আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ শনিবার। ২৪ ই জুন, ২০২৩ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।

IMG_20230612_225518_107~2.jpg



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই শখের একটি কাজ। কোথাও চলার পথে সামনে সুন্দর কোন কিছু দেখলেই আমি সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফি করি। আবার যখন আমি সময় পাই তখন ফটোগ্রাফি করতে মাঠে কিংবা কোন পার্কে চলে যায়। আবার কখনো নিজের গ্রামের মধ্যে আকর্ষণীয় কোন কিছু দেখলে সেগুলো ফটোগ্রাফি করি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এমন বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফুল, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মাঠ ফসলের ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আমি সব সময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। প্রিয় বন্ধুগণ, আজ আমি আপনাদের নিকট আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আমি আশা করি, আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে। প্রিয় বন্ধুগণ, চলুন দেখে আসি আমার পছন্দের ফটোগ্রাফি গুলো।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০১⬇️

IMG_20230620_142243_798.jpg

IMG_20230620_142249_594.jpg

IMG_20230620_142302_327.jpg

IMG_20230620_142311_863.jpg


Photography by @bidyut01.


বর্ষা ঋতুর শুরু থেকেই প্রায় প্রতিদিনই কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রতিদিনের বৃষ্টির প্রভাবে আমাদের প্রকৃতির রূপ ও রং অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। সবুজ প্রকৃতি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর এই সবুজ প্রকৃতির মাঝে নয়নতারা ফুলের সৌন্দর্য যেন আরো বাড়তি সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। বৃষ্টির পানিতে পরিষ্কার হয়ে যাওয়া নয়নতারা ফুল যেন তার সকল সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছে। বর্ষা ঋতুতে ফুটে থাকা নয়নতারা ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই খুবই যত্ন সহকারে নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি আশা করি, নয়নতারা ফুলের সৌন্দর্য আপনাদেরও মুগ্ধ করেছে।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০২⬇️

IMG_20230620_142401_797.jpg

IMG_20230620_142417_935.jpg


Photography by @bidyut01.


লাল রঙে পরিপূর্ণ ভালোবাসার লাল গোলাপ ফুল আমার সবচাইতে পছন্দের ও প্রিয় ফুল। লাল গোলাপ ফুলের কোমল পাপড়ি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কিংবা বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে লাল গোলাপ ফুলের ভূমিকা অনন্য। আমাদের প্রকৃতিতে অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টিকারী লাল গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফিটি আপনাদের কাছে নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০৩⬇️

IMG_20230620_142532_350.jpg

IMG_20230620_142605_825.jpg


Photography by @bidyut01.


এটা হল টাইম ফুলের ফটোগ্রাফি। অনেকে এটা ঘাসফুল বলে থাকে। শিশির ভেজা সকালে টাইম ফুল গুলো দেখতে সবচাইতে বেশি সুন্দর লাগে। অনেকেই খুব শখ করে নিজ ঘরের ছাদের উপরে টবের মধ্যে টাইম ফুলের গাছ লাগিয়ে সুন্দর বাগান তৈরি করতে পছন্দ করে। আসলে নিজ ঘরের ছাদের উপরে অথবা নিজ বাড়িতে প্রবেশদ্বার অর্থাৎ গেটের উপরে টবে লাগানো এ ধরনের টাইম ফুলের ছোট বাগান গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০৪⬇️

IMG_20230619_164456_471.jpg

IMG_20230619_164458_624.jpg


Photography by @bidyut01.


এটা হলো পাকা টসটসে ও মধুর রসে পরিপূর্ণ একটি আমের ফটোগ্রাফি। এটা কোন কলম করা গাছের আম নয়। আমাদের খুবই পুরনো ও বয়স্ক একটি গাছের আম। এই আমের একটি প্রধান বিশিষ্ট হলো, কাঁচা অবস্থায় এই আমটি মানুষের পক্ষে খাওয়া অসম্ভব। কাঁচা অবস্থায় এতটাই টক যে শুকনো মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েও খাওয়া যায় না। কিন্তু এই আমটি পেকে গেলে খেতে মধুর চেয়েও মিষ্টি লাগে। এ রকম বিশ্ব টক আম পেকে যাওয়ার সাথে সাথে এত মিষ্টি আসে কোথা থেকে, আসলে এ ধরনের চিন্তা করলে আমি এমনিতেই অবাক হয়ে যায়। যখন এই আমগুলো কাঁচা থাকে তখন এই আম গাছের আশেপাশে কোন মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। এমনকি ঝড়ের দিনেও এই আম কুড়াতে কেউ আসে না। কিন্তু এই আমগুলো পাকতে শুরু করলে সব সময় আম গাছের আশপাশে কিছু না কিছু মানুষ দেখা যাবেই। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়েদের প্রভাবটা বেশি থাকে আমাদের এই আম গাছের আশপাশে।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০৫⬇️

IMG_20230613_132152_459.jpg

IMG_20230613_132146_767.jpg


Photography by @bidyut01.


এটা হচ্ছে একটি বন্য ফলের ফটোগ্রাফি। এই বন্য ফল গুলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলের রাস্তার আশপাশে এবং মাঠের জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। বন্য ফল গুলো পাখিদের অন্যতম প্রধান একটি খাবার। আমি খেয়াল করে দেখেছি যখন এই বন্য ফল গুলো পেকে যায় তখন প্রায় সকল ধরনের পাখিরা এই ফলগুলো খেয়ে জীবন ধারণ করে। আসলে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষের পাশাপাশি পাখিদের জন্যও খুবই সুন্দর আলাদা ফলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০৬⬇️

IMG_20230612_225518_107.jpg

IMG_20230612_225519_089.jpg


Photography by @bidyut01.


একদিন রাত্রে আমি বাড়ি থেকে বাইরে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন মুহূর্তে আমি ফস ফস শব্দ শুনতে পেলাম। প্রথম ভেবেছিলাম হয়তো আশপাশে গোখরো সাপ রয়েছে। তাই বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু একটু পরে মনে হল শব্দটা কেমন যেন উপর থেকে আসতেছে। তখন আমার হাতের টর্চ লাইটের আলো দিয়ে আমার পাশে থাকা কাঁঠাল গাছে এই হুতুম পেঁচা পাখিটি দেখতে পেলাম। তারপরে বুঝতে পারলাম যে, রাত্রে বেলায় হয়তো এই হুতুম পেঁচা পাখিটি তার সঙ্গীকে এভাবেই ফস ফস শব্দ দিয়ে ডাকছিল। যাহোক, হুতুম পেঁচা পাখির চোখ দুটি দেখতে বেশ ভয়ংকর লাগে। অত্যন্ত দক্ষ শিকারির চোখ। আসলে এধরনের হুতুম পেঁচা পাখিরা দিনের বেলায় নিজেদেরকে আত্মগোপন করে রাখে। আর রাত্রের বেলায় তার সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। অনেকদিন পরে হুতুম পেঁচা পাখি দেখে রাতের অন্ধকারে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তার মধ্যে থেকে সেরা দুইটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

⬇️ ফটোগ্রাফি-০৭⬇️

IMG_20230624_184340_140.jpg

IMG_20230624_184325_835.jpg


Photography by @bidyut01.


পাকা ডালিম ফল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পাকা ডালিম ফলের রস আমাদের শরীরের রক্ত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের বাড়িতে মোট তিনটা ডালিমের গাছ রয়েছে। তিনটা গাছে কম বেশি ডালিম ধরেছে এবার। এই ডালিম ফলগুলো শ্রাবণ মাসে পাকতে শুরু করে। বর্ষা ঋতুর বৃষ্টির ছোঁয়ায় ডালিম ফলগুলো আস্তে আস্তে মোটা হতে শুরু করেছে। আর বৃষ্টি ভেজা ডালিম ফলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে। তাই বৃষ্টি ভেজা ডালিম ফলগুলোর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের নিকট শেয়ার করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই আমার গাছের ডালিম ফল গুলো দেখে আপনারাও বাড়িতে ডালিম ফল গাছ লাগাতে উৎসাহিত হবেন।



Camera 📸 Smartphone.

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি আশা করি, আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমার নিজ গ্রাম থেকে তোলা হয়েছিল। তাই সকল ফটোগ্রাফির লোকেশন দেখতে👉এখানে ক্লিক করুন



পোস্ট বিবরণ



শ্রেণীফটোগ্রাফি
ক্যামেরাস্মার্টফোন
পোস্ট তৈরি#bidyut01
কান্ট্রিবাংলাদেশ


১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 
 last year 

হুতুম পেঁচা কখনো সামনাসামনি দেখিনি। আর রাতের বেলায় যদি অন্যরকমের শব্দ শোনা যায় তাহলে সত্যি অনেক ভয় লাগে। তাই তো আপনিও ভয় পেয়েছিলেন ভাইয়া। তবে আপনি কিন্তু অনেক সাহস নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলেন। এছাড়া ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। আর আমটি দেখতে বেশ রসালো লাগছে।

 last year 

ওয়া অসাধারন আপনি খুব চমৎকার রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার মত আমিও হাটতে গিয়ে সুন্দর কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করি। আসলে ফটোগ্রাফি এক ধরনের মনের শখ। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে পেঁচার ফটোগ্রাফিটি। রাত্রেবেলা এত কাছ থেকে পেঁচার ফটোগ্রাফি করলেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last year 

আপনি অনেক সুন্দর করে রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আমি সামনে থেকে পেঁচা এভাবে দেখিনি। কারণ পেঁচা দেখলে আমার অনেক ভয় লাগে। বিশেষ করে পেঁচা গুলো যেভাবে তাকিয়ে থাকে দেখলে অনেক ভয় লাগে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দুনিয়ার বুকে রয়েছে অসংখ্য পশুপাখ। তবে বাড়ির আনা শেখা আছে লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন প্রকার পাখি যে সমস্ত পাখিগুলোর সৌন্দর্য এক এক রকম। ঠিক তারই মধ্য থেকে হুতুম পেচার ফটোগ্রাফি করেছেন আজ আপনি, আপনার এই ফটোগ্রাফিটা কিন্তু সেই রকম ছিল। পাশাপাশি ডালিমসহ বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফিও আমার ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56085.77
ETH 2369.58
USDT 1.00
SBD 2.31