গল্প:- ভুতের গল্প।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভূতের গল্প শেয়ার করব। যদিও এই গল্পটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়িতে অনেক বছরের একটা পুরানো তেতুল গাছ আছে। ওই তেঁতুল গাছের মধ্যে একটি খারাপ ভূত থাকে। যদিও ওই ভূতকে অনেকবার অনেকে দেখেছে। এবং এই রাত্রেবেলা দেখা যায় তেতুল গাছের আশপাশে। তবে ওই ভূতকে যে দেখে সেই ভয় পাই। অনেকবার নাকি অনেকেই দেখেছে এবং আমার শাশুড়ি ও দেখেছে। এই কারণে রাত্রেবেলা তেতুল গাছের দিকে কেউ যাই না।
আমার হাজব্যান্ড বিদেশ যাওয়ার আগে। তখন তাদের ঘরে মেহমান আসলো এই কারণ সে তার জেঠাতো ভাইয়ের ঘরে গিয়েছিল ঘুমাতে। যদিও ঘরটি তেতুল গাছের পাশে ছিল। হঠাৎ করে রাত্রে কি যেন আওয়াজ করতেছে। তখন আমার হাজব্যান্ড অনেক ভয় পেয়ে গেল রাত্রেবেলা। এবং ওই রুমে আমার হাজব্যান্ড একাই ছিল। এবং সে তাড়াতাড়ি ঘরে দেখতেছে কি আওয়াজ দিতেছে। এমন সময় তাকে কে যেন পিছন থেকে ধরে মেরে ফেলতেছে।
সে অনেক দোয়া পড়ে রেহাই পেলেন। এরপর সে অনেকক্ষণ আর ঘুমাইনি। যখন তার চোখে আবার ঘুম আসলো আবারো সে আওয়াজ শুনতেছে। এবং আবারও তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতেছে। সাথে সাথে আমার হাজব্যান্ড অনেক চিৎকার করে ঘরের লোকদেরকে যোগাড় করে ফেলল। এবং সেই বলতেছে আমাকে এভাবে কে যেন মেরে ফেলতে চায়। এমন সময় সে তাড়াতাড়ি করে আমার হাজবেন্ডের ঘরে চলে আসলো রাতের বেলা। তারপর সেই ভয়ে আর ওদিকে আর যেত না।
আমার শাশুড়ি বলেছে সেই অনেক মাস পর্যন্ত রাত্রে বেলা ভয় পেতেন এবং একা চলাফেরা করবেন না। এবং ওই সময় সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অনেক ডাক্তার এবং কবিরাজ দেখে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপর ওই ভূত নাকি দুপুর বেলা স্কুলের ছাত্ররা যখন তেতুলের জন্য গেল তখন তারা দেখতেছে গাছের মধ্যে বসে রইল। এরপর ছেলেগুলো চিৎকার করে ওখান থেকে ভয়ে পালালেন। সত্যি বলতো ওই তেঁতুল গাছটি এখনো আছে। দিনের বেলা মানুষ ওদিকে যায় রাত্রে বেলা কেউ যায় না।
তবে এই ভূত নাকি বাড়ির মধ্যে এসে কারো ক্ষতি করে না। যদি কেউ গিয়ে তার ক্ষতি করে তখন সে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আর তার একটা এরিয়া আছে ওই এরিয়ার মধ্যে গেলে সে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যদিও এই কথাগুলো বিগত ১০ বছর আগে কথা আমার শাশুড়ি বলে। তবে বর্তমানে তেঁতুল গাছের পাশে নতুন আরো ঘর হয়েছে। তবে এই ঘরের লোকগুলোকে সে কোন ক্ষতি করে না। এবং লোকগুলো জানে ভূত টি কোথায় থাকে। এবং ওই এরিয়ার মধ্যে কেউ যাই না। তবে গল্পটি শোনার পর আমার নিজের কাছে অনেক ভয় লাগলো। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/bdwomen2/status/1767148616400191956?t=8HftO2PNyOTNBp8wAMWhyQ&s=19
এরকম ভূতের ঘটনা মুরব্বিদের কাছ অনেক শুনেছি । তখন অনেক ভয় পেতাম বর্তমান ভূতের গল্প আমার তেমন একটা ভয় লাগাতে পারে না। মাঝে মাঝে ভূত এফএম শুনি কারণ গল্প শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাহলে তো ভয়ানক অবস্থা তেতুল গাছে বিভিন্ন খারাপ জিন মানুষকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতো। রকি ভাই তাহলে তো ভালোই খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।
রকি ভাইয়া আমার দুলাভাই মানে বোনের জামাই। গল্পের বলেছি আমার হাজব্যান্ডের কথা
আপু তেঁতুল এমনিতেই অনেক খারাপ । এই তেঁতুল গাছে সব সময় খারাপ জীন থাকে।আপনার হাসবেন্ড দোয়া দুরুদ পড়াতে রেহায় পেয়েছে। এইসব খারাপ অনেক সহজে পিছি ছাড়তে চাই না।গল্প টা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। তবে রাতে ভয় লাগবে আমার😥।
হ্যাঁ এটাই আমিও শুনেছি তেঁতুল গাছে সব সময় খারাপ জিন থাকে। সুন্দর মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে এরকম তেতুল গাছের মধ্যে ভূতের গল্প অনেক শুনেছি। আপনার হাসবেন্ডের তো ভয় পাওয়ারই কথা। একেতো তেতুল গাছে ভূতের এরকম ভয়ংকর কাহিনি রয়েছে। তার উপর আবার রাতের বেলা এমন হয়েছে। আর যারা তেঁতুল গাছের পাশে বাড়ি করেছে তাদেরও বেশ সাহস দেখছি। ভূত আছে জেনেও সেখানে বসবাস করছে। আমারই তো শুনে ভয় লাগছে।
ঐদিন আমার হাজব্যান্ড অনেক ভয় পেয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত সেই এই রাতের কথা বলে না। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভূতের গল্প পড়তে বা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। তেঁতুল গাছে ভূত থাকে এটা আমিও শুনেছি। আপনার শাশুড়ীর থেকে অনেক বছর আগে ঘটে যাওয়া ভূতের গল্প শুনেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি গল্প টি শুনে বেশ ভয় লাগছে।
হ্যাঁ এই গল্পটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছি আমি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার গল্পটি পড়ে ভয় লেগে গেলো আমারও।তেঁতুল গাছে না কি ভুত থাকে এটা শুনেছি অনেক।ভাইয়ার সাথে এমন হতো জেনে ভয় লাগছে আমার। ভালো লাগলো আপনার শ্বশুড়ির মুখের সত্যি গল্পটি শুনে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ এই ঘটনাটি ঘটেছে আরো অনেক বছর আগে। আমার হাজবেন্ডের সাথে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তুমি খুব সুন্দর করে বাস্তব একটি গল্প তুলে ধরেছ। তবে সত্যিই ঐ তেঁতুল গাছের দিকে কেউ যেতে চায় না। তবে আমি বিদেশ থেকে আসার পর এখনও ওইদিকে তেতুল গাছের পাশে যাই নাই। ঐ দিনের কথা মনে পড়লে আমার নিজের কাছে এখনো ভয় লাগে। কারণ ওই দিন দুইবার আমাকে কি যেন ধরেছে মেরে ফেলার জন্য সত্যিই আমি ওদের অনেক ভয় পেয়েছি। যাই হোক তুমি বাস্তব গল্পটি আমার মায়ের মুখ দেখে শুনে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছ। সুন্দর করে গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যাঁ ঐদিন তোমার গল্পটি আম্মার মুখ থেকে শুনে আমার নিজের কাছেও খুব ভয় লাগলো। খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছ তাই ধন্যবাদ।
ভূতের গল্প শুনতে এবং পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এই ধরনের গল্প ছোটবেলায় অনেক শুনেছিলাম। তেঁতুল গাছে এমনিতেই ভূত-পেত্নী একটু বেশিই থাকে। তাই অনেকে বাসায় তেঁতুল গাছ না রেখে কেটে ফেলে। জামাল ভাই তো তাহলে অনেক বড় একটি বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল তখন। যদিও সেই ভূত বাড়ির কারো ক্ষতি করে না, তবুও সাবধানে থাকবেন আপু। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।