হঠাৎ করে ঘরে প্লাস্টিকের ব্যাংক কাটার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিন তো কোনো না কোনো গল্প অথবা ডাই , পেইন্টিং নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হই। তাই আজকে ভাবলাম অন্যরকম একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হই। তাই আজকে আমি আমার সঞ্চয় করা একটি ছোট্ট ব্যাংকের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আপনারা সবাই জানেন আমি অনেক ধরনের জিনিসই তৈরি করতে পারি। সে সব জিনিস তৈরি করার পাশাপাশি আমি একটি ছোট ব্যাংকের মধ্যে কিছু টা সঞ্জয় করতাম। কারণ সঞ্চয় করলে কোন বিপদ-আপদের সময় প্রয়োজন হয়। তাই আমিও একটি প্লাস্টিকের ২০ টাকার ব্যাংক এর মধ্যে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমাতে শুরু করলাম। যাতে বিপদের সময় সেগুলো কাজে লাগে।
আমার বিয়ে হবার আগে আমি এই ব্যাংকটি কিনে নিয়েছিলাম। কারণ তখন যখন আম্মু , আব্বু , ভাইয়া কিছু টাকা দিত আমি সেগুলো অল্প অল্প করে জামাতে লাগলাম। মাঝেমধ্যে আমি আবার সেলাইয়ের কাজও করতাম। আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আমি অনেক ধরনের জিনিসই কিনেছি। তার পাশাপাশি অল্প অল্প করে যে টাকাগুলো বেঁচে যেত সেগুলা আমি আমার এই ছোট্ট প্লাস্টিকের ব্যাংক এর মধ্যে রেখে দিতাম। কারন আমি জানতাম অল্প থেকেই একদিন অনেক বেশি হয়ে যাবে। তাই চিন্তা ভাবনা করে আমি এই প্লাস্টিকের ব্যাংকের মধ্যে প্রতিদিন ৫,১০,২০,৫০ অথবা ১০০ টাকা করে জমাতে লাগলাম। কারণ যখন যা থাকতো তাই আমি অল্প অল্প করে জমাতে শুরু করি। হাতে পয়সা থাকলে সেগুলো যে খরচ করতে হবে তার কোন মানে নেই।
কারন আমি যদি একদিনে সব টাকা শেষ করে ফেলি তাহলে পরবর্তীতে কোন বিপদের সময় আমার হাত একেবারে খালি হয়ে যেতে পারে। তাই আমি যখন যা পারতাম আমার এই ব্যাংকের মধ্যে সঞ্চয় করে রাখতাম। কারণ ছোটবেলা থেকে আমার ব্যাংকে টাকা রাখতে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় ছোট ছোট মাটির ব্যাংক মেলা থেকে অনেকগুলো কিনে নিয়ে আসতাম। তখন যা পারতাম সেই মাটির ব্যাংকের মধ্যে টাকা জমাতাম। তখন বুঝতে পারতাম না টাকা জমালে সেগুলো পরবর্তীতে নিজের অনেক কাজে লাগবে। তাই অল্প কিছু টাকা হওয়ার সাথে সাথে মাটির ব্যাংকগুলো ভেঙে ফেলতাম। এখন বুঝতে পারি অল্প অল্প করে জমালে নিজের কোন কাজেই পরবর্তীতে লাগবে।
তাই আমি টাকা অপচয় না করে যেগুলো বেঁচে যেত আমি অল্প অল্প করে জমাতে থাকি। যখন স্কুলে পড়তাম তখন আম্মু অনেক টাকায় দিত আমাকে। তখনো টাকা জমাতাম অনেকগুলা। কিন্তু বুঝতে না পারার কারণে সেই ব্যাংক ভেঙে টাকাগুলো আবার খরচ করে ফেলতাম। কিন্তু এখন যখন বুঝতে পারি তখন টাকা জমালে প্রয়োজন ছাড়া সেই ব্যাংকগুলো আমি ভাঙি না। বিয়ের আগে যখন আমি এই ব্যাংকে টাকা জমাতে শুরু করি। তখন থেকেই আমি ভাবতে লাগলাম কখনো আমার বিপদে এই টাকাগুলো আমার লাগতে পারে। আপনারা সবাই জানেন এখন স্টিমেট এর দাম অনেকটাই কমে গেছে। আমার হাজব্যান্ড বিদেশ থেকে আসার পরে এখন উনিও আমার সাথে এই স্টিমিটে কাজ করা শুরু করেছে। কারন আমি ওনাকে বলেছিলাম বাইরে গেলে আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখার মত কেউ আর নেই। তাই আমাদের সাথে ওনাকে থেকে যেতে বললাম।
তারপর উনিও রাজি হয়ে গেলেন বাহিরে কোন দেশে না গিয়ে স্টিমেটে কাজ করার জন্য। এখন আমি আর আমার হাজব্যান্ড মিলেমিশে এই প্লাটফর্মে কাজ করা শুরু করি। আমার বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে আমরা দুজনেই খুবই হাসিখুশি আছি। এখন স্টিমে এর দাম কমে যাওয়ার কারণে আমার একটু অসুবিধা হয়ে পড়তেছে। তাই আমি হঠাৎ করে চিন্তা করতে লাগলাম এখন আমার কিছু টাকা লাগবে। টাকার কথা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ মনে পড়ল আমার তো আগের এটি প্লাস্টিকের ব্যাংক আছে। তারপর বাড়িতে গিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাংক টা নিয়ে আসলাম। আমার হাজব্যান্ড কে না বলে আমি আমার বোনকে দিয়ে সেই ব্যাংকটি কেটে নিয়ে নিলাম। তখন সেই ব্যাংকের মধ্যে অনেকগুলোই টাকা জমে গিয়েছে। টাকাগুলো দেখেই আমার খুবই ভালো লাগলো তখন।
কারণ তখন আমি জানতাম এই টাকাগুলো একদিন আমার বিপদে কাজে লাগবে। ব্যাংকটি তখন কাটার পরে ব্যাংকের টাকা গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। তখন আমি আর আমার বড় আপু টাকাগুলো গুনে দেখতে শুরু করলাম। তখন দেখতে পাই ব্যাংকের মধ্যে ৭৩৯৪ টাকা আছে। টাকাগুলো দেখেই খুব ভালো লাগলো নিজের কাছেই। তারপর আমার হাজব্যান্ড যখন বাসায় ফিরল আমি তাকে না জানিয়ে তার হাতে এই টাকাগুলো তুলে দিলাম। তখন উনি আমার জমানোর এই টাকাগুলো দেখেই খুব খুশি হয়ে গেল। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও এই টাকাগুলো দেখে অনেক খুশি হয়ে গেল। তখন সবার মুখে এই হাসিটা দেখে আমার নিজেরও অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই বিপদের সময় টাকা সঞ্চয় করলে সবারই কোনো না কোনো উপকারে আসতে পারেন। আজকে যখন আমি এই টাকাগুলো জমালাম তখন আমার বিপদের সময়ে এই টাকাগুলো অনেক কাজে লাগলো। তাই আমি সবাইকে বলব বেশির প্রয়োজন নেই অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমানো উচিত। আমি আবারো একটি সুন্দর মাটির ব্যাংক নেবো ভাবতেছি। কারণ আজকে যখন এই টাকাগুলো আমার বিপদে লাগলো পরবর্তীতে টাকা জমালে সেগুলো ও আমার আরো বিপদে লাগবে। তাই আজকে আমার ব্যাংকটি কাটার পোস্টটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | সুন্দর মুহূর্ত |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আপু ছোটবেলায় আমি মাটির ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করতাম কিন্তু বর্তমানে আমিও কুড়ি টাকার একটি প্লাস্টিক ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করি। বিপদের সময় কিছুটা হলেও কাজে আসে এমন ব্যাংকের টাকা। এভাবে টাকা জমাতে সত্যি খুব ভালো লাগে। আপনি ৭৩৯৪ টাকা জমিয়ে ফেলেছেন! এই টাকা গুলো দেখে আপনার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ছোটবেলার স্মৃতি সবারই খুব মনে পড়ে।
আপনার উৎসাহিত মন্তব্য পরে অনেক ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে আপনি ছোট একটি ব্যাংকের ভেতর টাকা জমিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবে যদি ব্যাংকে কিছু টাকা জমানো হয় তাহলে যে কোন বিপদ আপদে কাজে লাগে। যেমন আপনার এখন টাকা খুবই প্রয়োজন তাই আপনি আপনার আগের সেই ছোট ব্যাংকটি কেটে টাকা নিয়েছেন। দেখছি অনেক টাকাই হয়েছে। আপনি আপনার সেই ব্যাংক কাটার মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে থেকে যদি টাকা না জমাতাম তাহলে এখন হঠাৎ করে টাকা কোথাও পেতাম না।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো
আমার মতে এটা খুব ভালো উদ্যোগ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে টাকা জমা করে একদিন বড় একটা অ্যামাউন্টে তৈরি হয়।যা কোন বিপদের কাজে লাগে বেশ ভাল লাগে আমার কাছে।আপনারা দুইজনে মিলে কাজ করতেছেন স্টিমিটে খুব ভালো লেগছে শুনে।আশা করি দুইজনে একদিন এস্টিমিটে সফল হতে পারবেন শুভকামনা রইল দুইজনের জন্য।
চেষ্টা করি আমরা দুজনেই সুন্দরভাবে এস্টিমেট এর কাজ করার জন্য। আপনারা সকলেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1608015891085791234?t=qfjyIUcgbmM_gbhaymBV3Q&s=19
যখন ছোট ছিলাম তখন এরকম মেলা থেকে ছোট্ট একটি ব্যাংক কিনে নিয়ে আসতাম এবং সেখানে মাঝে মাঝে টাকা জমাতাম। যদিও বড় হবার পর থেকে এরকম আর হয়ে ওঠেনি। আপনি ছোটবেলা থেকেই টাকা সঞ্চয় করেন যেটা আপনার এই পোস্ট দেখেই বুঝলাম। আসলে মেয়েদের কাছে সবসময়ই লুকায়িত কিছু অর্থ থাকে যদিও কোন মেয়ে সেটা স্বীকার করে না হাহাহা। অনেকদিন পরে আপনার ব্যাংক এর অর্থ গুলো দেখে অবশ্যই আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেটা আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে।
টাকা মেয়েরা তাদের কাছে রাখে বলেই আপনাদেরকে পরে দরকারে দিতে পারেন। আপনারাও নিজেরা জমাতে শিখুন।
জি আপু ঠিক বলেছেন বিপদের সময় এই টাকা গুলো খুবই প্রয়োজন হয়ে থাকে।যা আমি নিজে প্রমাণ। ছোট বেলায় মেলা থেকে ব্যাংক গুলো কিনতাম। আমার খুব লোভ ছিল এই ব্যাংক গুলো প্রতি। কয়েকদিন পর পর ভেংগে ফেলতাম। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে রাখতাম।আর আপনাদের দুজনকেই এই প্লাটফর্মে কাজ করে যাচ্ছেন এইটা জেনে প্রথম থেকেই ভালো লাগছে ব্যাপারটা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমানো সবার উচিত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
সঞ্চয় করা সত্যি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিপদের সময় বেশ কাজে লাগে। আপনার হাসবেন্ড যেহেতু এখন আর বিদেশে যাবে না তাই এই প্লাটফর্মে কাজ করতে পারবে খুব সহজেই। বিপদের সময় ব্যাংকে জমানো টাকা গুলো সত্যি অনেক কাজে লাগে। বিশেষ করে ছোট ছোট মাটির ব্যাংক কিংবা প্লাস্টিকের ব্যাংকগুলোতে টাকা জমালে বিপদের সময় খুব সহজে টাকা পাওয়া যায়। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপনি বিপদের সময় এই টাকাগুলো কাজে লাগবে আমাদের।
আমরা দুজনেই চেষ্টা করি এই প্ল্যাটফর্মে সুন্দরভাবে কাজ করার।
একেই বলে বাড়ির লক্ষ্মী। অল্প অল্প কিছু টাকা সঞ্চয় করে একটা সময় অনেক টাকা পরিণত হয় যার বাস্তব প্রমাণ আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে দেখালেন। সঞ্চিত টাকা কোন বিপদের সময় কাজে লাগে। আপনি ১০ টাকা ২০ টাকা ৫০ টাকা ১০০ টাকা করে ৭৩৯৪ টাকা সঞ্চয় করে ফেলেছেন। আবার দেখে আপনারা দুজন স্টিমিটে কাজও করেন অনেক ভালো লাগলো আপু এটা জানার পরে। ধন্যবাদ আপনার সঞ্চিত টাকা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আমরা দুজনেই চেষ্টা করি সুন্দরভাবে স্টিমেটে কাজ করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপু আপনার অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে, আসলেই এভাবে টাকা জমানোর মধ্যে অনেকে আনন্দ রয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন এরকম ভাবে টাকা জমানোর খুশি অনেক বেশি লাগে।