আমার ছাত্র জীবনের মধুর স্মৃতি // পর্ব- ০৪.
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার। ৩০ ই মে, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমাদের শিক্ষকরা বুঝতে পেরেছিল যে, বাস ড্রাইভার ইচ্ছে করে এরকম ব্রেক চেপে ধরেছে। এরপর বাস ড্রাইভার এবং বাস কন্ট্রাকটারের সাথে আমাদের শিক্ষকদের বেশ ছোট বড় কথা কাটাকাটি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, চলন্ত বাস হঠাৎ করে এরকম ব্রেক চেপে ধরার কারণে শেষ পর্যন্ত আমাদের বাসসহ আমাদের স্কুলের পিকনিকের সবকয়টি বাস এক জায়গায় থামিয়েছিল আমাদের শিক্ষকরা। তারপর শিক্ষক এবং সকল বড় আপুদের মুখে বাস ডাইভারের ব্রেক চেপে ধরার কথাটি শুনে আমাদের ক্রীড়া শিক্ষক বাস ড্রাইভারকে জুতা খুলে মারতে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গান-বাজনা এবং আনন্দে উল্লাসে ব্যস্ত ছিলাম ঠিক তখনই বাস ড্রাইভারের এরকম শয়তানি করে ব্রেক চেপে ধরাটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছিল। কারণ বাসের মধ্যে উপস্থিত সকলেই বাসের সিট থেকে মারাত্মকভাবে ছিটকে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।
এরপর শিক্ষক এবং বাস ড্রাইভারের সাথে তুমুল কথা তর্ক বিতর্ক হওয়ার পরে বাস ড্রাইভার আর গাড়ি-পরিচালনা করতে রাজি হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আমাদের ক্রিড়া শিক্ষক বাস মালিকের কাছে সরাসরি ফোন করেছিল। এরপর বাস মালিক সঙ্গে সঙ্গে সেই বাস ড্রাইভারকে খুব কঠিন ভাবে কিছু কথা বলেছিল। তারপর বাস মালিকের কথা বলার পরপরই বাস ড্রাইভার কোন কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়লো এবং পুনরায় বাস পরিচালনা শুরু করলো। এরপর কিছুক্ষণের জন্য আমাদের বাসের বড় আপুরা তাদের খবর পাঠ করা এবং গান-বাজনা থেকে কিছুক্ষণ বিরত ছিল। তারপর আমাদের বাংলা শিক্ষক সামাদ স্যার এসে যখন বললো, তোমরা এতো নীরব কেন? তোমরা আনন্দ-উল্লাস শুরু করো।
সামাদ স্যারের কথা শুনে বড় আপুরা পুনরায় সেই রকমের নাচ শুরু করলো। বড় আপুদের মধ্যে একজনের নাম ছিল রিতা। রিতা আপু ক্লাস টেনের ছাত্রী ছিলেন। রিতা আপুর শরীরটা ছিল অত্যান্ত মোটা। প্রথম প্রথম রিতা আপু বাসের সিটে বসেই তার মোটা মোটা হাত-পা নাড়িয়ে নাচের ভঙ্গি করেছিলেন। কিন্তু এবার সামাদ স্যারের কথা শুনে বাসের সিট থেকে নেমে সেই রকমের নাচ শুরু করেছিলেন। তার নাচ দেখে মনে হচ্ছিল সে শুধু লাফালাফিই করছে, আর কোন কিছুই নয়। মোটা মেয়ে মানুষের অদ্ভুত ধরনের নাচ দেখে আমরা সকল বন্ধুরা হেসে গড়াগড়ি। এমনকি তার নাচ দেখে আমরা লজ্জা পর্যন্ত পেয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, অন্যান্য বড় আপুরাও মুখ চেপে ধরে হাসছিল। এরপর রিতা আপু যখন লাফালাফির নাচ দেখানোর মধ্য দিয়ে ক্লান্ত হয়ে হাঁপিয়ে গেল ঠিক তখন মধু আপু নামের একজন বড় আপু নাচ শুরু করলো।
মধু আপু সত্যি অসাধারণ নাচতে পারতেন। "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, পায়ে দিয়ে সোনার নুপুর" এই গানের তালে মধু এক অসাধারণভাবে নাচলেন এবং সকলের মন জয় করলেন। আমরা বাসের মধ্যে সকলেই অত্যন্ত প্রাণ ভরে মধু আপুর নাচ উপভোগ করেছিলাম। মধু আপুর নাচ শেষ হওয়ার পরে সকল বড় আপুরা নিজ নিজ সিটে বসে পড়লো। এদিকে আমার বন্ধু রাশিদুল আমাকে হাসতে হাসতে বলেছিল, গেম স্যার আমাদেরকে বড় আপুদের বাসে বসিয়ে দিয়ে ভালোই করেছে, নয়তো এতো সুন্দর নাচ-গান আমরা উপভোগ করতে পারতাম না। এদিকে বেশ কিছুক্ষণ বড় আপুরা একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে বাসের সিটে বসে থাকলো। এত নীরব হয়ে বাসের সিটে বড় আপুদের বসে থাকা দেখে আমার অন্য আরেক বন্ধু বললো, কি ব্যাপার বড় আপুরা এতো চুপ হয়ে যাওয়ার কারণ কি? উত্তরে আমি বলেছিলাম বড় আপুরা সকলেই ক্লান্ত হয়ে গেছে, এখন তারা রেস্ট নিচ্ছে, পরে আবার নাচ-গান শুরু করবে।
তারপর প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে হঠাৎ করে বমি হওয়ার শব্দ আমার কানে আসলো। সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠেছিলাম, বড় আপুরা কি বমি করা শুরু করলো? এরপর একজন বড় আপু যখন বমি করা শুরু করলো, তার কয়েক মিনিট পরপরই সকল বড় আপুরা বমি করা শুরু করে দিল। যার বমি হচ্ছে না সে পর্যন্তও বমি করার জন্য হৈক হৈক করতে লাগলো। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসের পরিবেশ একেবারেই জঘন্য হয়ে গেল। আর মহাবিপদে পড়ে গেলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু, যারা সবে মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই জাতীয় স্মৃতিচারণ মূলক গল্পগুলো করতে আমার খুবই ভালো লাগে কারণ এই গল্পের মধ্যে দিয়ে একজন ব্যক্তির জীবনের অতীত স্মৃতি জানা যায়। ঠিক তেমনি আজকে আপনি আমাদের মাঝে আপনার ঘটনা শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার।