গল্প:- সম্পত্তি (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এর আগেও এই পড়বে প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা কোথায় আজকের পর্ব বেশ ভালো লাগবে। তারপর আদালতে তাদের জায়গা সম্পত্তির বিচার করতে একটু টাইম লাগবে। কিন্তু তারা সে ধৈর্য ধরতে রাজি না। কিছুদিন আগে দুই পক্ষ জায়গা সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া লেগে গেল। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে একে অন্যকে আঘাত করলেন। এবং কয়েকজন হাসপাতালেও গেলেন। আসলে জায়গা সম্পত্তির ঝগড়া অনেক বড় ঝগড়া। একে অন্যকে মেরে ফেলতেও ভয় করে না। তবে এখন অনেকে বলে সম্পত্তির লোভ করা ভালো না। কারণ তারা তাদের বোনদের কে ঠকিয়েছে।
সেই কারণে এখন তাদের সম্পত্তি গুলো নিয়ে ভেজাল হচ্ছে। যদিও আমার শাশুড়ি গুলো আগে সব সময় বলতে এই সম্পত্তি তারা ভোগ করতে পারবে না আল্লাহ তাদের বিচার করবে। কিন্তু এখন সত্যিই এই সম্পত্তি গুলো তারা ভোগ করতে পারছে না। এবং কি তাদের ঘরে জায়গাটি ও তাদের বাবার ভাইয়ের নামে। এবং তারা মন থেকে শান্তি নেই আর অন্যদিকে আর জায়গা সম্পত্তি ও হারাচ্ছে তারা। এদিকে বোন এবং ভাগিনা দের কোন সাপোর্ট নেই মামাদের জন্য।
আমার শাশুড়ি এবং শাশুড়ির বোন গুলো বলতেছে তারা মানুষ না অমানুষ। কারণ ভাই গুলো যে অন্যায় করেছে এই কারণে বলতেছে। কারণ বোনদের মনে অনেক বড় কষ্ট দিয়েছে। এবং তাদের হাতে যে টাকা পয়সা আছে সেগুলো তারা আইনের লড়াই লড়তে লড়তে শেষ করতেছে। কিছুদিন আগে আমার শাশুড়ির একটি ভাই আমাদের বাড়িতে আসলো। তখন আমার শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। আমার স্বামী ও বাড়িতে ছিলেন না। আমি আর মেয়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম।
তখন আমি দুপুর বেলা তার জন্য রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করালাম। আমার শ্বশুরের সাথে ভালো সম্পর্ক তারা একসাথে বসে কথা বলতেছে। এবং দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে বিকেল বেলা চলে গেলেন। বিকেলবেলা আমার শাশুড়ি আসার পর আমি বলতেছি আপনার ভাই আসলো বাড়িতে। তখন আমি জিজ্ঞেস করতেছি কি হয়েছে ভাইয়ের সাথে। আপনাকে দেখতেছি রাগান্বিত। তখন আমার শাশুড়ি বলতেছে এরা মানুষ নামের শয়তান। তখন ব্যাপারটি শুনে আমার কাছে কি যেন রহস্য মনে হল।
তখন আমি আমার শাশুড়িকে বলতেছি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেছে আমাদের বাড়িতে। আমার শাশুড়ি আর কিছু বলল না। এবং রাত্রে বেলা আমার শাশুড়ির কাছ থেকে আমি শোনার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম। আপনার ভাইদের সাথে কি ঝগড়া আছে নাকি আপনার। তখন আমার শাশুড়ি বলতেছে তারা এই কাজ করেছে আমাদের সাথে। আমাদের চারটি বোনকে তারা সম্পত্তি দেন নাই বাবার। এবং সেই সম্পত্তি গুলো শুনেছি আমার বাবার বড় ভাইয়ের নামে এখন। এই সম্পত্তি গুলো তারা খেতে পারবেনা।
এবং আমার শাশুড়ি আরো বলতেছে কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো বড়লোক হয় না। এটি তার প্রমাণ। সত্যি ব্যাপারটি শুনে খুব খারাপ লাগলো। ভাইয়েরা কিভাবে বোনেদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করল। তবে আমার শাশুড়ি বলতেছে আমরা কি জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আসতাম নাকি তোদের কাছে বিক্রি করে আসতাম। আর সে ভাই গুলো আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আর এখন তারা সে সম্পত্তি ভোগ করতে পারতেছে না। এবং তাদের বিচার আল্লাহ করতেছে। সত্যি কাউকে ঠকিয়ে কখনো কেউ কিছুই করতে পারল না। আর সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া হয় বছরের পর বছর শেষ হয় না। এই হচ্ছে আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শোনা বাস্তব কাহিনী। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1860232787128910327?t=Wky1GuFheVkFrBe4MBnsXw&s=19
কারো সম্পত্তি মেরে কেউ কখনো ভোগ করতে পারে না। প্রকৃতির বিচারের তারা অন্যের কাছে লাঞ্ছিত হবে। তবে যে মানুষগুলো বোনের সম্পত্তি দখল করে তারা মানুষের কাতারে পড়ে না। বাবার সম্পত্তি যেমন ছেলেদের অধিকার আছে তেমনি মেয়ে ধরে আছে। বাস্তবিক একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এবং শেষ পর্বটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
ঠিক বলেছেন এভাবে মন্তব্য পেলে আরও বেশি উৎসাহ পাই ধন্যবাদ আপনাকে
কিছু কিছু ভাইয়েরা এমনই হয়। সুযোগ পেলেই বোনদেরকে ঠকায়। কিন্তু এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ বাবার সম্পত্তির উপর ছেলে এবং মেয়েদের অধিকার রয়েছে। ছেলেরা বেশি পাবে এবং মেয়েরা কম পাবে। কিন্তু একেবারে না দিলে তো হয় না। সেজন্য অনেক বাবারা আগেই সম্পত্তি ছেলে মেয়েদের মাঝে ভাগাভাগি করে দেয়। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।