গল্প // রহিম আমার বন্ধু//পর্ব-০৩।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার। ২৫ ই জুলাই, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
রহিম মনে মনে স্থির করলো যে, যেভাবেই হোক মসজিদের সভাপতি জাফরকে অপমানজনক শাস্তি দিবে। তারপর বাড়িতে গিয়ে রহিম তার বন্ধু রামকে পুরো ঘটনা খুলে বললো। এরপর রাম ও রহিম ভাবতে লাগলো যে, তারা কিভাবে মসজিদের সভাপতি জাফরকে শাস্তি দিবে। এক পর্যায়ে রাম বললো, বন্ধু এখন আমাদের মাথা ঠান্ডা রেখে চলা উচিত, কেননা জাফরকে শাস্তি দিতে গিয়ে আমাদের বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। কিন্তু রহিম ছিল বিচ্ছু প্রকৃতির ছেলে। সে কারোর প্রতি অন্যায় করে না এবং কারোর অন্যায় সে সহ্যও করে না।
তাই রহিম দৃঢ় কন্ঠে রামকে বললো, বন্ধু তুমি নিশ্চিন্তে থাকো, আমরা এমনভাবে জাফরকে শাস্তি দিবো যাতে কেউ বুঝতে না পারে। তারপর মসজিদের সভাপতি জাফর কোন পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে এবং কোন সময় চলাচল করে, সেটা সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো রাম ও রহিম। এদিকে দেশ ভাগ করা নিয়ে সারা অঞ্চলে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। দেশভাগ করাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। আর এমন সুযোগে সমাজের জাফরের মতো ধর্মীয় গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী মানুষেরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
ধর্মীয় গোড়ামীতে বিশ্বাসী মানুষেরা ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মেতে উঠেছে। দেশের অনেক জায়গায় এরকম ধর্মীয় গোড়ামীতে বিশ্বাসী ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মের দোহাই দিয়ে শত শত সংখ্যালঘু শ্রেণীর অর্থাৎ হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, হিন্দু শ্রেণীর মানুষদের ফসলসহ ফসলের জমি জবরদখল করতে শুরু করেছে এবং হিন্দু শ্রেণী মানুষদের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তাদেরকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করছে। এরকম ভয়ংকর খবর শুনতে রাম এবং রামের পরিবারের সকলেই অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে উঠলো। কিন্তু তারপরেও জাফরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য রাম ও রহিম অনড়।
রাতের বেলায় জাফর যখন তার সঙ্গীদের সাথে বৈঠক শেষ করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় রাম ও রহিম জাফরের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেল। রাম ও রহিম দুজনেই তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। যাতে রাতের আঁধারে কেউ আলো দিয়েও তাদেরকে চিনতে না পারে।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.