গল্প:-বর্তমানে মোবাইল গেম এর কারণে বড়ই সমস্যা। (শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপর গ্রাম্য ডাক্তার দেখে বলতেছে তাড়াতাড়ি আপনারা বড় হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই সময় ছেলেটি বলতেছে তার মাথা এবং সম্পূর্ণ শরীর জ্বলতেছে। যদিও অনেক জনে অনেক মন্তব্য করতেছে কি সাপ তার পায়ে কামড় দিয়েছে। এবং বাড়ির ছেলেগুলো তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও হাসপাতাল আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এরপর একটি গাড়ি করে তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতাল নিয়ে গেল।
যদিও ওই সরকারি হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাইজদী বড় হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখানে ডাক্তার বলতেছে আপনারাও বড় ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। বড় হাসপাতাল ওই হাসপাতাল থেকে আরো অনেক দূরে। এরপর ছেলেটির মা এবং মামা তাকে বড় হাসপাতালে নিয়ে গেল। এরপর ওখানে ট্রিটমেন্ট করার পর ছেলেটি সুস্থ হয়েছে। মূলত প্রথম অবস্থায় যদি ছেলেটি লক্ষ্য করতো তাকে কি কামড় দিয়েছে তাহলে এত বড় বিপদ হতো না।
এখন বর্তমান সময়ে মোবাইল যুবক সমাজকে এতটা আকৃষ্ট করেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। শুধু মোবাইলের মধ্যে তাদের গেম খেলা নিয়ে অনেক বিপদে আছে। যখন ছেলেটিকে বাড়িতে আনলেন অনেকে তাকে দেখতে গেলেন। আসলে ছেলেগুলোর থেকে গার্জিয়ান গুলো মোবাইল গুলো নিতে চাইল। এবং বলতেছে তোমাদের হাতে মোবাইল এর কোন দরকার নেই। এরপরও ছেলেগুলো তাদের মোবাইল গুলো গার্জিয়ান কে দেয় নাই। বলতেছে আমরা মোবাইল তেমন ব্যবহার করব না।
যদিও এ নিয়ে অনেক ধরনের কথাবার্তা বাড়িতে হচ্ছে। কেউ বলে বড় লোকের বাবার ছেলেরা এরকমই হয়। তাদেরকে অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিয়েছে। আসলে বিপদ কিভাবে আসে কেউ জানে না। তবে একটু সতর্ক থাকলে অনেক সময় বড় বিপদ থেকেও বেঁচে যাই। কারণ এই ছেলেগুলো যখন গেম খেলতেছে। তখন লিমন এর পায়ে কি কামড় দিয়েছে সাথে সাথে দেখতো তাহলে তাড়াতাড়ি ছেলেটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারতেন। তাহলে ছেলেটি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা পেতেন।
যদিও এ যাত্রা ছেলে টি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন। তবে এরকম অসচেতন এর কারণে অনেক সময় বড় ধরনের বিপদ হয়ে যায়। বর্তমানে আশেপাশে অনেক ছেলে যারা বিশেষ করে গেম খেলে তারা একটু সচেতন হয়েছে। এবং তাদের গার্জিয়ান গুলো বলতেছে লিমন গেম খেলার সময় তাকে সাপে কামড় দিয়েছে। তোমরা একটু দেখেশুনে চলাফেরা করো। এই কারণে এখন আশেপাশে অনেক ছেলে একটু হলেও ভয় পাই। তবে আমার মতে ১৫ বছরের নিচে কোন ছেলেকে হাতে মোবাইল দেওয়া একদম ঠিক না। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
যাইহোক ছেলেটি বড় একটি বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল তাও যদি একটু সতর্ক থাকতো তাহলে চিকিৎসা করতে আরো সুবিধা হতো। আমিও মনে করি অতো কম বয়সে মোবাইল ব্যবহার করা ঠিক না। গেমস খেললে গেমস এর প্রতি আসক্ত বেশি হয়ে যায়। এবং পড়ালেখার অনেক সমস্যা হয়। আপনার বাস্তব গল্পটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ও সতর্কমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ছেলেটি এইবার বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন। একটু সতর্ক থাকলে আরো ভালো হতো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলছেন আপু মোবাইলের গেমস গুলোর কারণে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি মোবাইলের গেমস খেলার ক্ষেত্রে কোন উপকার হচ্ছে না। কারণ বাইরের খেলাধুলার সাথে এখনকার বাচ্চাদের কোন আকর্ষণ নেই। শুধু মোবাইল নিয়ে গেমস নিয়ে বসে থাকে। অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে গেছিল শেষমেষ হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে আসলো শুনে খুশি হলাম। তবে এভাবে মোবাইলে গেমস খেলতে না দেওয়াই উচিত।
এটি একদম ঠিক মোবাইলে গেম খেলার ক্ষেত্রে কোন উপকার আসে না বরং আরো ক্ষতি হয়। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
একেবারে ঠিক বলেছেন আপু,দক্ষিণ কোরিয়া এতো উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও, দেখতাম যে ছোটদের হাতে মোবাইল দিতো না অভিভাবকেরা। কিছু কিছু ছেলে মেয়ের হাতে মোবাইল থাকলেও, সিম থাকতো না তাদের মোবাইলে। যাইহোক ছেলেটি এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে। অবশ্যই অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া উচিত এই ব্যাপারে। কারণ মোবাইলের কারণে তাদের পড়াশোনা একেবারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার মতে ১৫ বছরের নিচে কোন ছেলে মেয়ের হাতে মোবাইল দেওয়া একদম ঠিক না। এদিকে একটু সবাই সচেতন থাকলে অনেক ভালো হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আর আজকের পর্বে সস্তি পেলাম যে তবুও সুস্থ হয়েছে ছেলেটা। ভাগ্যিস বড়ো ধরনের কোন সমস্যা হয়নি।কতোটা গেমে আসক্ত হলে এরকম হয় যে কি কামড়ে দিলো তা না দেখেই গেম খেলতে থাকে।ভাগ্যিস ডাক্তারের কাছে নিয়েছিল। আসলে বর্তমান বড়োলোক গরিব বলে কোন কথা নয় কথা বিপদ।বিপদ আসলে কখন কি ভাবে আসবে কে বলতে পারে।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছেন এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়েছেন শুনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1755968391847035214?t=sy9TEL8SHE81I3sH5t4CpQ&s=19
বর্তমান সময়ে মোবাইলের কারণে ছোট বাচ্চারা অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে এটি ঠিক পনেরো বছরের নিচে ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া একদম ঠিক না। যদিও এই ছেলেটি এবার বড় ধরনের বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেলেন। এর থেকে সবাই শিক্ষা নিয়ে সামনে ছোট বাচ্চাদের হাতে মোবাইল নাও দেওয়াটাই উত্তম। তবে এটি অনেকে বলে বড়লোকের ছেলেদের হাতে দামি দামি মোবাইল থাকে। আর সবাইকে আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করুক এটাই কামনা করি। সুন্দর করে বাস্তব গল্পটি পোস্ট করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ।
বেশ কিছুদিন হল গ্রামে এসেছি দেখছি এখানকার কিছু ছেলে দলবদ্ধ হয়ে মোবাইল গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তারা অবশ্য বয়সে ছোট। আমি এটাতে মনে করি তাদের বাবা মায়ের অবশ্যই শাসন করা উচিত তাদেরকে। এ বয়সে তাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয়। খুব সুন্দর একটি বিষয় গল্প লিখেছেন আপু বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
বেশ কিছুদিন হল গ্রামে এসেছি দেখছি এখানকার কিছু ছেলে দলবদ্ধ হয়ে মোবাইল গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তারা অবশ্য বয়সে ছোট। আমি এটাতে মনে করি তাদের বাবা মায়ের অবশ্যই শাসন করা উচিত তাদেরকে। এ বয়সে তাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয়। খুব সুন্দর একটি বিষয় গল্প লিখেছেন আপু বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।