রেসিপি:- রুই মাছের ডিম ভাজি।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ সোমবার। ২৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমরা বাঙালি জাতি। আর বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। আর আমাদের দেশে প্রায় সকল ধরনের মাছ সারা বছরই পাওয়া যায়। মাছ এমনিতেই প্রোটিনের একটি সহজলভ্য উৎসব। তাই আমরা চেষ্টা করি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে মাছ কিংবা মাছের তরকারি রাখতে। যাহোক, আমি প্রায় সব ধরনের মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে আমার পুকুরে চাষ করা রুই মাছ মাছটি আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। রুই মাছের সাথে রান্না করা যেকোনো ধরনের সবজি তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার লাগে। এমনকি রুই মাছগুলো ভেজে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আজ আমি আপনাদের নিকট রুই মাছের ডিম ভাজির খুবই সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করছি। আমি আশা করি, আমার আজকে রেসিপিটি আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, চলুন এক নজরে দেখে আসি রুই মাছের ডিম ভাজির রেসিপি তৈরির জন্য আমার ব্যবহারিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো :-
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছের ডিম | দুইটি রুই মাছ থেকে প্রাপ্ত ডিম গুলো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচের ফালি | ০৭-০৮টি |
পেঁয়াজের কুচি | পরিমাণমতো |
হলুদের গুঁড়া | ০১ টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া গুড়া | আধা টেবিল চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
রুই মাছের ডিম ভাজির রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াগুলো নিম্নে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলো:
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
প্রথমে দুইটি রুই মাছ কেটে ডিম গুলো বের করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখেছিলাম। তারপরে রুই মাছের ডিমগুলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ভালোভাবে ধৌত করে ভাজার জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০২:⬇️
রুই মাছের ডিম গুলো ভাজার জন্য কাঁচামরিচ গুলো কেটে ফালি করে নিয়েছিলাম। একই সাথে পেঁয়াজগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছিলাম। তারপর একটি পরিষ্কার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে চুলার উপরে বসিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে চুলার আগুন হালকা পর্যায়ে রেখে কড়াইয়ের ভিতর তেল গুলো একটু গরম করে নিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৩:⬇️
এবার গরম তেলের মধ্যে রুই মাছের ডিম গুলো ঢেলে দিয়েছিলাম। তারপর ডিম গুলোর উপরে পরিমাণ মতো হলুদের গোড়া, সামান্য পরিমাণ শুকনো মরিচের গুঁড়া, পরিমাণ মতো ধনিয়া গুড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৪:⬇️
তারপরে চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালানি দেয়া শুরু করেছিলাম। কড়াইয়ের সয়াবিন তেল গুলো যখন ফুটতে শুরু করলো ঠিক তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রুই মাছের ডিম গুলো আধা ভাজা হয়েছিল।
⬇️ ধাপ-০৫:⬇️
রুই মাছের ডিম গুলো যখন আধা ভাজা হয়েছিল তখন চুলার আগুন হালকা করে দিয়েছিলাম। তারপর ডিমগুলোর ভিতরে প্রথমে পেঁয়াজের কুচি ঢেলে দিয়েছিলাম। ডিমগুলোর ভিতরে পেঁয়াজের কুচি গুলো একটি খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে ডিমগুলোর উপরে পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচের ফালি দিয়েছিলাম। তারপরে পুনরায় আগুনের জ্বালানি দেওয়া শুরু করেছিলাম।
⬇️ ধাপ-০৬:⬇️
রুই মাছের ডিম ভাজির শেষ মুহূর্তে এসে চুলার আগুন হালকা পর্যায়ে রেখেছিলাম। আর একটি খুলতে দিয়ে বারবার রুই মাছের ডিম গুলো ভালোভাবে নেড়ে দিয়েছিলাম। খেয়াল রেখেছিলাম যেন কোনভাবেই ডিম গুলো পুড়ে না যায়। এরপর একটু পরেই রুই মাছের ডিম ভাজি সুসম্পন্ন হয়ে গেল।
💖 পরিবেশন।💖
রুই মাছের ডিম ভাজি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদ এবং মজাদার হয়েছিল। অত্যন্ত রুচি সম্মত রুই মাছের ডিম ভাজি আমার পরিবারের সকলেই খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছিল। আসলে এ ধরনের ডিম ভাজি খেতে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু লাগে। আর যেহেতু রুই মাছের ডিম তাই স্বাদ তুলনামূলক বেশি। আর রুই মাছের ডিম ভাজির রেসিপিটি আমার পরিবারের সকলের খুবই পছন্দের একটি খাবার ছিল। তাই আপনারাও রুই মাছের ডিম ভাজি রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন। কারণ এ ধরনের রেসিপি খুবই সুস্বাদু এবং রুচি সম্মত হয়।
যেহেতু রেসিপি শেয়ার করেছেন সেজন্য মনে হচ্ছে প্রথমে রেসিপির ফাইনাল ছবি দিলে পোস্টের কোয়ালিটি খুব সুন্দর হতো। যাই হোক আমি আবার মাছের ডিম দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা। আপনার ডিম ভুনা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অতি চমৎকার একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। আর আপনার এই রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ। যেখানে ছিল অতি সুস্বাদু মাছের ডিম। আসলে এই জাতীয় রেসিপিগুলো আমি খুবই পছন্দ করে থাকি সেই ছোট্ট থেকে। তবে এখনো আমাদের পরিবারে এই রেসিপি হয় বলে আমি আনন্দিত।
আপনি তো আনন্দিত হবেন 😇 কারণ রুই মাছের ডিম ভাজা গুলো আপনি তো বেশি খেয়েছিলেন🤪। আজকেও এক বাটি দিলাম, খেয়ে নিন--
রুই মাছের ডিম এভাবে ভাজি করলে খেতে বেশি মজা লাগে। আর দুটো মাছের ডিম বেশ অনেকগুলো হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছিল। সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কেমন ডিম ভাজি করলেন পেঁয়াজ গুলোতো একেবারে কাঁচাই রয়েছে এই ডিম ভাজি খেতে তেমন একটা ভালো লাগবে না আমার কাছে মনে হল জানিনা কেমন হয়েছে খেতে । আবার সামনে মাছের ছবি দিয়ে রেখেছেন ডিম ভাজির ছবি সামনে দিলে পোস্টা দেখতে বেশি ভালো লাগতো ।
সত্যি ভাইয়া আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ভাত আমাদের অনেক প্রিয়। আপনি তো দেখছি অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে রুই মাছের ডিম অনেক মজার। আমি কিছু দিন আগে রান্না করেছিলাম। আপনি রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া আমরা বাঙালি জাতি। খুবই পছন্দ করি মাছ খেতে।প্রতিটা বাড়িতে মাছের তরকারি থাকবেই কারণ মাছ ছাড়া কিছু ভাবাই যায় না। আপনি ঠিক বলেছেন রুই মাছগুলো ভেঁজে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আজকে আপনি রুই মাছের ডিম ভাজি সুস্বাদু ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন
আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া ।বেশ ভালো ছিল
রুই মাছের ডিম খেয়েছি কিনা তা জানি না তবে মাছের ডিম আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে ইলিশ মাছের ডিম আমার সবথেকে বেশি পছন্দ।
মাছের ডিম ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে ভাই। আসলে পান্তা ভাতের সাথে ডিম ভাজি খাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি বেশ অসাধারণ । আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যান্ত চমৎকার ভাবে মাছের ডিম ভাজি করেছেন । দেখে ভাই খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে । এত সুন্দর মাছের ডিম ভাজি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
রুই মাছের ডিম ভাজি রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ভাই, মাছের ডিম ভাজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনিও খুব মজার করে মাছের ডিম ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন।তবে আমার রন্ধন প্রণালী আর আপনার রন্ধন প্রণালী একদমই আলাদা। তাই ভিন্ন ধরনের রন্ধন প্রণালী দেখে বেশ ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।