আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা- ২২ | শেয়ার করো তোমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি

🙋 হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা 🙋

আসসালামুয়ালাইকুম, আমার প্রিয় কমিউনিটির সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এ সপ্তাহে আমাদের কমিউনিটিতে অনেক সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। এর জন্য আমি শুভ ভাইয়াকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। মোবাইল ফোন নিয়ে সত্যি সবার জীবনে কোন না কোন অনুভূতি রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারের বিষয়টাও বেশ ভালোই লেগেছে। সবাইকে দেখলাম নিজের খুব সুন্দর সুন্দর অনুভূতিগুলো শেয়ার করছে। আমারও মোবাইল ফোন নিয়ে কিছু অনুভূতি রয়েছে। আমি আমার সেই অনুভূতিগুলো আপনাদের মাঝে প্রকাশ করছি। জীবনে নিজস্ব মোবাইল হিসেব করলে হাতে পাওয়ার আনন্দ অনেক।

আমার জীবনে প্রথম মোবাইল পাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়তেছি। তখন আমার বড় ভাই বিদেশ থেকে একটি মোবাইল ঘরের জন্য দিয়েছেন। এমনিতে আমাদের ঘরে পুরানো একটি মোবাইল ছিল। তখন আমি আমার মা ও বোনদের বললাম মোবাইলটা আমাকে দিতে। মোবাইলটি ছিল নোকিয়া মোবাইল। তারপর মা এবং বোন বলল যে এখন মোবাইল দেবে না। আমি রাগে ফুলতে শুরু করলাম। কারন আমার রাগটা একটু বেশি ছিল। আমি রাগে খাওয়া-দাওয়া করতে চাইতাম না। এভাবে আরো কিছুদিন গেলো।

এরপর আমি আমার আম্মাকে আবার বললাম যে আমার মোবাইল দেওয়ার জন্য। তারপর মা আবারও সবাইকে বোঝাতে শুরু করলো। সবাই বললো, এখন মোবাইল দেওয়া যাবে না। তারপর সবাই মিলে বলতে লাগল ঠিকমতো লেখাপড়া করার জন্য। একটি মোবাইল আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তো তখন অনেক খুশি হয়ে গেলাম। আমি বললাম না আমাকে নতুন মোবাইলটি দিতে হবে। আমার ক্লাসের বান্ধবীদের হাতে এমনিতে মোবাইল ছিল। কিছুতে মা নতুন মোবাইল দেওয়ার ইচ্ছে নেই পুরাটা দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম যখন মোবাইল দেওয়ার ইচ্ছা হয়েছে নতুনটাই নিয়ে নেব। কিন্তু না আবারও তারা আমাকে পুরানো মোবাইলটা দিয়ে দিল।

এরপর আরো কিছুদিন গেলো। পরে আম্মুকে আরো সুন্দর করে বললাম যে আমার পড়ার কারণে মোবাইলটি আমাকে দেওয়ার জন্য। এরপর আমার আম্মু মোবাইলটি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করল এবং আমাকে দিয়ে দিল। সাথে সাথে মোবাইলটি পেয়ে আমার ভিন্ন রকম অনুভূতি আসলো। মোবাইলটি হাতে পাওয়ার সাথে সাথে অনেকটাই খুশি হয়ে গেলাম। একদিন স্কুলে নিয়ে গিয়ে সকল বন্ধু-বান্ধবকে আমার ফোনটি দেখিয়ে নিয়ে আসলাম। মোবাইল তো ছিল কিন্তু মোবাইলে সিম কার্ড ছিল না। কিছুদিন পর্যন্ত সেই মোবাইলটা নিয়েই ছোটখাট গেমস খেলা শুরু করলাম। এ সময় আমি রাত্রে মোবাইলে পড়ার পরে গেম খেলা চালু করে দিলাম। সাপ খেলা ও ক্রিকেট খেলা এবং ফুটবল খেলা মোবাইলটিতে ছিল। এ নিয়ে আমার আনন্দের সাথে দিন কাটতে লাগলো। পরে একটি সিম আমি নিয়ে নিলাম। তখন থেকে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলা শুরু করলাম।

তারপর যখন থেকে রখি ভাইয়েরা এস্টিমেটে কাজ করা শুরু করলো। তখন থেকে আমিও চিন্তা করলাম কাজ করা শুরু করব। কারন আমার বিভিন্ন রকম ছবি আঁকতে অনেক ভালো লাগতো। তারপর কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে তারা আমাকে এস্টিমেটের কাজগুলো শিখাতে শুরু করলো। আমিও তাদের সাথে একসাথে আনন্দ উপভোগ করে কাজগুলো করা শুরু করলাম। তখন আমাদের ঘরে থাকা পুরনো স্মার্ট মোবাইলটা চালাতে শুরু করলাম। ওখান থেকেই একটু একটু করে কাজ করা শুরু করি। এখনকার সময় পর্যন্ত কয়েকটি মোবাইল আমি ব্যবহার করেছি। কিন্তু আগেকার সেই স্মার্ট আর বাটাম মোবাইলের কথা খুব মনে পড়ে। সত্যিই অসাধারণ একটি অনুভূতি আমার মাঝে আসলো তখন। এইভাবে আমার এই অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার এই অনুভূতি আপনাদের সকলের কাছে খুব ভালো লাগবে।