌধুরীর মেয়ে। এদিকে খান সাহেবের একমাত্র ছেলে শামীম বিদেশ থেকে লেখাপড়া শেষ করে দেশে এসেছে। খান সাহেব এবং চৌধুরী দুজন অন্তরঙ্গ বন্ধু। এই বন্ধুত্বের সুবাদে খান সাহেবের ছেলে শামীম চৌধুরীর বাড়িতে আসে এবং প্রথম দেখায় চৌধুরীর মেয়ে শর্মিলার প্রেমে পড়ে যায়। এদিকে মুরুব্বির খুবই কাছের লোক ছিল তোতা নামের একটি ছেলে। মুরুব্বি যখন তোতাকে তোতা বলে ডাক দিত, তখন তোতা এসে বলতো আমি আপনার পায়ের জুতা। তোতা নামের ছেলেটির কাজ ছিল সুন্দর হাস্যরস সৃষ্টি করা। মুরুব্বির কাজে সহায়তাকারি চান্দা নামের একটি মেয়ে আগুনের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আগুন তাকে কোন পাত্তা দেয় না।
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শামীম বিদেশ থেকে লেখাপড়া শিখে আসলেও সে চায় একটা ভালো চাকরি করে নিজের মতো চলতে। সে তার বাবার টাকা পয়সার পরিচয়ে নিজেকে সকলের নিকট পরিচিত করতে রাজি নয়। তাই শামীম একদিন চৌধুরীর ফ্যাক্টরিতে চাকরি গ্রহণ করে। তারপর একদিন ফ্যাক্টরিতে গুন্ডাদের সাথে ফাইট করার সময় আগুন এসে শামিমকে গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করে। তখন আগুন এবং শামীমের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। তারপর শামীমের জন্মদিনে আগুন অন্যতম অতিথি হিসেবে আসে। ওই জন্মদিনের অনুষ্ঠান শর্মিলার অনুরোধে আগুন গান গাওয়ার সুযোগ লাভ করে। তখন আগুন তার বাল্যকালের সেই গান 'ওগো সাথী আমার তুমি কেন চলে যাও' গানটি পরিবেশন করে। পরবর্তীতে শর্মিলা তার বাল্যকালের বন্ধুকে চিনতে পারে। এদিকে আগুন চৌধুরীর উপর চরম প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কৌশলে চৌধুরীকে পথের ফকির বানিয়ে দেয়। এদিকে আগুন আর মুরুব্বির কোন কাজ করবে না বলে সরাসরি মুরুব্বী কে জানিয়ে দেয়। ফলে মুরুব্বী আগুনের প্রতি তীব্র আকারে রেগে যায়।
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শর্মিলা এবং শামীমের মধ্যে যখন দৃঢ় ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি হয়ে গেছে তখন চৌধুরীর অসহায়ত্বের কারণে খান সাহেব তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলে। ঠিক ওই সময় আগুন চৌধুরীকে অনেকগুলো টাকা দিয়ে সাহায্য করে এবং চৌধুরীকে তার গ্রাম এনায়েতপুরে নিয়ে যায়। সেখানে আগুনের মায়ের সাথে চৌধুরীর দেখা হয় এবং চৌধুরী প্রতিজ্ঞা করে যে আগুনের বাবাকে এইখানে নিয়ে আসবে। কিন্তু মুরুব্বি সুকৌশলে চৌধুরীকে হত্যা করে। তারপর খান সাহেব শর্মিলার সাথে শামীমকে বিয়ে দিতে কোনমতেই রাজি ছিলেন না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন শর্মিলার পিতা নিঃস্ব হয়ে মারা গেছে। কিন্তু আগুন তার সমস্ত টাকা-পয়সা কৌশলে শর্মিলা নামে দিয়ে দেয় এবং আগুন খান সাহেবকে বলেছিল শর্মিলার পিতা শর্মিলার নামে এই টাকাগুলো রেখে গেছিল। তারপর শামীমের সাথে শর্মিলার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। বিয়ের কিছুক্ষণ আগে মুরুব্বী তার লোকজন নিয়ে এসে শর্মিলাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর মুরুব্বির গুন্ডা বাহিনীর সাথে শামীম এবং আগুন যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে আগুনকে বাঁচাতে গিয়ে চান্দা মুরুব্বির গুলিতে নিহত হয় এবং আগুনও মুরুব্বির গুলিতে সাংঘাতিক আকারে আহত হয়। তারপর মুরুব্বীকে হত্যা করে আগুন। এদিকে শামীম গুন্ডাদের হাত থেকে শর্মিলাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। তারপর তারা বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে আগুনের মায়ের সাথে আগুনের বাবার দেখা হয়। তারপর ঘটে যায় খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা। ওই সময় আগুন জানতে পারে শামীম তার আপন ছোট ভাই। তারপর আগুন সকলের সামনে শর্মিলাকে একবার সাথী বলে ডেকে ওঠে। তখন শামীম জানতে পারে শর্মিলার সাথে আগুনের বাল্যকালের সম্পর্কের কথা। তারপর সবার সামনে আগুনের মৃত্যু হয়। আগুনের মৃত্যুর পরপর আবারও তার বাল্যকালের সেই গানটি ভেসে ওঠে 'ওগো সাথী আমার তুমি কেন চলে যাও'। তারপর মুভিটি শেষ হয়ে যায়।
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা
এই মুভিটি থেকে আমরা অনেকগুলো শিক্ষা অর্জন করতে পারি। মুভিটি থেকে আমরা প্রধান যে শিক্ষা গ্রহণ করব সেটা হলো কোন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তাকে বিয়ে করে সে নারীর সাথে প্রতারণা করা যাবে না। এমন অন্যায় কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না। পাশাপাশি অর্থ সম্পদ নিয়ে সকল প্রকারে আত্ম অহংকার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কেননা, অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে। সকল প্রকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে এবং প্রতিবাদ করতে হবে। যেকোনো ধরনের মিথ্যা অপবাদকে পদদলিত করতে হলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। অর্থ সম্পদকে বড় করে দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের অধিকার এবং মর্যাদা দিতে হবে। সকল প্রকারে অসাধু মানুষের সাথে মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। সকল মানুষের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি নারী জাতিকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
স্ক্রিনশট দিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিনেমাটি সম্পর্কে আমার মতামত
'আমার অন্তরে তুমি মুভিটি'একটি রোমান্টিক প্রেম কাহিনীর উপর রচিত। আমাদের মানব সমাজে ঘটে যাওয়া অনেক বাস্তব দৃশ্য এই মুভিটিতে ফুটি উঠেছে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের প্রতারক এবং প্রতারকদের কাজে সহায়তাকারীদের সম্পর্কে সচেতন হতে এই মুভিটি আমাদের প্রত্যেকেরই একবার হলেও দেখা উচিত। এই মুভিটিতে আমরা দেখতে পাই আগুনের মা একজন প্রতারকের কবলে পড়েও সে প্রচন্ড ধৈর্য ধারণ করে এবং অবশেষে প্রতারক তার কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এছাড়াও এই মুভিটিতে আমরা দেখতে পাই অহংকারী মানুষের যেভাবে চূড়ান্ত পতন হয় তার বাস্তব দৃশ্য। তাছাড়া এই মুভিটিতে আমরা দেখতে পাই রোমান্টিক ভালোবাসার কিছু মুহূর্ত। যেখানে একজন প্রেমিক তার ভালোবাসার মানুষটিকে আসমান পরিমাণ শুধু ভালোবেসে গেছে কিন্তু তার ভালোবাসার অনুভূতির কথা তার প্রেমিকাকে বলতে পারেনি। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি বাংলা মুভি 'আমার অন্তরে তুমি'। আপনারা সময় পেলে অবশ্যই মুভিটি একবার হলেও দেখবেন।
আজকের এই মুভি টির ভিডিও দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে এখন তো এরকম মুভি গুলা কেউ দেখেনা কিন্তু আগের মুভিগুলোই ছিল সেরা। এই ছবিটি আমি অনেকবার দেখেছিলাম। আজকে আপনার মুভি রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। আমার প্রিয় নায়িকাদের মধ্যে একজন হচ্ছে শাবনুর। শাবনূরের ছবিগুলো আসলে খুবই অমলীন। এগুলোর সৌন্দর্য সারা জীবনও শেষ হবে না। এই ছবিটা আমি অনেকবার দেখেছি আমার অনেক ভালো লেগেছে আজ আবার আপনার মাধ্যমে জানতে পেরে।
সত্যি মুভিটা অনেকবার দেখেও মনের তৃপ্তি মেটে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার অন্তরে তুমি মুভিটা আমি আগে দেখলাম। খুবই দারুণ একটি প্রেমের মুভি। বিশেষ করে শাবনুরের অভিনব খুবই চমৎকার ছিল। আপনি অনেক সুন্দর একটা মুভি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
নিঃসন্দেহে মুভিটা একটি রোমান্টিক প্রেমের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটা মুভি রিভিউ দিয়েছেন। এই মুভিটি সত্যি দেখতে অসাধারণ। আপনার পোষ্টের ভিতর প্রতিটা স্টেপ অনেক সুন্দর করে তুলে ধরছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাশে থাকার জন্য এবং পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুরোনো দিনের বাংলা এই মুভি গুলো এখন কেউ দেখেইনা। আপনি সম্পূর্ণ মুভিটি দেখে রিভিউ দিয়েছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো।
মুভিটা আসলে অনেক সুন্দর । দেখেছিলাম অনেকদিন আগে। আপনার রিভিউ পড়ে আবারো কাহিনী গুলো চোখের সামনে ভাসলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকারভাবে মুভিটির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুরনো দিনের মুভি গুলোর মধ্যেই বাঙ্গালীদের আসল সংস্কৃতি নিহিত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শাবনুর কে আমার আম্মু ভীষণ পছন্দ করে। আমার আম্মুর ভীষণ পছন্দের একটি ছবি এটি। অনেক ছোটবেলায় দেখেছিলাম এই ছবি আমি। তবে আজকে আপনি এই মুভিটি রিভিউ দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
সত্যিই শাবনূর অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়িকা। আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।