প্রত্যাহিক জীবনের গল্প//@shy-fox 10% beneficiary //28-08-2021
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন, আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি ।আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আমার সারাদিনের কার্যকলাপ তুলে ধরলাম। তাহলে বন্ধুরা এখন আমার সারাদিনে কার্যকলাপ আমি গল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করলাম আপনাদের মাঝে।হ্যালো বন্ধুরা
আজ ঠিক 5:30 মিনিট এ ঘুম থেকে উঠে জমিতে যাই, সবজি তোলার জন্য। সবজি গুলো তুলে বাজারে বিক্রি করতে হয়। আমাদের পার্বতীপুর শহরে প্রত্যেক দিন সকালবেলা বিশাল আকারের সবজির পাইকারি এবং খুচরা মূল্য বাজার লাগে। সেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা সবজি কেনাবেচা করে। এজন্য সকালবেলা সবজি গুলো তুলে বিক্রি করার জন্য বাজারে পাঠানো হয়।
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
তারপর ওখান থেকে নয়টার সময় আমি বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে গোসল করি তারপর খাওয়া করে আমার কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আসলে আমি দোকানে কাজ করি। আমি একটি সাইকেল নিয়ে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। দীর্ঘ 10 মিনিট সাইকেল চালানোর পর আমি পৌঁছে যাই আমার গন্তব্য স্থানে। তারপর দোকান খুলে ঝাড়ু দিয়ে দোকানের কাজকর্ম শুরু করি। আজ শুক্রবার তাই দোকানে কাজ কর্ম তাড়াতাড়ি শেষ করে বারোটার সময় আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
বাসায় আসার পর আবার গোসল করি। কিছুক্ষণ পর আজান হয় মসজিদে। তারপর আমি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে চলে যাই। তারপর নামাজ শেষ করে আবার বাসায় চলে আসি। বাসায় চলে এসে দুপুরের খাওয়া শেষ করি। খাওয়া শেষ করে দেখি বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি পরতেছে। তাই আর বাহিরে যাওয়া হলো না। তাই বিছানায় শরীরটা মিলে দিলাম, দীর্ঘ 2 ঘন্টা একটু বিশ্রাম নিলাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি চারটা বেজে গেছে। তারপর আমি উঠে ফ্রেশ হলাম আগে। তারপর চলে গেলাম আমাদের গ্রামের বাজারে। বাজারের সাথে রয়েছে একটি খেলার মাঠে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলতেছে ফুটবল খেলার আমেজ। প্রায় প্রত্যেক গ্রামে চলতেছে বিবাহিত এবং অবিবাহিত খেলোয়াড় একাদশের খেলা। তাই বাজারে আর দেরি না করে চলে গেলাম সরাসরি স্কুল মাঠের ভিতরে। স্কুল মাঠের ভিতর যখন যায় তখন আমি দেখতে পাই, আমাদের পাশের গ্রামের লক্ষণপুরের বিবাহিত এবং অবিবাহিত খেলোয়াড় একাদশের খেলা। বিবাহিত আর অবিবাহিত খেলা মানেই হইচই আনন্দ উল্লাস। খেলা হয় যেমন হাস্যকর তেমনি মজার। খেলা গুলো দেখতে সব গ্রামের লোক জড়ো হয়।
[Location] (https://w3w.co/merchant.lull.washers)
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হয়ে যায়। খেলা শুরু পাঁচ মিনিটের মধ্যে অবিবাহিত খেলোয়াড় একাদশ গোল দিয়ে দেয়। তারপর খেলার মোড় একেবারে পাল্টে যায়। দুই দল যেন বাগে বাগে লড়াই করতেছে। হাফটাইম আগে খুব ভালো খেলা উপহার দিয়েছে তারা। তারপর যখন বিরতির পর আবার খেলা শুরু হয়ে যায় খেলার কিছু মিনিট যাওয়ার পর বিবাহিত খেলার একাদশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তারা যেন পরাজিত মেনে নিয়েছে। তাদের খেলার ধরণ একেবারে চেঞ্জ হয়ে যায়। ফলে অবিবাহিত একাদশ এভাবেই একের পর এক তারা তিনটি গোল দেয়। খেলা শেষ পর্যায়ে একটি মাত্র গোল করে বিবাহিত দল। তারপর কিছুক্ষণ পরে রেফারি খেলার শেষ বার্তা জানিয়ে দেয়। খেলার ৪-১ ব্যবধানে অবিবাহিত খেলোয়াড় একাদশ জয়লাভ করে।
[Location] (https://w3w.co/merchant.lull.washers)
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
তারপর খেলা শেষ করে বন্ধুরা মিলে চলে যাই আমাদের প্রিয় শহর পার্বতীপুরে। সেখানে যাই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য। রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখি অনেক ভিড়। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকলাম, দাড়িয়ে থাকার পর কিছুক্ষণ পর আমরা চার বন্ধু মিলে বসে পড়লাম একটি টেবিলে। তারপর অর্ডার করলাম চিকেন চপের জন্য। চিকেন চপ খেতে আমার খুব ভালো লাগে, আমরা প্রায়ই যাই সেখানেই চিকেন চপ খেতে। অর্ডার করার কিছুক্ষণ পরেই আমরা চিকেন চপ নানরুটি পেয়ে যায়। তারপর আমরা মজা করে চিকেন চপ এবং নান রুটি খাই। তারপর এক কাপ চা না খেলে যেন পরান জুরায় না। তাই সবাই মিলে এক কাপ করে চা খাই। আসলে চা মানেই যেন শাহ হোটেল। এই হোটেলে সব উন্নতমানের খাবার পাওয়া যায় এবং হোটেলের পরিবেশ মান সম্মত। এখানে সকল প্রকারের মিষ্টি পাওয়া যায়।
Device | Relme | Narzo | 30 | A |
---|
তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হোটেল থেকে বাইরে রেলওয়ে স্টেশনে কিছুক্ষণ আমরা আড্ডা দেই। সেখানে প্রায় আটটা বেজে যায়। তারপর আমরা আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারপর বাসায় চলে আসি। তারপর আমি একটু ফ্রেশ হয়ে, তারপর আমি লিখতে শুরু করি আমার সারাদিনের গল্পগুলো।
বন্ধুরা আমার সারাদিনের কার্যকলাপ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখায় কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন এবং ভুলটি শুধরানোর সুযোগ করে দিবেন।
Cc-
rme
উপরের দুইটা ছবি অনেক ভালো লেগেছে ভাই।তাজা সবুজ সবজি দেখলেও মনটা ভালে হয়ে যায়।অনেক দিন পর লাঙল দিয়ে গরুর হাল চাষের দৃশ্য দেখতে পেলাম,ভালো লাগলো ভাই।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।