পুকুরের পানি ছেঁকে মাছ ধরার অনুভূতি//পর্ব-০১।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ০৫ ই নভেম্বর , ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, পুকুরে মাছের চাষ করা যেমন আনন্দদায়ক একটি কাজ ঠিক তেমনি পুকুর থেকে মাছ ধরা আরও বেশি আনন্দের একটি কাজ। আর পুকুরের সমস্ত পানিগুলো যখন ছেঁকে মাছ ধরা শুরু হয় তখন মাছ ধরার মধ্যে এক অনাবিল আনন্দ অনুভূত হয়। যাহোক, আমার প্রতিটি পুকুর ১৫ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে একবার করে ছেঁকে দেওয়া হয়। এবারও কয়েক মাস পূর্বে আমার একটি পুকুর ছেঁকে অনেকগুলো মাছ ধরেছিলাম। আজ আপনাদের নিকট আমার সেই পুকুর ছেঁকে মাছ ধরা আরম্ভ করার মুহূর্তটুকু শেয়ার করছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি পুকুর থেকে পানি সরানোর কাজ শুরু করেছিলাম বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত মটার পাম্প দিয়ে। মোটর পাম্প দিয়ে পুকুর থেকে পানি সরানো সহজ হয় এবং খরচের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়া যায়। যাহোক পুকুরের পানি যখন একেবারেই কম হয়ে পুকুরের মাঝখানে অল্প পানি ছিল তখন থেকেই মাছ ধরার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। মাছ ধরা শুরু করেছিলাম আমরা দুই ভাই অর্থাৎ আমার সাথে আমার ছোট ভাই সুমন ছিল। পুকুরের মাঝখানে যেখানে অল্প পানি ছিলো সেই স্থানেই পুকুরের বেশিরভাগ মাছগুলো ছিল। আর পুকুরের মাঝখানে পানি জমে থাকা অংশটি তুলনামূলক বেশি গভীর ছিল ।
মাছ ধরার শুরুতে বেশ কয়েকটা চ্যাং মাছ পেয়েছিলাম। তবে বেশিরভাগ ছিল তেলাপিয়া মাছ। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো অল্প কিছু সংখ্যক মাছ পাবো আমরা। কিন্তু পুকুরের পানি কম হওয়ার সাথে সাথে অধিক মাছ দেখা যেতে লাগলো। যাহোক, আমরা দুই ভাই আস্তে আস্তে মাছগুলো ধরতে লাগলাম। মাছ ধরার একপর্যায়ে আমার পায়ের নিচে একটি মাছের স্পর্শ পেলাম। মাছটি ছিল কাঁদার দেড় ফুট নিচে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো পাকাল কিংবা জিওল মাছ হবে এটা। তারপর কাঁদার নিচে হাত দিয়ে যখন মাছটি ধরতে গেলাম তখন মাছটি আমার হাত থেকে বের হয়ে কাঁদার উপরে ভেসে উঠলো। তারপর দেখলাম যে এটা হচ্ছে একটি কুচিয়া সাপ। যেটাকে অনেকে কুচিয়া মাছ বলে।
কুচিয়া মাছটি দেখি আমার ছোট ভাই সুমন আমার কাছে এগিয়ে আসলো। তারপর সে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কুচিয়া মাছটি ধরে হাড়িতে লাগলো। আসলে সুমন এর আগে কখনো কুচিয়া মাছ এভাবে ধরার সুযোগ পায়নি। তাই নিজের পুকুরে কুচিয়া মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে সুযোগটি কাজে লাগালো। তারপর কুচিয়া মাছটি কিছুক্ষণ মাটিতে রাখার পর অন্যের পুকুরে ছেড়ে দেয়া হলো। আসলে এ ধরনের কুচিয়া মাছ আমাদের সমাজের কেউ খায় না। তবে মাঝেমধ্যে শোনা যায় যে, কয়েকজন মানুষ কুচিয়া মাছ খেতে পছন্দ করে। তবে আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ এটাকে সাপ হিসেবেই গণ্য করে।
আবার কুচিয়া মাছ আমাদের এলাকার বাজারেও ক্রয়-বিক্রয় হয় না। আবার এ ধরনের কুচিয়া মাছগুলো পুকুরেও দেওয়া লাগে না। প্রাকৃতিকভাবে এমনিতেই পুকুরে হয়ে থাকে। যাহোক, কিছুক্ষণ পর আমাদের পুকুরের সমস্ত পানিগুলো ছেঁকে ফেলে দেয়া হলো। তারপর আমি এবং আমার ছোট ভাই সুমন মিলে পুকুরের সমস্ত মাছগুলো ধরা শুরু করলাম। আর আমরা পুকুর থেকে যে সমস্ত মাছগুলো ধরেছিলাম সেই মাছ গুলো আগামী পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দারুন একটি অনুভূতি পড়লাম আপনার আজকের পোস্টের মাধ্যমে। ছোট বেলায় যখন গ্রামে ছিলাম তখন এমন সুন্দর মাছ ধরার দৃশ্য দেখতাম সব সময়। যেহেতু গ্রামে অনেক পুকুর আছে তাই পুকুর থেকে পানি ছেঁকে মাছ ধরার আনন্দই অনেক বেশি। ছোট বেলায় দেখতাম যখন পুকুর ছেঁকে পেলা হত তখন পুকুরের চারদিকে অনেক মানুষ জমে যেত। আপনার মাধ্যমে আজকে দারুন কিছু দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লেগেছে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।