গল্প :- প্রিয়জন // পর্ব - ০৪

in আমার বাংলা ব্লগlast year



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ শনিবার। ১০ই জুন, ২০২৩ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।

siblings-gc11837ab2_1280.jpg

Source



সাগরের মা ঝর্ণাকে বসার জায়গা দিল। তারপর সাগরে মা তাদের বললো, তোমরা বসে গল্প করো। আমি তোমাদের জন্য চা এবং কিছু নাস্তা তৈরি করে নিয়ে আসি। ঝর্না চেয়ার সরিয়ে সাগরের মুখোমুখি বসলো। সাগরের মুখের দিকে একটু তাকিয়ে লজ্জায় ঝর্না তার মুখ নিচের দিকে নামালো। এদিকে সাগর, কি যেন কথা বলার জন্য ঝর্ণাকে বারবার চেষ্টা করতে লাগলো। একপর্যায়ে সাগর ঝর্নাকে বললো, "ঝর্না তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।" সাগরের মুখে এরকম কথা শুনে ঝর্না কেমন যেন চমকিয়ে উঠলো। তখন একটু মৃদুস্বরে ঝর্ণা বললো, হ্যাঁ বলো, তোমার কথা আমি শুনতেছি। কিন্তু সাগর বললো, "এখানে বলা যাবে না। মা যখন বাইরে যাবে তখন আমার ঘরে গিয়ে সব কথা তোমাকে বলবো।" সাগরের মুখে এরকম কথা শুনে ঝর্নার মন এবং শরীর কেমন যেন উঠলো। ঝর্না বুঝতে পারলো, হয়তো সাগর আমাকেও খুবই ভালোবাসে। আর সেই কথাটি সে আমাকে বলবে। এসব কথা ভেবে ঝর্নার ভিতরে খুবই লজ্জা কাজ করতে লাগলো। আবার একই সাথে বেশ আনন্দও অনুভব করতে লাগলো।

এদিকে সাগরের মা রিমা খাতুন মনে মনে ঝর্নাকে খুবই পছন্দ করে। রিমা খাতুনের খুবই ইচ্ছে একদিন ঝর্নাকে তার পুত্রবধূ করে ঘরে নিয়ে আসবে। আসলে ঝর্নার চঞ্চলতা, ঝর্ণার মুখের মিষ্টি হাসি, ঝর্নার মুখের মিষ্টি ভাষা, ঝর্নার হাতের সুন্দর সুন্দর কাজ গুলো দেখে রিমা খাতুনের খুবই ভালো লাগে। তাই সে অপেক্ষায় আছে যে, সাগর লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো চাকরি পেলেই ঝর্নার সাথে সাগরের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাড়িতে রিমা খাতুন যাবে। এদিকে ঝর্ণার বাবা ও মা সাগরকে বেশ পছন্দ করে। তাদের ইচ্ছে এরকম মেধাবী ছেলের হাতে তাদের মেয়েকে তুলে দিতে। কিন্তু সাগর এখন লেখাপড়া করছে। তাই এরকম ছাত্রের সাথে হঠাৎ করে ঝর্নার বিয়ের প্রস্তাব দিতে তারা একেবারেই সাহস পায় না।

কিছুক্ষণ পরেই সাগরের মা চা এবং খুবই সুস্বাদু নাস্তা তৈরি করে ঝর্না এবং সাগরকে খেতে দিল। তারপর সাগরের মা কিছু একটা কাজের জন্য তাদের পাশের বাড়িতে চলে গেল। এমন সময় সাগর ঝর্নাকে বললো, "চলো আমার ঘরে যায়। আমার মনের কথাগুলো আর চেপে রাখতে পারছি না।" একথা বলে সাগর তার ঘরে চলে গেল। কিন্তু ঝর্না লজ্জায় আর চেয়ার থেকে উঠতে পারছে না। যে ঝর্ণা প্রতিদিন সাগরের ঘরে এসে সাগরের ঘর থেকে বের হতে চাই না, সেই ঝর্না আজ সাগরের ঘরে ঢুকতে লজ্জায় মরে যাচ্ছে। ঝর্না লজ্জায় মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে সাগরের ঘরের দিকে যেতে লাগলো। ঠিক এমন মুহূর্তে সাগরের মা উঠান থেকে সাগর বলে ডাক দিলো। সাগরের মায়ের হঠাৎ ডাকাডাকি শুনে ঝর্নার থতমতো লেগে গেল। ঝর্না কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে গেল। তারপর সাগরের মা সাগরের কাছ থেকে একটি প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে পুনরায় পাশের বাড়িতে চলে গেল। তারপর সাগরের ঘরে ঢুকে সাগর ও ঝর্ণা মুখোমুখি বসলো। সাগরের দিকে ঝর্না চোখ তুলে তাকানোর একটুও সাহস পাচ্ছে না। কেমন যেন তৃষ্ণায় ঝর্নার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, কেমন যেন ভয়ে ঝর্ণার ঠোঁট দাঁতের সাথে লেগে যাচ্ছে। এ যেন অন্যরকম অনুভূতি ঝর্ণা অনুভব করছে।

তারপর ঝর্না খুবই আস্তে করে সাগরকে বললো, অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে। যা বলার খুব তাড়াতাড়ি আমাকে বলো, আমি বাড়িতে যাব। তখন সাগর ঝর্নাকে বললো, আমাদের কোচিংয়ে সীমা নামের যে নতুন মেয়েটি এসেছে, তুমি কি তার সাথে পরিচিত? উত্তরে ঝর্ণা বললো, হ্যাঁ, তার সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি বেশিরভাগ সময় সীমার সাথেই থাকি। তখন সাগর বলল, "সীমাকে আমার খুবই ভালো লাগে, সীমাকে আমি খুবই পছন্দ করি,সীমাকে প্রথম দেখায় আমার মন প্রাণ সীমা'র জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমার সকল কাজ-কর্মে, চিন্তা-চেতনায় আমি শুধু সীমাকেই অনুভব করি। এমনকি আমি যে দিকে তাকাই সেদিকে শুধু সীমাকেই দেখি। তাই তুমি যদি আমাকে একটু হেল্প করো, তাহলে আমি আমার মনের কথাগুলো সীমাকে বলতে পারি।" সাগরের মুখে এরকম কথা শুনে ঝর্নার মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে গেল।


গল্পটি চলমান থাকবে। গল্পটির পঞ্চম পর্ব আগামী সপ্তাহের শুক্রবারে শেয়ার করা হবে।


গল্পের তৃতীয় পর্বটি পড়ার লিংক



১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।



Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আপনার গল্পের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয় নি।তবে এই পর্বগুলো পড়ে প্রথম দিকে অনেক ভালো লাগল। তবে সাগরের মা ও ঝর্নাদের পরিবারের সবাই রাজি তবে সাগরের মুখে এমন কথা শোনে ঝর্ণা তো আকাশ থেকে পড়ার কথাই।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়?

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 63013.55
ETH 2460.64
USDT 1.00
SBD 2.64