বাড়িতে মেহমান আসার সুন্দর মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আপনাদের সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করব।
কয়েকদিন আগে থেকেই আমরা আমাদের বাড়ির পাশে এক চাচাতো ভাইকে দাওয়াত দেওয়ার কথা ভাবতেছিলাম। কারণ চাচাতো ভাই কিছুদিন পরেই বিদেশ চলে যাবে তাই। চাচাতো ভাইয়ের সাথে আমার হাজবেন্ডের সাথে অনেক ভালো একটি সম্পর্ক ছিল। দুজনেই বিদেশে অনেক মিলেমিশে থাকতো। তাই আমার হাজব্যান্ড বাড়িতে আসার কিছুদিন পরেই তার চাচাতো ভাই ও বাড়িতে এসেছে। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড এখন আর বিদেশ যাবে না। কিন্তু ওনার চাচাতো ভাই কয়েক মাস থেকে এখন আবার বিদেশ চলে যাচ্ছে। তাই উনি ঠিক করলো ওনার চাচাতো ভাইকে বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে দাওয়াত করবে।
তাই আমরা সবাই মিলে উনার চাচাতো ভাই যাওয়ার আগে ওনাকে দাওয়াত করার জন্য আয়োজন শুরু করে দিলাম। তাই দু একদিন আগেই আমরা বাজার থেকে আমাদের যা যা প্রয়োজন হয় সবকিছুই কিনে নিয়ে চলে আসলাম। তারপর আমরা একদিন আগেই সবকিছু কেটেকুটে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম। কারণ এখন শীতকাল দিনটা খুবই ছোট। যদি আমরা সেদিন বাজার থেকে এসব কিনতে যাই তাহলে কিনে নিয়ে আসতে আসতেই দুপুর হয়ে যাবে। তাই আমরা বুদ্ধি করে আগের দিন সবকিছু নিয়ে এসে কেটেকুটে ফ্রিজে রেখে দিলাম। তারপর পরের দিন সকাল সকাল আমি আর আমার শাশুড়ি ঘুম থেকে উঠে যাই। তারপর আমরা সকালে নাস্তা শেষ করে তাড়াতাড়ি সবকিছু কেটেকুটে তৈরি করে নিয়ে নিলাম। তারপর একটা একটা করে রান্না করা আমি শুরু করলাম।
এইভাবে আমি অনেক কিছুই রান্না করে নিয়ে নিলাম। আমরা বয়লার মুরগির মাংস রান্না করলাম। তার সাথে রুই মাছ , সবজি , ভর্তা , মাংস , ডিম , সাদা ভাত , সালাত , সাথে সেভেন আপ আর আমার শাশুড়ির হাতে তৈরি স্পেশাল পোলাও। আমার শাশুড়ি পোলাও রান্না করে যেটি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি অন্য রান্না গুলো তাড়াতাড়ি শেষ করে নিয়ে নিলাম। তারপর আমার শাশুড়ি ওনার নিজের হাতে পোলাও রান্না করে নিল। কারন আমি জানি আমি যদি পোলাও রান্না করি তাহলে খেতে হয়তো তেমন একটা ভালো হবে না। তাই আমি ওনাকেই বললাম আমাকে পোলাও টা রান্না করে দিতে। তারপর উনি হাসিমুখে আমাকে পোলাও রান্না করে দিল। এই ভাবেই আমি সবকিছু রান্না করে এক এক করে টেবিলে সব আইটেম সাজিয়ে নিয়ে নিলাম। তারপর দুপুর হতে না হতে মেহমান এসে হাজির হয়ে গেল। তাদের সাথে আমার শ্বশুরও খেতে বসে গেল।
এইভাবে আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইকে আমরা খুব হাসিখুশি ভাবে দাওয়াত করে খাওয়ালাম। আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইয়ের আমার হাতের ভর্তা তৈরি টা খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। উনি বারবার বলতেছিল এই ভর্তাটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু ছিল। আমি নিজেও জানিনা কেন এই ভর্তাটি সুস্বাদু দেখেছেন। কিন্তু তাও ওনার কাছ থেকে প্রশংসা শুনে খুবই ভালো লাগলো। এইভাবে সবাই খুব মজা করে আমার হাতের তৈরি রান্না গুলো খেয়েছেন। তারপর সবাই মিলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়ার পরে আড্ডা দিলাম। তারপর বিকেল না হতে হতেই তারা তাদের বাড়িতে ফিরে এলো। আমরাও তাদেরকে খাওয়াতে পেরে খুবই খুশি হলাম। কারণ বাড়িতে মেহমান আসলে নিজেরও ভালো মন্দ খেতে পারি। তাই মেহমান আসলে আমার অনেক ভালো লাগে 🤩 আশা করি আমার এই সুন্দর মুহূর্ত টার গল্পটি শুনে আপনাদের সবারই অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | সুন্দর মুহূর্ত |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | চট্টগ্রাম |
আপনার হাজবেন্ডের চাচাত ভাই ত অনেক লাকি যে এত মজা মজার সব খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। খুব ভাল আপ্যায়ন করেছেন আপনারা। খাবারের ছবিগুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমাকেও একদিন এভাবে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবেন। ধন্যবাদ আপু।
ওটা ঠিক বলেছেন আপনি ভাইয়া আমি তো মনে করি আমরাও লাকি যে আমরাও তার উছিলায় ভালো-মন্দ খেতে পেরেছি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1610272238250659850?t=we0RsvDdAZqDrN1O3zUEhg&s=19
আপনি ঠিক বলছেন আপু মাঝে মাঝে আত্মীয়-স্বজনদেরকে একটু দাওয়াত করে খাওয়ালে তাহলে অনেক হালকা লাগে নিজেকে।আপনার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইকে দাওয়াত করে খাওয়াইছেন শুনে বেশ ভালো লেগেছে।তবে খাবারের রেসিপি গুলো বেশ লোভনীয় ছিল দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল।
ঠিক বলেছেন প্রত্যেককেই রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
সত্যি বলেছেন আপু বাড়িতে মেহমান আসলে মেহমানের উছিলায় আমরাও কিছু ভালো-মন্দ খেতে পারি। মেহমানকে খাওয়াতে পেরে আপনি খুব খুশি জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বাসায় মেহমান আসলে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। মেহমানের জন্য আপনার আয়োজনগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিভিন্ন আইটেম এর ভিতরে ভর্তা থাকলে খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে । বাড়িতে মেহমান আসার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এটি ঠিক কথা যে মেহমানদের কারণে আমরাও ভালো-মন্দ খেতে পারি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মাঝে মাঝে অতিথি আপ্যায়ন করতে ভালোই লাগে আপু! আপনার চাচাতো ভাই বাহিরে দেশে চলে যাবে! যদিও আপনার হাজবেন্ডের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। বাহিরে চলে গেলে আর খেতেও পারবে না! মজার মজার খাবারের সাথে আপ্যায়ন! সবমিলিয়ে ভালোই 🌼
ঠিক বলেছেন বিদেশে চলে গেলেন মানুষ অনেক কষ্টেই থাকে। তাই আমরাও চেষ্টা করলাম আমার হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইকে ভালো-মন্দ খাওয়ানোর জন্য।
আপনার পোষ্টটি পড়ে আজকে আমার সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে তা হল বউ শাশুড়ির মধুর সম্পর্ক। এটা ঠিকই বলেছেন শীতের দিনে বাজার করে রান্নাবাড়া করার সময়ে পাওয়া যেত না । তাই আপনারা আপনাদের চাচাতো ভাইকে খাওয়ানোর জন্য দুই একদিন আগেই বাজার করে তা রেডি করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন। আসলে বাসায় মেহমান আসলে এবং মেহমানদারী করতে আমারও বেশ ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু আমার শাশুড়ি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। এবং কি আমার কাজেও অনেক সাহায্য করে।
বাড়িতে মেহমান আসলে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাদের আপ্যায়ন করার জন্য আমি যথেষ্ট চেষ্টা করে থাকি। আপনাদের বাড়িতে মেহমান এসেছে তাই অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন নিশ্চয়। মেহমানের জন্য তো দেখি অনেক স্পেশাল অনেক কিছু তৈরি করেছেন। এত ধরনের খাবার দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করলাম সুন্দর ভাবে মেহমানদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপু বাড়িতে মেহমান আসবে বলে অনেক রেসিপি তৈরি করেছেন। আমাদেরকে সাথে দাওয়াত দিতে পারতেন। মেহমানের জন্য দেখছি অনেক খাবার তৈরি করেছেন। আমার কাছে মেহমান আসলে ভালো লাগে কিন্তু যাওয়ার সব কিছু ধোয়া-মোছা করা একদম বিরক্ত লাগে। আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদেরকে যদি দাওয়াত দিতাম তাহলে আমরা যতটুকু বেছে ছিল তাও খেতে পারতাম না।
তাই দাওয়াত দিলাম না আপু
আমারও মেহমানদের জন্য রান্না করতে এবং খাওয়াতে খুব ভালো লাগে। আপনি আপনার চাচাতো ভাইয়ের জন্য অনেক আয়োজন করেছেন দেখছি। প্রত্যেকটা রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আসলেই আপু প্রত্যেকটা রেসিপি খেতে ভীষণ সুস্বাদু ছিলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
দেখে তো ঐরকমই মনে হচ্ছিল। তবে আপনার শাশুড়ির নিজের হাতের তৈরি করা পোলাওর প্রশংসা করেনি....?🤭
এতগুলো খাবারের আইটেম দেখে তো রীতিমতো আমার আবার খিদে লেগে গেল।
উনি তো অনেক বার আমার শাশুড়ির হাতে পোলাও তৈরি খেয়েছে। তাই আজকে প্রথম আমার রান্না খেয়ে হয়তোবা আমার প্রশংসা করলেন।