চাঁদ মামার বাড়িতে "চন্দ্রযান-০৩"।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার । ২৪ ই আগস্ট, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি পড়তে এবং মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর গুলো শুনতে আমি খুবই পছন্দ করি। বেশ কিছুদিন যাবত মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতের "চন্দ্রযান-৩" নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর শুনছিলাম। এরপর থেকে 'চন্দ্রযান-৩' সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আমি খবর শুনতে থাকি। অবশেষে জানতে পারলাম বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ০৬:০৪ মিনিটে 'চন্দ্রযান-০৩' চাঁদ মামার বাড়ির মাটি স্পর্শ করবে। তারপর গতকাল বিকেল বাংলাদেশ সময় সাড়ে পাঁচটার পর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের দিকে চোখ রাখতে শুরু করলাম। ঠিক এমন মুহূর্তে আবারো লোডশেডিংয়ের হানা দিল আমাদের অঞ্চলে। তারপর মোবাইল ফোনে ডাটা অন করে ইন্ডিয়ান ইউটিউব চ্যানেল এবং facebook পেজ খুঁজতে লাগলাম যে কোন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করছে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তটুকু। অবশেষে খুজে পেলাম "রিপাবলিক বাংলা" নামের একটি ফেসবুক চ্যানেল, রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল "চন্দ্রযান-৩" চাঁদের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তটুকু।
রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের উত্তেজনাকর বার্তা, পাশাপাশি অসংখ্য মানুষের অপেক্ষার চিত্র এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুন্দর ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করার পাশাপাশি "চন্দ্রজান ৩" চাঁদে ল্যান্ড করার সময়টুকু চমৎকারভাবে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। উক্ত চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচার দেখে আমি নিজেও বেশ উত্তেজিত হয়ে গেছিলাম। আসলে 'চন্দ্রযান-৩' চাঁদে অবতরণ করার মুহূর্তটুকু আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং টানটান উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে আমি দেখেছিলাম যখন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে লেজার রশ্মি দিয়ে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করছিল, ঠিক তখনও ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বেশ নিশ্চিন্তায় সঠিকভাবে কাজ করছিল। ঠিক এমন মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ প্রফুল্ল মনে "চন্দ্রযান-৩" এর অবতরণ দেখছিলেন। "চন্দ্রযান-০৩" চাঁদের মাটিতে অবতরণের মাত্র ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড পূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী খুবই সুন্দর একটি হাসি দিলেন এবং তারপর ভারতীয় পতাকা ডান হাত দিয়ে উঁচু করে নাড়তে লাগলেন। তারপর পরই শুরু হয়ে গেল দারুণ একটি বিজয়উল্লাহ। আসলে "চন্দ্রযান-৩" মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করা নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের জন্য অবিস্মরণীয় একটি জয়।
"চন্দ্রযান-৩" চাঁদের মাটিতে অবতরণের সাথে সাথে আমি নিজেও অনেক আনন্দ উল্লাস করেছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করি ভারত আমাদের জন্য পৃথিবীর বুকে সবচাইতে এক অকৃতিম বন্ধু রাষ্ট্র। আর ভারতের জয় মানে সেটা বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য একটি আনন্দের সুসংবাদ। একই সাথে আমাদের বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য চমৎকার একটি উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে "চন্দ্রযান-৩" চাঁদে অবতরণ। তাই আমি বিশ্বাস করি, ভারতের চন্দ্র জয়ের উল্লাসে শরিক হয়ে আমাদের বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও একদিন চন্দ্র জয়ের জন্য চাঁদের দেশে যাত্রা করবে এবং চন্দ্র জয় করে পৃথিবীর বুকে অবিস্মরণীয় ঘটনার জন্ম দিবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের প্রতিবেশী দেশ চাঁদে চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। চন্দ্রযান-৩" চাঁদের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তটুকু আমাদের সবার জন্য সত্যি খুব অন্যরকম। চন্দ্রযান-৩" চাঁদে সফলভাবে অবতরণের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।