বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৩ ইং || পর্ব-০৭
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার । ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।
[Jugirgofa High School]
Jugirgofa High School
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, শুধুমাত্র লেখাপড়া করানোর মধ্য দিয়ে একজন ছাত্র-ছাত্রীকে সার্বিক দিক থেকে উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব নয়। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের খেলাধুলা করানো এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানোর ব্যবস্থা করাটা অতি জরুরী। তাই আমরা প্রতিবছর আমাদের বিদ্যালয়ে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করি। যাতে আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সার্বিক দিক দিয়ে দক্ষ হয়ে ওঠে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে দৌড় প্রতিযোগিতা, লাফ ও উচ্চলাফ প্রতিযোগিতা, গোলক, চাকতি ও বর্ষা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা, এবং সর্বশেষ চেয়ার খেলার প্রতিযোগিতা শেষ করার মধ্য দিয়ে দিনের সকল খেলা গুলো সুসম্পন্ন করা হয়েছিল। তারপর খেলার পর্ব শেষ হতে না হতেই বেলা দুপুর হয়ে গেল। আর দুপুরবেলায় আমাদের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবং আমাদের সকল শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল।বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিনে দুপুরবেলায় ছাত্রছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের মধ্যাহ্নভোজন এর অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্তটুকু আজ আমি আপনাদের নিকট শেয়ার করছি।
মধ্যাহ্নভোজনের মুহূর্তটুকু।
সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের খেলা গুলো সুসম্পন্ন করাতে আমরা যেরকম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, ঠিক তেমনি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীগুলো আরো বেশি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই দুপুরের সময় আমরা সকলেই হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে একসঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম।
আমরা প্রথমেই আমাদের স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খাবার খেতে দিয়েছিলাম। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে খাবার পরিবেশন এর জন্য ছাত্রদের জন্য আলাদা শ্রেণীকক্ষ এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা শ্রেণীকক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং আমাদের শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য খাবার হিসেবে ছিল সাদা ভাত, ছোলার ডাউল, সবজি, সালাদ, খাসির মাংস, একটি করে ডিম, এবং অন্যান্য মাংসের ব্যবস্থা ছিল। একই সাথে স্পেশাল খাবার হিসেবে গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি টক দই এবং রসে ভরা রসগোল্লা। প্রথমে যখন আমরা আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খাবার পরিবেশন করেছিলাম তখন তারা অত্যন্ত আনন্দের সাথে খাবার খেতে শুরু করেছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের সকলের জন্য খুবই আনন্দের ছিল। খাবার খাওয়ার মুহূর্তেও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। আমাদের শিক্ষকমন্ডলীর সকলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বজায় রেখে খাবার পরিবেশনের পর্বটি পরিচালিত করেছিল।
সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খাবার পরিবেশন এর পর্ব শেষ হলে আমাদের শিক্ষক মন্ডলের খাবার খাওয়ার পর্ব শুরু হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর কিছু ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব খুবই সুন্দর ভাবে সেদিন পালন করেছিল। তাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্ররা আমাদের শিক্ষক মন্ডলীদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে খাবার পরিবেশন করেছিল। অবশ্য আমাদের বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য সমানভাবে খাবারের বরাদ্দ ছিল। যাহোক, আমরা সকলেই খাবার খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তারপর, আমাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিনের শেষ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ পর্বটি পড়ার লিঙ্ক