মহান বিজয় দিবস উদযাপন-পর্ব=০১ //(বিজয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি)।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ সোমবার। ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনাদের সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনটি আমাদের বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে আনন্দের দিন এবং গৌরবের দিন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা বিজয় দিবসের এই দিনটি আমাদের সকলের নিকট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। মহান বিজয় দিবসের দিনটি আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন বিভিন্নভাবে উদযাপন করে থাকে। ঠিক তেমনি মহান বিজয় দিবসের দিনটি আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক মন্ডলী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অত্যন্ত আনন্দের সাথে বিজয় দিবস উদযাপন করেছি। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর দিনটিতে আমরা পুরো দিনব্যাপী বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত করেছিলাম। আর সেই কার্যক্রম গুলোই ধাপে ধাপে আপনাদের নিকট শেয়ার করবো।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের দিনে আমাদের বাঙালি জাতির সকল মানুষেরা যেভাবে আনন্দ অনুভব করেছিল, যেভাবে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছিল, বর্তমান সময়ে হয়তো আমরা সেভাবে আমাদের মহান বিজয় দিবসের যথার্থ মর্যাদা প্রদান করতে পারি না। কিন্তু তারপরেও আমরা চেষ্টা করি মহান বিজয় দিবসটা যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপন করতে। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রথমেই মহান শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে, এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে প্রথমেই আমাদের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেছিলাম। তারপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সব সময় নিজেদেরকে প্রস্তুত করে রাখার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছিল।
তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমাদের অ্যাসেম্বলি ক্লাস শুরু হয়েছিল। প্রতিদিনের মতো এসেম্বলি ক্লাসে আমরা সকলেই একসঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছিলাম। কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর মুহূর্তে আমাদের সকলের মাঝেই এক অন্যরকম অনুভূতি অনুভব হয়েছিল। আসলে অন্যান্য দিন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় কোন ছাত্র-ছাত্রী হাসা-হাসি করে কিংবা কোন ছাত্র-ছাত্রী একে অপরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে, আবার কোন কোন শিক্ষক জাতীয় সংগীত পরিবেশন থেকে বিরত থাকে কিংবা শুধুমাত্র ঠোঁট মিলায়। কিন্তু বিজয় দিবসের দিন সকল শিক্ষক, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা একই সাথে মধুর কন্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়েছিল। শুধু তাই নয়, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর মুহূর্তে আমার শরীর শিউরে ওঠে প্রতিটি পশমের গোড়া কেমন যেন ফুলে উঠেছিল। আর এটাই হয়তো ছিল আমাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও অবিরাম ভালোবাসা। এবং একই সাথে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
এরপরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়। র্যালিতে আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণ এবং আমাদের বিদ্যালয়ের আংশিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল। আনন্দের এই র্যালিতে আমাদের সকলের মনে অনেক আনন্দ ছিল এবং মুখে হাসি ছিল। আমাদের এই আনন্দের র্যালিটি যখন গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করলো তখন গ্রামের অনেক মানুষ আমাদের দেখে তারা আনন্দিত হল। আবার অনেক মানুষ তারা তাদের বাড়ির ভেতর থেকে দ্রুত বের হয়ে এসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখতে লাগলো এবং আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কে উৎসাহ দিতে লাগলো। এভাবে পুরো গ্রাম ঘরে আমাদের এই আনন্দের মুহূর্তটি আমাদের স্কুল মাঠে এসে সমাপ্ত হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দের র্যালিতে আমরা সকলেই অত্যন্ত আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। মহান বিজয় দিবসের দিনটি আমাদের সকলের উচিত অত্যন্ত মর্যাদার সাথে উদযাপন করা। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন করার নাম দিয়ে অনেক স্থানে দেখা যায় যে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে। বিশেষ করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চারিদিকে বেপরোয়া ভাবে সাউন্ড বক্স বাজানো এবং সাউন্ড বক্সে বাজে গান বাজানো, একই সাথে গানের কনসার্ট এর আয়োজন এবং অশ্লীল নাচের আয়োজনের মধ্য দিয়ে নৈতিকতার যেমন অবক্ষয় ঘটানো হয়। ঠিক তেমনি আমাদের মহান বিজয় দিবসের দিনটিকে কলুষিত করা হয়। তাই বিজয় দিবস উপলক্ষে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের আমি তীব্র বিরোধিতা করি। আমাদের সকলের উচিত এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে শুদ্ধভাবে আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন করার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিসব ৷ এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ৷ আপনি এবং আপনার সহপাঠীরা মিলে এই দিনটি অতান্ত আনন্দের সাথে উদযাপন করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত করেছেন বিষয়টি সত্যিই ভীষণ আনন্দের ৷ অনেক ভালো লাগলো বিজয় দিবস উপলক্ষে কাটনো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিজয় আমাদের অহংকার বিজয় আমাদের গর্ব। যারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ঐ সকল বীর শহীদদের আমরা কখনো ভুলবো না। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি তে সবাই সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনটি আমাদের সকলের উচিত অত্যন্ত মর্যাদার সাথে উদযাপন করা। কারণ বিজয় নিয়ে আসার জন্য আমাদের বুকে তাজা রক্ত দিতে হয়েছে। বিজয় জন্য আমাদের দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।