গল্প :- ভালবাসলেও দোষ।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। আর কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমাদের নিজেরাও জেনে রাখা ভালো। আর আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি অলৌকিক ঘটনা শেয়ার করব। এরকম কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমরা অনেকেই বিশ্বাস না করলেও আসলে কিন্তু এই বিষয়গুলো আমাদের সাথে ঘটে যায়। যাইহোক আশা করি আবার আজকের এই গল্পটি শুনে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। আমাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র গঠনা। আমাদের দূর সম্পর্কে এক ফুফাতো বোন আছে তার নাম হচ্ছে রুমকি। রুমকি অত্যন্ত ভালো এবং তার কথাবার্তা অস্বাভাবিক ভালো। রুমকি গরিব ঘরের একটি মেয়ে। হুমকির বাবা এলাকায় ছোট একটি দোকান করে। ঐ দোকান দিয়ে রুমকির ফ্যামিলি চলে। যদিও রুমকি তাদের ফ্যামিলিতে একমাত্র মেয়ে। এই কারণে রুমকির মা-বাবা সব সময় রুমকিকে অনেক আদর করে। এবং রুমকি দেখতে অনেক সুন্দর। রুমকি যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন রুমকিকে কয়েকজন ছেলে পছন্দ করে।
যদিও রুমকি কাউকে পছন্দ করতেন না এবং কথাও বলতেন না। এবং রুমকি নিজে বুঝে তার বাবা গরিব হয়তোবা অনেকে অন্যরকম ভাবে ভালবাসে। এইদিকে রুমকিদের বাড়িতে একটি ছেলে তাকে পছন্দ করে। ছেলেটি তার রিস্তা চাচাতো ভাই হয়। এবং ছেলেটি ওই সময় কলেজে পড়ালেখা করতেন। এবং ছেলেটির বাবা অনেক টাকা পয়সা ওয়ালা। বলতে গেলে ছেলেদের কোন অভাব নেই। আর ওই ছেলেটির নাম হচ্ছে ফয়সাল। ফয়সাল ছোটবেলা থেকে যাহা চাইছে তা পেয়েছে। ফয়সাল যখন রুমকিকে ভালোবাসার অফার দেয়। তখন রুমকি তার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করে।
ফয়সাল রুমকির পিছনে ফ্রাই এক বছরের উপরে ঘুরেছেন। তবে আস্তে আস্তে রুমকি ও ফয়সালের উপর দুর্বল হয়ে গেলেন। এবং রুমকি সকালবেলা ও বিকেল বেলা স্কুলে যাওয়া আসার সময় ফয়সাল রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো। এবং মাঝেমধ্যে হালকা কথা বলতে বলতে এক সময় তাদের গভীর প্রেম হয়ে গেল। যদিও প্রথমে কেউ বলতে পারে নাই তাদের প্রেম ভালোবাসা। এবং দুইজন খুব সিক্রেট ছিলেন প্রেম নিয়ে। তবে একদিন রুমকি এবং ফয়সাল কথা বলতে এক ভাবীর ঘরে গেলেন। এরপর তাদের প্রেমের কথা আস্তে আস্তে জানতে পারলো বাড়ির কিছু লোক। যদিও রুমকি এবং ফয়সাল ভাবিকে রিকোয়েস্ট করেছে কাউকে না বলার জন্য। আর ওই ভাবী তাদের ভালোবাসার পেছনে বড় গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
এবং ওই ভাবি ফয়সালের মাকে বলে দিলেন। এদিকে ফয়সালের মা ব্যাপারটি শুনে অনেক ছড়া হয়ে গেলেন রুমকির ফ্যামিলির উপর। এবং রুমকির মা-বাবা ও রুমকি কে অনেক ধরনের খারাপ ব্যবহার করলেন। এবং হুমকির বাবাকে কামলা বলেও উল্টাপাল্টা কথা বললেন। হুমকির বাবা বাড়িতে এসে একদিন রুমকিকে অনেক মারধর করলেন। যদিও ওই সময় রুমকির এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময়। এবং রুমকির বাবা বলতেছে এবং রুমকি যেন স্কুলে না যায়। তার পড়ালেখা বন্ধ সে আর পড়ালেখা করতে হবে না। এবং ব্যাপারটি ফয়সাল জানার পর সেই তেমন কোন কিছু বলল না। এদিকে ফয়সাল নীরব থাকার কারণে রুমকি অনেক কিছু বুঝে গেলেন।
এবং রুমকি ফয়সালকে জিজ্ঞেস করেছেন তাকে সে বিয়ে করবে নাকি। ফয়সাল বলেছে তার বিয়ের বয়স এখনো হয় নাই। সেই পড়ালেখা করবে এখন বিয়ে করবে না। এতে করে রুমকি আরো ভালোবাসার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এবং হুমকি বুঝতে পেরেছে হয়তো ফয়সাল টাইম পাস করার জন্য রুমকির সাথে প্রেম করেছে। এবং রুমকি ফয়সালের উপর অনেক ঘৃণা জন্মে গেল। কারণ ফয়সালের সাথে প্রেম করে তার মা-বাবাকে বাড়ির সবার কাছে ছোট করলেন। কারণ ফয়সালের মা যে ব্যবহার করেছে বাড়ির সবাই সামনে রুমকি মা-বাবাকে হয়তোবা কোনদিন এই ব্যবহার ভুলতে পারবে না।
এইদিকে রুমকি বলেছে মা-বাবাকে সেই পড়ালেখা করবে কখনো ফয়সালের মুখ পর্যন্ত দেখবে না। এবং ফয়সালের ভালোবাসা এখন রুমকির কাছে বড় ঘৃণা। আর রুমকি যখন পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেছেন তখন কলেজে ভর্তি হলেন। কিন্তু কখনো রুমকি আর ফয়সালের দিকে তাকাই নাই। এই হচ্ছে ভালোবাসার ছোট্ট একটি ঘটনা। আশাকরি আমার বাস্তব ঘটনাটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপু এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে থাকে। তবে রুমকি ঠিক করেছে ফয়সালের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে। আর এসব ছেলেদের এমন শিক্ষা দেওয়া অবশ্যই উচিত। আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপু আপনার পোস্টে অনেক লেখা ভুল রয়েছে, আশাকরি সংশোধন করে নেবেন। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভালোবাসার একপর্যায়ে এসে যখন পরিবারের লোকজনের মধ্যে বিষয়টা জানাজানি হয়ে যায় তখন সেটা একটা বড় ধরনের অশান্তির সৃষ্টি করে, এটা তো ঠিক। তবে সেই মানুষ দুইজন যদি ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু অনেকটাই সামাল দেওয়া যায় ব্যাপারটা। আমার মনে হয়, রুমকি দেরিতে হলেও ফয়সালকে ভালোবেসে ছিলো। কিন্তু ফয়সাল টাইম পাস করেছিল। সেটা যদি না করতো তাহলে অবশ্যই তার বাবা-মা যে কথাগুলো বলেছে রুমকিকে বা তার পরিবারকে, সেগুলোর প্রতিবাদ করতো।