DIY:-বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প\\পর্ব-১০//[কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু পাখি তৈরি] তাং:১৭/১২/২০২১ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
💖 আমার বাংলা ব্লগ💖
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
💖আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি💖
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন এবং নিরাপদে আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমাদের দেশে যতগুলো পুরাতন ঐতিহ্যবাহী শিল্প রয়েছে তার মধ্যে মৃৎশিল্প অন্যতম প্রধান। বাঙ্গালীদের অতীত ঐতিহ্যের একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে মৃৎশিল্প। মৃৎশিল্প বা মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস পত্রের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশের কুমোর সম্প্রদায়ের মানুষজন মৃৎশিল্প বা কাদামাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করত। তারা কাদামাটি দিয়ে বিভিন্ন পাখি তৈরি করত, বিভিন্ন জীব-জন্তু তৈরি করত। এছাড়াও তারা কাদামাটি দিয়ে হাড়ি, থালা, গ্লাস, চেরাগ, ব্যাংক, ঠিলা, ভাড়, নান্দা সহ আরো অনেক কিছু তৈরি করত। তাদের তৈরিকৃত এ সমস্ত জিনিসপত্র অতীতে গ্রামবাংলার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে ব্যবহার হতো। অতীতে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা মাটির তৈরি বিভিন্ন পাখির পুতুলগুলো দিয়ে খেলা করতো এবং ঘরে রেখে দিত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কাদামাটির তৈরি বিভিন্ন পাখির পুতুলগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন আর কোন ছেলে-মেয়েরা মাটির পুতুল নিয়ে খেলা করে না। তারা মোবাইল, টেলিভিশন এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত দিন কাটায়। কিন্তু আমাদের সকলের উচিত মৃৎশিল্প বা মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস পত্র সম্বন্ধে আমাদের নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করানো। মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র তাদের সামনে তুলে ধরা। কারণ এটা আমাদের ঐতিহ্য। আর এই ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্পের বিভিন্ন জিনিসপত্র আপনাদের নিকট নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য আমি একটি সিরিজ চালু করেছি। আর এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমি আপনাদের নিকট আমার চলমান সিরিজের পর্ব-১০ পাবলিশ করছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু পাখি তৈরি শেয়ার করছি। আমি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তবে চলুন দেখে আসি কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু পাখি তৈরির প্রসেস গুলো।
💖ঘুঘু পাখি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো নিম্নে দেয়া হল💖
উপাদান পরিমাণ কাদামাটি পরিমাণমতো পুথি ০২ টা
প্রথমে পরিমাণমতো কাদা মাটি নিয়ে নিলাম। কাদামাটি গুলো দুই হাত দিয়ে ভালোভাবে সেনে নিলাম।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
⬇️ ধাপ-০২:↙️
সেনে নেওয়া কাদামাটি গুলো সাইজ মত করে নিলাম।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
⬇️ ধাপ-৩:⬇️
এবার ঘুঘু পাখির গলা এবং ঠোঁট বানিয়ে দিলাম ।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
♣️ ধাপ-০৪:♣️
ঘুঘু পাখির দেহের একটি স্বাভাবিক কাঠামো তৈরী করে নিলাম ।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
👇 ধাপ-০৫:👇
ঘুঘু পাখির লেজ বানানো শুরু করলাম ।
ঘুঘু পাখির লেজ সুন্দরভাবে তৈরি করে দিলাম এবং ঘুঘু পাখির সমস্ত দেহ হাতের আঙ্গুল দিয়ে আলতো ভাবে নেপে দিলাম।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
↘️ ধাপ-০৬:↙️
ঘুঘু পাখির ডানা লাগানো শুরু করলাম।
ঘুঘু পাখির দুইটি ডানা সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিলাম ।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
⬇️ ধাপ-৭:⬇️
দুইটি পুঁথি দিয়ে ঘুঘু পাখির দুটি চোখ করে দিলাম ।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
⬇️ ধাপ-৮:↙️
ঘুঘু পাখির সমস্ত দেহ হাতের আংগুল দিয়ে আলতোভাবে নেপে মসৃণ করে দিলাম। আর এভাবেই কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু পাখি তৈরি সুসম্পন্ন হয়ে গেল।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
Camera:-Infinix hot 11 S
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
সুপ্রিয় বন্ধুগণ কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘুঘু পাখি আপনাদের কাছে দেখতে কেমন লাগলো অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবে । আপনাদের কমেন্টের প্রতীক্ষায় রইলাম।
১০% বেনিফিসারী লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
💖💖 সবাইকে ধন্যবাদ💖💖
আমার পরিচিতি | কিছু তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @bidyut01 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | infinix hot 11 S |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৮ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে ব্লগিং করা |
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
আপনার কাজে আমি সত্যি মুগ্ধ দাদা। দারুন সব কাজ করে চলেছেন। আপনার কাজে উৎসাহ নিয়ে আমি নিজেও কিছু একটা করা শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে কাজটি নিয়ে হাজির হব আশা করি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনার শুরু করা কাজটি দেখার জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার এই কাজটি দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। আপনি খুব সুন্দর করে কাদামাটি দিয়ে একটি ঘুঘু পাখি তৈরি করেছেন। আপনার এই ঘুঘু পাখি টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি জিনিস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আমার তৈরি কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু 🐦 আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জানতে পেরে আমারও অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিলুপ্ত প্রায় মৃতশিল্প কে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।কাদা দিয়ে ঘুঘু পাখি বানিয়েছেন।খুবই চমৎকার হয়েছে।প্রতিটা ধাপ বেশ গুছিয়ে করেছেন।শুভ কামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দর হবে আপনার মতামত তুলে ধরেছেন।
মৃৎশিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে মৃৎশিল্প দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মৃৎশিল্পটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। ঘুঘুটি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘুঘু পাখি দেখতে আপনার নিকট সুন্দর লেগেছে জানতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার পোস্ট অসাধারণ হয়েছে। আপনি কাদামাটি দিয়ে খুবই সুন্দর একটি ঘুঘু পাখির দৃশ্য দেখিয়েছেন যা সত্যিই অসাধারণ। দোয়া করি সামনে আরও এগিয়ে যাবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন।
কাদামাটি দিয়ে খুবই সুন্দর একটি ঘুঘু পাখির দৃশ্য আপনি তৈরি করেছেন দেখতে অসাধারণ লাগছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে সেইসাথে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো যুগে যুগে বেঁচে থাক আমাদের দেশের পুরনো ঐতিহ্য মৃৎশিল্প
কাদামাটি দিয়ে তৈরি আমার পাখিটি দেখে আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমি খুবই খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার হাতে জাদু আছে এমন টাই আমার মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর ভাবে আপনি কাঁদামাটি দয়ে ঘুঘু পাখি তৈরি করছেন অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার হাতে কোন যাদু নেই ভাইয়া। অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করে বাকি টি তৈরি করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চেষ্টা করেন ভাইয়া অবশ্যই পারবেন।
আমার এই পোস্টটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। আমার পোষ্টের টুইটার লিংক:-https://twitter.com/bidyut01/status/1471915084788105221?t=Ndm48qTPT4v81u7UQ-UWlA&s=19
অও,দারুণ বানিয়েছেন তো ঘুঘুপাখিটি।আমাদের এখানে মাটি ভালো না তাই ইচ্ছে করলেও বানায় না।আজ বানালে দুইদিন পর চারিপাশ ফাটল ধরে ভেঙে যায়।সুন্দর হয়েছে পাখিটি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি। আপনিও চেষ্টা করেন হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ দাদা আপনি খুব সুন্দর করে কাটা কাদামাটি দিয়ে ঘুঘু পাখি তৈরি করেছেন। এটি খুবই কষ্টের একটি কাজ আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
দাদা কাদামাটিতে প্রতিটি কাজই খুবই কষ্টকর এবং দীর্ঘ সময় লাগে কিন্তু যখন শুনে আপনাদের ভাল লেগেছে তখন কাদামাটি দিয়ে কাজ করতে আরো উৎসাহিত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে