হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ১৫ মার্চ, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট আমার লেখা একটি গল্প শেয়ার করছি। আমার গল্পের নাম- 'মামা ও ভাগ্নে', পর্ব-০৭। আমি আশা করি আমার লেখা গল্পের পর্ব-০৭ আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
গল্পের ষষ্ঠ পর্বটি পড়ার লিঙ্ক
সুজন বলল, কি হয়েছে রে হৃদয়? হঠাৎ করে আমাকে এত জোরে চেপে ধরলি। হৃদয় বললো, মামা আমার খুবই ভয় লাগছে। সুজন বলে উঠলো, কেন রে? আমি তো তোর সাথেই আছি। হৃদয় বললো, মামা, আমি শুনেছি যে, মরা মানুষকে পুতে রাখলে সে ভূত হয়ে মাটির নিচ থেকে উপরে উঠে আসে। তারপর আশেপাশে মানুষ দেখলেই ধরে ঘাড় মটকে রক্ত খেয়ে চলে যায়। ভাগ্নের এমন কথা শুনে সুজন বলল, এ কথা আমিও তো জানি। কিন্তু ওখানে কোন ভূত নেই। কিন্তু হৃদয় বললো, মামা আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি ডাকাতরা ওইখানে লাশ পুতে গেল। সুজন বলে উঠলো, ডাকাতের সর্দার বলেছিল এগুলো এখানেই পুতেরাখ আগামীকাল রাতে নিয়ে যাব।
Source
সুজন প্রশ্ন করল, তাহলে ডাকাতরা ওখান থেকে আবার কি নিয়ে যাবে? হৃদয় বলল, হয়তো তারা নবজাতক কিংবা যুবক ছেলে-মেয়েদের লাশের ব্যবসা করে। সুজন মনে মনে ভাবল যে, সেও তো একদিন শুনেছিল, এখনকার ডাকাতেরা ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যুবক ছেলে-মেয়েদের মেরে তাদের লাশ নিয়ে ব্যবসা করে এবং লাশ থেকে কিডনি, চোখ এবং মাথার মগজ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পতঙ্গ গুলো অনেক টাকায় বিক্রয় করে। এ কথা ভাবতেই সুজনের শরীর ভয়ে ছমছম করে উঠলো। তখন সুজন তার ভাগ্নে হৃদয়কে বলল, চলো আমরা খুব দ্রুত এখান থেকে কেটে পড়ি। পুতে রাখা লাশের কাছে আমাদের যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তারপর তারা দু'জন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো এবং খুব জোরে জোরে হাঁটতে শুরু করলো।
সকালবেলা হওয়ার সাথে সাথে তারা দু'জন তাদের বাড়িতে পৌঁছে গেল। তারপর তারা দু'জন হাত মুখ ধুয়ে হালকা কিছু খেয়ে নিল। তারপর সুজন তার ভাগ্নেকে বলল, এখন আমাদের ঘুমোতে হবে। ভাগ্নে বলল, হ্যাঁ মামা, সারারাত আমাদের উপর তো আর কম ধকল যায়নি। তারপর তারা দু'জন একই বিছানায় ঘুমানো শুরু করল। যখন দু'জনের চোখেই ঘুম চলে এসেছে তখন বাহির থেকে কে যেন সুজন বলে চিৎকার করে ডেকে উঠলো। সুজন ও হৃদয় চিৎকার শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠলো এবং তারা দু'জন খুবই ভয় পেল। বাহিরে তাকিয়ে দেখল গাজর কিনতে সেই ক্রেতা এসেছে। ক্রেতাটি ছিল তমা'র বাবা তালেব আলী। তিনি এসেছিলেন ছদ্দবেশে। তালেব আলী সুজন ও হৃদয়কে একসাথে ঘুম থেকে উঠতে দেখে বিস্মিত হয়ে গেল। তারপর তালেব আলী তাদের নিকট গাজর কিনতে চাইলো। কিন্তু সুজন বলল, আপনি এখন চলে যান, এখন আমি গাজর বিক্রয় করব না। এ কথা শুনে তালেব আলীর সকল চিন্তা জটিল রূপ ধারণ করল। তারপর তালেব আলি সেখান থেকে চলে গেল। হৃদয় এবং সুজন পুনরায় ঘুমোতে গেল।
source
সুজনের চোখে ঘুম আসতে না আসতেই সে দেখতে পেল তার সামনে দুইজন মানুষ চলে এসেছে। দুইজনেই ছিল মেয়ে মানুষ। তারা দেখতে কি বিশ্রী? তাদের দু'জনের শরীর ছিল রক্ত মাখানো। তাদের দাঁতগুলো ছিল খুবই বড় বড় এবং ভয়ংকর চেহারা। তাদের হাতের নখগুলো ছিল খুবই ধারালো এবং লম্বা। মেয়ে দুইটি লম্বাই ছিল সুজনের দুই ডবল বড়। এরকম ভয়ঙ্কর আকৃতির মানুষ দেখে সুজন তার ভাগ্নে হৃদয়কে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো। সুজন বুঝতে পারল যে, এরা দু'জন ভয়ংকর ভূত। তারপর ভূত দুইটি সুজন এবং হৃদয়কে শক্ত করে ধরল। এমন পরিস্থিতিতে সুজন এবং হৃদয় দু'জনই ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলো।
source
source
ভূত দুটি ভয়ংকর কণ্ঠে এবং বিশ্রী চেহারায় বলতে লাগলো, তোরা আমাদের কাছে আসলি না কেন, আমাদেরকে ওখান থেকে নিয়ে গেলি না কেন, আমরা তো মুক্ত হতে চেয়েছিলাম, আমাদের মুক্ত না করেই পালিয়ে আসলি, আমাদেরকে দেখে ভয় করিস, হা হা হা, আজ থেকে তোরা দু'জনই আমাদের দলে চলে আসবি। এ কথা শুনে সুজন কোনরকমে ভুতের হাত থেকে বেরিয়ে সামনের দিকে দৌড়াতে লাগলো। দৌড়ানোর সময় সুজন ভাবল যে হৃদয় কোথায় আছে। পিছনের দিকে তাকাতেই সুজন দেখলো যে, ভূত দুটি হৃদয়ের ঘাড় ভেঙ্গে রক্ত পান করছে। এরকম দৃশ্য দেখে সুজন চিৎকার দিয়ে উঠলো, সঙ্গে সঙ্গে সুজন এবং হৃদয়ের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সুজন বিছানা থেকে উঠে বসে পড়লো। হৃদয় লক্ষ্য করলো তার মামার পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে এবং কেমন যেন হাপাচ্ছে।
[গল্পটি চলমান থাকবে]
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ । |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টুইটার লিংক