স্কুল প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান তৈরি করার কার্যক্রম।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, বাগান তৈরি করা নিঃসন্দেহে একটি সৌখিন কাজ। বাগান তৈরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। যাহোক, অনেকদিন থেকেই আমার প্রবল ইচ্ছা ছিল যে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে সুন্দর একটি ফুলের বাগান তৈরি করবো। যদিও আমাদের স্কুলের সামনে অনেকগুলো আম গাছ এবং অন্যান্য গাছে সাজানো রয়েছে। কিন্তু কোন ফুলের বাগান আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে নেই। তাই প্রথমে আমি এবং আমাদের কয়েকজন শিক্ষক মিলে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে একটি ফুলের বাগান তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। তারপর বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বলতেই তিনি আমাদেরকে সুন্দর একটি ফুলের বাগান তৈরি করার নির্দেশ প্রদান করলেন। তারপর আমি এবং আরো দু'জন শিক্ষক স্কুল প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান তৈরি করার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা প্রথমেই ফুলের বাগান তৈরি করার জন্য সুন্দর একটি জায়গা নির্ধারণ করে নিলাম। তারপর আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের ফুলের বাগান তৈরি করা কার্যক্রম শুরু করে দিলাম।
আমাদের বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলা বিল্ডিং এর সামনে অনেকখানি জায়গা খালি অবস্থায় পড়েছিল। তাই আমরা আমাদের তৃতীয়তলা বিল্ডিং এর সামনে ফুলের বাগান তৈরি করার কাজ শুরু করে দিলাম। প্রথমেই আমরা আমাদের বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রের সাহায্যে গ্রামের ভিতর থেকে বাঁশ ক্রয় করে এনেছিলাম। তারপর বাগান তৈরি করার জন্য বাঁশ গুলো সুন্দরভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। প্রথমে ফুলের বাগান তৈরি করার নির্ধারিত জায়গায় নির্ধারিত পরিমাপ দিয়ে বাঁশের খুঁটি মাটিতে সুন্দরভাবে পুঁতে দিয়েছিলাম। তারপর জায়গাটির সঠিক পরিমাপের উপর ভিত্তি করে বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।
প্রথমে বাঁশগুলো সুন্দরভাবে চিরে চারটি অংশে খন্ড করে নিয়েছিলাম। তারপর বাঁশের খুটির উচ্চতা অনুসারে উক্ত বাঁশ গুলো দিয়ে মোট ছোট-বড় পাঁচটি সুন্দর এবং মজবুত বেড়া তৈরি করেছিলাম। আর এই বাঁশের বেড়া তৈরি করতে প্রয়োজন হয়েছিল লোহার পেরেক। যাহোক, আমাদের কয়েকজন ছাত্রের সহযোগিতায় আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাঁশের বেড়া তৈরি করেছিলাম।
বাঁশের বেড়া গুলো ফুলের বাগান তৈরি করার স্থানে পুঁতে রাখা খুঁটির সাথে খুবই শক্তভাবে বেঁধে দিয়েছিলাম। বাঁশের বেড়া বেঁধে দেওয়ার পরে ফুলের বাগান তৈরি করার স্থানটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। বাশের বেড়া বেঁধে দেওয়ার পর আমাদের ফুলের বাগান তৈরি করার প্রাথমিক কাজটি সুসম্পন্ন হয়েছে। এখন অ্যালুমিনিয়াম তারের তৈরি জাল ক্রয় করা হবে। তারপর অ্যালুমিনিয়াম তারে জাল দিয়ে বাঁশের বেড়ার চারপাশ আরো শক্ত করে ঘিরে দেয়া হবে। তারপর আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে এই ফুলের বাগান তৈরি করার দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, কোন একটি কাজ করতে হলে প্রথমে তার সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন। তারপর সেই কাজটি সুষ্ঠু হবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান তৈরি করার জন্য প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ইতিমধ্যে আমরা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আশা করি, আমরা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ফুলের বাগান তৈরি করা কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। আর আমাদের এই ফুলের বাগান তৈরি করার পরবর্তী ধাপের প্রতিটি কাজ ইনশাল্লাহ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনারা যে ফুলের বাগান তৈরি করা শুরু করেছেন ভাইজান এটা তো দেখে মনে হচ্ছে ক্লাসিক কালের ফুলের বাগান। বর্তমান সময়ে কি এমন ফুলের বাগান আর কেউ তৈরি করে কোন প্রতিষ্ঠানে। যাইহোক দোয়া করি যেন সুন্দর ফুলের বাগান তৈরি করতে সক্ষম হোন আপনারা।