গল্প :- ভাই বড় ধন। (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ইতিমধ্যে এই গল্পের প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজকে আবারো পরের পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এদিকে মান্নান সাহেব এবং তার ওয়াইফ দুই ছেলের ঘরে খাওয়া দাওয়া করে। একসময় দুই ভাই এক সাথে দেশে আসলেন। তখন ছোট ভাই আরিফ ঘরের কাজে একটি গাছ কাটতে লাগলো। এমন সময় গাছটির একটি অংশ গিয়ে রাহাদের রান্নাঘরের পাশে পরলো। এবং রাহাতের পাকের ঘরের কিছু অংশ ট্রেন নষ্ট হয়ে গেল। এরপর রাহাদ আরিফের সাথে ঝগড়া লেগে গেল। যদিও আরিফ বলেছিল তোমার ঘরে কাজ আমি করে দেবো। যেহেতু আমি গাছ কাটতে ঘরের অংশ ক্ষতি হয়েছে।
এমন সময় বড় ভাই রাহাদ আরিফকে বলতেছে। আমার রান্না করা ঘরে উপর না পড়ে তোর গায়ের উপর যদি পড়তো তাহলে আমার এত কষ্ট হতো না। তোমার গাছটি আমার ঘরের উপর পড়ে যতটুকু কষ্ট দিয়েছে তার চেয়ে তুমি যদি মারা যেতে আমার এত কষ্ট লাগতো না। এই কথা শুনে আরিফ একদম হতবাক হয়ে গেল। বড় ভাই কি কথা বলতেছে এগুলো কোন মানুষের ব্যবহার না। এরপরে আরিফ আর বড় ভাই রাহাদকে বলতেছে তুমি এটি কথা বলেছ নাকি দুষ্টামি করেছো। রাহাদ বলতেছে তোমার সাথে কেন আমি দুষ্টামি করবো। এরপর কিছুই বলল না তার ভাইকে।
কারণ যে ভাই আমার মরণ কামনা করে তার সাথে কথা বলার ঠিক না। আস্তে আস্তে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে লাগলো। এবং কিছুদিনের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি ভাগ করতে লাগলো। দুই ভাই বিদেশ থেকে যে জায়গা সম্পত্তি কিনেছিল তা সম্পত্তিগুলো রাহাদ নিজের নামে কিনেছে। এবং ছোট ভাই এর নামে কোন জায়গা সম্পর্কে কিনে নাই। এদিকে রাহাদ বলতেছে এই জায়গা সম্পত্তি তার নিজের টাকা কিনা। তখন আরিফ বলতেছে আমি বিদেশ থেকে যে টাকা দিয়েছি ওই টাকা তুমি কি করেছ।
এরপর মান্নান সাহেবকে তার ছেলে আরিফ জিজ্ঞেস করতেছে। আমার টাকা পয়সা দিয়ে কি করেছ। সম্পত্তি নতুন সব বড় ভাইয়ের নামে। তখন বাবা বলতেছে টাকা তো তোমার বড় ভাই দিয়েছে। এই কারণে সম্পত্তিগুলো সে তার নিজের নামে কাগজ করে নিলেন। এরপর দুই ভাই এত ঝগড়া লাগলো তারা বিগত ১২ বছর পর্যন্ত আর একজনের সাথে একজন কথা বলতেন না। যদিও আরিফ তার ভাগ্যের উপরে তার জীবন ছেড়ে দিয়েছে। আর আরিফ বিদেশ থেকে আসার পর দেশে অনেক কষ্ট করেছে। তারপর ও বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলেন না। তবে কিছুদিন আগে বড় ভাই বাংলাদেশে এক্সিডেন্ট করেছিল।
তার অবস্থা ছিল খুবই গুরুতর অবস্থা। ওই অবস্থায় হাসপাতালে আরিফ তাকে নিয়ে গেলেন। আর নিজের গায়ের রক্ত দিয়ে বড় ভাই রাহাদকে বাঁচালেন। অথচ আরিফের সাথে রাহাদ অনেক অন্যায় করেছে। কিন্তু ভাইয়ের বিপদের সময় আরিফ পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। তখন তার কষ্ট বা কথা বলে না এগুলো সব ভুলে গেল ভাইয়ের জন্য। এতে বোঝা যায় ভাই বড় ধন। আসলে রক্তের বাঁধনের উপর কোন সম্পর্ক নেই। আর এখন দুই ভাই মোটামুটি অনেক মিল আছে। এবং তাদের ওয়াইফও এখন মিল হয়ে গেল। এইজন্য বলে ভাই বড় ধন। দুজনের মিল দেখে আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। আশা করি আপনাদের ও গল্পটি অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1839636280390586399?t=YNbo-y57fHWK2_hDNxxBlA&s=19
আসলে আপু ভাই বড় ধন কিন্তু পরিস্থিতির কারণে হয়তো পৃথক হয়ে যায়। সত্যি আপু একেই বলে ভাই। শত অন্যায় করলেও ভাইয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।যাইহোক এখন দুই ভাই মিল হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার।