স্পোর্টস//নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারত।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শনিবার। ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল।
দুই দল:- ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড।
স্টেডিয়াম:- মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।
ভারত একাদশ।
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।
নিউজিল্যান্ড একাদশ।
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান, গ্লেন ফিলিপস, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।
টস।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল ব্যাটিং শুরু করে। শুভমান গিল সাবলীলভাবে ব্যাট করলেও সাইক্লোন গতিতে ব্যাটিং শুরু করেছিল রোহিত শর্মা।
শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মা ব্যক্তিগত ৪৭ রানে আউট হয়ে যায়। এরপর ব্যাটিংয়ে আসে কিং বিরাট কোহলি। বিরাট কোহলি এবং শুভমান গিল খুব ভালোভাবে দেখে শুনে খেলছিলেন। শুভমান নিজের অর্ধশত রান খুব সফলতার সাথেই পূর্ণ করেন। তারপর শুভমান গিল ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। এরপর ব্যাটিংয়ে আসে ভয়ংকর ব্যাটিং শ্রেয়াস আইয়ার। তারপর সাবলীল ভাবে কিং বিরাট কোহলি ব্যাট করতে থাকে। পাশাপাশি শ্রেয়াস আইয়ার শুরু থেকেই ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং শুরু করেন। দু'জন অত্যন্ত সফলতার সাথে ব্যাটিং করা অবস্থায় কিং বিরাট কোহলি প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি অর্জন করেন। এরপর তিনি আস্তে আস্তে শতরানের দিকে এগোতে থাকেন। এমন অবস্থায় শ্রেয়াস আইয়ার নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন। এমন অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বলার রা কেমন যেন অসহায় হয়ে পড়ে। তারপর কিং বিরাট কোহলি অত্যন্ত সফলতার সাথে ব্যাট করে নিজের ৫০ তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। একই সাথে তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।
কিছুক্ষণ পর কিং বিরাট কোহলি ১১৭ রানে আউট হয়ে যায়। এরপর ব্যাটিংয়ে আসে কে এল রাহুল। ঠিক তখনও ভারতের দলীয় স্কোর অর্থাৎ রানের চাকা খুবই সচল ছিল। এমন মুহূর্তে শ্রেয়াস আইয়ার ব্যক্তিগত শতরানের দিকে এগোতে থাকে।
শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ৬৭ বলে তার ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। তারপর তিনি ব্যক্তিগত ১০৫ রানে আউট হয়ে যান। তার আউটের পর ব্যাটিংয়ে আসে সুরিয়া কুমার যাদব। কিন্তু তিনি তেমন কোন সুবিধা করতে পারেননি। তার আউটের পর পুনরায় ব্যাটিংয়ে আসেন শুভমান গিল।
শুভমান গিল ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন এবং কে এল রাহুল ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের দল ৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম ইনিংসের খেলায় উল্লেখযোগ্য দিকছিল কিং বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত শত রান, শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যক্তিগত শতরান, এবং শুভমান গিলের অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস। একই সাথে ছিল রোহিত শর্মার ৪৭ রান এবং কে এল রাহুলের ৩৯ রানের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংস।
৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটির শুরুটা বেশ চমৎকার হয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মদ সামির চমৎকার বোলিংয়ে পরপর দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড টিম। তারপর মিচেল এর সঙ্গে করে অধিনায়ক উইলিয়াম ম্যাচটিকে একটি ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পুনরায় মোঃ সামির আঘাতে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক উইলিয়ামস আউট হয়ে যায়। তারপর মিচেলের সাথে ফিলিপ চমৎকার একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তাদের দু'জনার সাবলীল খেলা দেখে ভারতীয় সমর্থক এবং ক্রিকেটারদের কপালে চিন্তার ভাস পড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে মিচেলের ব্যক্তিগত শতরান পূরণ করার পর নিউজিল্যান্ড দারুন ভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল। কিন্তু সেখানেও মোহাম্মদ সামির আঘাতে ফিলিপ এর ইনিংসের পরিসমাপ্তি হয়।
কিছুক্ষণ পর মিচেল ব্যক্তিগত ১৩৪ রানে আউট হয়ে গেলে ভারত জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে থাকে। এরপর তেমন কোনো ব্যাটম্যান বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি। মোহাম্মদ সামির একের পর এক আঘাতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সেদিন মোহাম্মদ সামি একাই ৭ উইকেট দখল করে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ সামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে এবং অন্যান্য সকল প্লেয়ারদের দারুন ফিল্ডিং এর কল্যাণে ভারতীয় ক্রিকেট টিম ৭০ রানের বড় ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বপ্নের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।
প্রথম সেমিফাইনালের উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল কিং বিরাট কোহলির ৫০ তম সেঞ্চুরি অর্জন। তাই ভেবেছিলাম হয়তো ম্যাচ সেরা প্লেয়ার কিং বিরাট কোহলি হবেন। কিন্তু মোহাম্মদ সামির দুর্দান্ত বোলিং করে সাত উইকেট অর্জন করাটা সেদিন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত বড় সফলতা ছিল। তাই মোহাম্মদ সামির এই সফলতা কিং বিরাট কোহলির ৫০ তম সেঞ্চুরিকে কিছুটা হলেও আড়াল করে দিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সেরা পুরস্কারটি মোঃ সামির হাতেই উঠে। অর্থাৎ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন মোহাম্মদ সামি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
স্ক্রিনশট সোর্স | ফেসবুক লাইভ |
পোস্ট তৈরি | #bidyut01 |
কান্ট্রি | বাংলাদেশ |
সেই শুরু থেকেই ভারত নিজের পারফরমেন্সে সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ভারতের এই অর্জন সবার অনেক ভালো লেগেছে। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারত যেতে পেরেছে দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে ভাইয়া।
এবার ভারতের ক্রিকেট দল যেভাবে খেলা উপহার দিচ্ছে সেটা দেখে আমরা সকলেই মুগ্ধ। তাদের এই পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা ফাইনালেও জয়লাভ করতে পারবে।
ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের খেলা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম। আসলে প্রথমে ভারত দল ব্যাটিংয়ে বেশ ভালো একটা স্কোর দাঁড় করিয়েছিল। ভারত দলের দুইজন প্লেয়ার সেঞ্চুরি করেছিল বিরাট কোহলির 117 রানের ইনিংস দারুন ছিল। অবশেষে ভারত দল ৩৯৮ রানের টার্গেট দেয়। নিউজিল্যান্ড দল ব্যাটিং আসার পর থেকেই মুহাম্মদ স্বামী একাই নিউজিল্যান্ড দলকে গুটিয়ে দেয়। অবশেষে স্বামী ১০ হবার বল করে ৭ উইকেট নিয়েছিল। খেলাতে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিল মোহাম্মদ স্বামী। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।