ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক ক্রয়ের অভিজ্ঞতা || তাং:০১/০৭/২০২২ইং
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের নিকট ঈদ উপলক্ষে পোশাক কেনাকাটার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আগামী ১০ জুলাই, ২০২২ইং পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের মুসলিম উম্মার সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আর ঈদুল আযহা কে যথাযথভাবে উদযাপন করার জন্য হয়তো আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর আমাদের খুশির দিন ঈদকে উদযাপন করার জন্য নতুন পোশাকের কোন বিকল্প নেই। তাই আমার পরিবারের সকলের জন্য ঈদের নতুন পোশাক ক্রয় করার উদ্দেশ্যে আমাদের গাংনী শহরের একটি পোশাকের দোকানে গিয়েছিলাম।
আমাদের গাংনী শহরের পোশাকের দোকানে গিয়ে দেখি তিন মাস আগের তুলনায় পোশাকের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পোশাকের ঊর্ধ্বগতি মূল্য শুনে মাথা ঘুরে যাওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু কিছু করার নেই, ঈদ উদযাপন করার জন্য নতুন পোশাক ক্রয় করাই লাগবে। যাহোক, প্রথমে আমার একটি প্যান্ট কেনার জন্য প্যান্ট পছন্দ করতে শুরু করলাম। একপর্যায়ে কালো রঙ্গের এই চায়না জিন্স প্যান্টটি পছন্দ করলাম। একই সাথে আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি ভালো মানের গেঞ্জি পছন্দ করলাম। তারপর শুরু করলাম বিক্রেতার সাথে সেই রকমের দর-দাম। বিক্রেতা প্রথমে প্যান্টের দাম চেয়েছিল ১৮৫০ টাকা। তারপর অনেক দরদাম শেষে প্যান্টটি আমি ১০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। আর গেঞ্জিটি ক্রয় করলাম ৬০০ টাকা দিয়ে।
তারপর, আমার ওয়াইফের জন্য একটি থ্রি পিস ক্রয় করতে গেলাম একটি মেয়েদের পোশাকের দোকানে। ওয়াইফের পছন্দমতো থ্রি পিস কিনতে গিয়ে প্রায় ২০-২৫ টি থ্রি পিস দেখে একটি সুন্দর সুতির থ্রি-পিস পছন্দ করা হলো। বিক্রেতা থ্রি-পিসটির মূল্য চেয়েছিল প্রথমে ২৪০০ টাকা। তারপর বলল ২০০ টাকা কম দিয়ে থ্রি-পিস কি নিয়ে যান। এই কথা বলে বিক্রেতা থ্রি-পিসটি প্যাকেট করে আমার হাতে দিতে যাচ্ছে, আমাকে দর-দাম করার কোন সুযোগই দিচ্ছে না। আমি থ্রি পিসটি নিব না বলে চলে আসতে গেলাম কিন্তু বিক্রেতা পুনরায় আমাকে ডেকে বললেন তাহলে আপনি আপনার মত একটি দাম বলেন। তখন শুরু হয়ে গেল দুজনের মধ্যে হাটাহাড্ডি দর-দাম করা। আমাদের দর-দাম করা দেখে অন্যান্য ক্রেতারা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। অবশেষে বিক্রেতা আমার কাছে থ্রিপিসটি বিক্রয় করলো ১৪০০ টাকায়।
তারপর আমার জন্য একটি ভালো মানের গেঞ্জি ক্রয় করার উদ্দেশ্যে অন্য একটি পোশাকের দোকানে গেলাম। সে দোকানে অনেকগুলো গেঞ্জি দেখার পরে কালো রংয়ের এই গেঞ্জিটা আমার খুবই পছন্দ হলো। আমি আবার খুব স্ট্যান্ডার মানের মানুষ গেঞ্জি পরিধান করি না। একঢালা যে কোন রংয়ের গেঞ্জি পরিধান করতে আমি খুবই পছন্দ করি। তাই এই কালো রংয়ের গেঞ্জিটা আমি ৬০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিলাম। গেঞ্জি ক্রয়ের মধ্য দিয়ে আজকের ঈদের পোশাক ক্রয় করা সমাপ্ত করলাম।
ঈদ উপলক্ষে আজকে আমার ক্রয় কৃত নতুন পোশাকের একটি তালিকা নাম দেওয়া হলো:-
সংখ্যা | পোশাকের নাম | মূল্য |
---|---|---|
০১ | একটি চায়না জিন্স প্যান্ট | ১০০০ টাকা |
০২ | একটি থ্রি পিস | ১৪০০ টাকা |
০৩ | দুইটি গেঞ্জি | ১২০০ টাকা |
মোট | চারটি পোশাক | ৩৬০০ টাকা |
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ঈদের পোশাক কেনাকাটার এখনো অনেকটা আমার বাকি রয়েছে। এখনো আমার পিতা-মাতা, ছোট ভাই এবং আমার একমাত্র সন্তানের জন্য অনেকগুলো নতুন পোশাক ক্রয় করতে হবে। তাছাড়া এখনো তিনটা পাঞ্জাবি ক্রয় করতে হবে। আগামী দিন আমার পরিবারে বাকি সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক ক্রয় করা হবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের নিকট কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।
ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক ক্রয়ের অভিজ্ঞতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খুব ভালো করেছেন ভাই। আমি এখনো করিনি তবে খুব তাড়াতাড়ি করবো ইনশাআল্লাহ 🤲 আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদ মানে খুশি আর ঈদ মানে আনন্দ। আপনি তো দেখছি ঈদের কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে। তবে আমি এখনো করিনি। আপনার কেনাকাটা দেখে ইচ্ছে করছে এখনি মার্কেট যেতে। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক ক্রয়ের অনেক চমৎকার একটি অভিজ্ঞতার গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঈদ মানেই আনন্দ আর এই আনন্দটা সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়াটাই আমাদের সকলের উচিত। সুন্দর মুহূর্ত এবং অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।