আমার পুকুরের মাছ বিক্রয়ের অনুভূতি // পর্ব-০১.
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শুক্রবার। ১০ ই মে, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, মাছের চাষাবাদ করা আমার অন্যতম প্রধান একটি পেশা। দীর্ঘদিন নিজের পুকুরের মাছগুলোকে সঠিকভাবে খাবার প্রয়োগ এবং পরিচর্যা করার পর যখন মাছ বিক্রয় করি তখন বেশ আনন্দ অনুভব হয়। তবে অনেক সময় আমরা কষ্ট করে মাছ চাষাবাদ করার পর কাঙ্খিত মূল্যটা পাই না। তখন বেশ খারাপ লাগে। যাহোক, নতুন বছরের শুরুতেই আমার সব পুকুরের মাছগুলোকে সঠিকভাবে খাবার খাওয়ানো শুরু করেছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার কবলে আমরা সকলেই পড়েছি। অতিরিক্ত সূর্যের প্রখর তাপের কারণে পুকুরের মাছের তেমন একটা বৃদ্ধি হয়নি। তারপরও আমার পুকুরে মাছের ঘনত্বের পরিমাণটা তুলনামূলক বেশি। যেহেতু মিশ্র আকারে মাছের চাষ করি তার মাছের পরিমাণটা সংখ্যার দিক থেকে অনেক বেশি থাকে।
তাই মাছের খাবারের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়েছিল এবং মাছগুলো যেন দ্রুত বৃদ্ধি পায় তাই মাছের ঘনত্ব কমানোর জন্য মাছ বিক্রয়ের প্রয়োজন হয়েছিল। আর এ কারণেই কিছুদিন আগে সংগঠিত হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা'র মুহূর্তেই আমার একটি পুকুরের কিছুটা মাছ বিক্রয় করেছিলাম। যাহোক মাছ বিক্রয়ের জন্য আমি জেলে ডেকেছিলাম আট জন। যাতে আমার পুকুর থেকে চার থেকে পাঁচ মণ পরিমাণ মাছ বিক্রয় করতে পারি। কিন্তু আমার পুকুরের মাছের কথা শুনে সেদিন মোট ১৬ জন জেলে এসেছিল। অর্থাৎ যতটা আসার কথা ছিল তার ডাবল জেলে এসেছিল। ১৬ জন জেলে দেখে আমি অর্ধেক জেলেকে অন্য পুকুরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সকলে উত্তর দিলো, অন্য কোথাও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
তারপরও আমি জেলেদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, আমার পুকুরে শুধুমাত্র মাছের ঘনত্ব কমানোর জন্য মাছ বিক্রয় করছি। যাতে অন্যান্য মাছ গুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমার বোঝানোতে কোন কাজ হলো না। শেষ পর্যন্ত সকল জেলেরা আমার পুকুরে নেমে পড়লো মাছ ধরার উদ্দেশ্যে। সকল জেলেরা মিলে তাদের বড় জাল আমার পুকুরের এক প্রান্ত থেকে টানা শুরু করলো। জাল টানার সময় জালের মাঝখান দিয়ে তাদের হাড়িগুলো জালের সাথে বেঁধে দিল। ফলে পানি ছাড়া জাল প্রায় এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকলো। আর জেলেদের জাল পানি ছাড়া উঁচু হয়ে থাকার ফলে সিলভার কার্প মাছ গুলো ঝাপিয়ে যেতে পারলো না। সকল জেলেরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জাল টেনে আমার পুকুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই নিয়ে গেল।
সকল জেলেরা মিলে এতো সুন্দর করে পুকুরে জাল টেনেছিল যে, মনে হচ্ছিল যেন পুকুরের সকল মাছগুলো জেলেরা তাদের জালে তুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যাহোক পুকুরে জাল টানা শেষ করেই সকল জেলেরা মাছ ধরার জন্য হুলস্থুল পরিবেশ তৈরি করেছিল। মনে হচ্ছিল যেন মাছ না ধরতে পুকুরের মাছ ফুরিয়ে গেল। তারপর আমার কথা মতো জেলেরা তাদের জাল দুই ভাগে ভাগ করে নিয়ে তারা মাছ ধরতে শুরু করলো। জাল দুই ভাগে ভাগ করে নেওয়ার কারণে জেলেরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেল। দুই ভাগ করে নেওয়ার কারণে জেলেদের মাছ ধরার বেশ সহজ হলো। একই সাথে আমার পুকুরের ছোট মাছ গুলোর কোন ক্ষতি হলো না।
আমার পরিচয়।
![IMG_20220709_132030_108.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRdNC4XfLvTcmWvTAnBQ1kbk4d9QFGmQ7ZQoJD59JHV7a/IMG_20220709_132030_108.jpg)
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPXur4yt39am6NAgC5oYUKwm25LGFbkhseF2c1u1HRjf2/image.png)
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাষীদের বেশ ক্ষতি হয়ে থাকে। যাইহোক অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাছগুলো বাড়তে পারেনি জেনে খারাপ লাগলো। তবে আপনার পুকুরের মাছের ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল জানতে পারলাম আপনার লেখার মাধ্যমে। যাই হোক আশা করি জেলেরা দক্ষতার সাথে মাছগুলো ধরেছিল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার পুকুরের মাছ বিক্রয়ের অনুভূতি। সত্যি আপনার পুকুরের মাছ গুলো দেখে মন ভরে গেল। আপনার পুকুরে মোট ১৬ জন জেলে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিল জানতে পারলাম। মামা জেলেরা ঠিক বলেছে এখন কোথাও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে খুব কম গ্রামাঞ্চলের পুকুরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পুকুরের মাছ বিক্রয় সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। ঐদিন প্রচন্ড গরম ছিল। ফটো ধারণ করাটাও বেশ কঠিন হচ্ছিল। আমিও ঠিক বেশ কিছু ফটো ধারণ করেছিলাম মাছ বিক্রয়ের মুহূর্তে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো মাছ বিক্রি হয় সেই সুন্দর মুহূর্ত আবারো দেখে।
আপনার পুকুরে মাছ ধরার জন্য ১৬ জন জেলে একসাথে মাছ ধরতেছে। তাহলে তো ভাই আপনার পুকুরটি অনেক বড়। বর্তমান সময়ে অনেকেই আমাদের এদিকে মাছ চাষ করে। তবে মাছ চাষ করতে অনেক কষ্ট হয় বিশেষ করে যত্ন নিতে হয়। তবে কষ্ট করলে যখন ফল মিলে তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। যদিও আপনার পুকুরে মাছগুলো তুলনামূলক বড় কম হয়েছে। যাই হোক পরের পর্বে জানতে পারবো কতগুলো মাছ বিক্রি করেছেন । সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের পুকুরের মাছগুলো বিক্রি করার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ১৬ জন জেলে এসেছে মাছ ধরার জন্য তাহলে তো বেশ বড় একটা পুকুর আপনার। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে আমাদের গ্রামে ও অনেক মানুষ মাছ চাষ করে। তবে ভাইয়া আপনি মাছ চাষ করেন সেটা জানি। ১৬ জন জেলে দিয়ে আপনি মাছ ধরলেন। আসলে এতজন জেলে দিয়ে যখন মাছ ধরলেন নিশ্চয়ই মাছ বেশি ফেলেন। বর্তমান সময়ে সব কিছু দাম বেশি । যাইহোক মাছ ধরার প্রথম পর্বটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।