"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৬৫ || ভিন্ন ধরনের হাড়িভাঙ্গা পিঠা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমাদের এবারের প্রতিযোগিতা দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। এমনিতে শীতকাল আসলে পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বেশিরভাগ সময়ে গ্রাম অঞ্চলে থেকে বিভিন্ন ধরনের পিঠাগুলো তৈরি করে। বর্তমানে অবশ্য পিঠা তৈরি করতে খুব বেশি দেখা যায় না ।
এর আগে প্রায় বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করেছি এমনকি খেয়েছি। কিন্তু এবার কি তৈরি করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরবর্তীতে ভাবলাম একটু ভিন্ন ধরনের তৈরি করি। আমি একটা রেসিপি দেখেছিলাম যেটা নাম হচ্ছে হাড়িভাঙ্গা পিঠা। তবে এই পিঠাটা আমার কাছে একটু অন্যরকম লেগেছে। কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছিল এটা তৈরি করলে ভালো লাগবে। তাই জন্য রেসিপিটা তৈরি করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সেদ্ধ আলু | কয়েকটা |
ডিম | ১টা |
মুরগির মাংস | কয়েক টুকরো |
বরবটি কুচি | কয়েকটা |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
টমেটো | ১ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
মরিচ গুঁড়ো | ৩ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১.৫ চা চামচ |
রসুন | ২ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে একটি কড়াই এর মধ্যে গরম তেল নিয়ে নিলাম। তারপর ছোট ছোট করে রাখা মাংস গুলোকে কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর মাংসগুলোর মধ্যে পেয়াজ কুঁচি, টমেটো কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি দিয়ে ভালো করে নেটে চেটে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর সব মসলা একসাথে দিয়ে আবারো ভাল করে নেড়েচেড়ে পুরোপুরি ভাজা রান্না করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর দুটি আলু সিদ্ধ করে নিয়ে নিলাম। তারপর সিদ্ধ করে রাখা আলু গুলোকে মেখে কয়েকটি হাঁড়ির মতো তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর ভাজা রান্না করে রাখা মাংসের টুকরো গুলোকে আলুর হাড়ের মধ্যে সুন্দর করে দিয়ে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
কাপড় এক এক করে আবারো গরম অল্প পরিমাপ তেলের মধ্যে দিয়ে কিছুটা ভেজে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর একটি ডিম ভেঙ্গে গুলে নিয়ে আলুর হাঁড়িগুলোর মধ্যে অল্প অল্প করে দিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপর চারপাশেও ডিমগুলো দিয়ে সুন্দর করে পুরোপুরি রেসিপিটি তৈরি করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি হাঁড়িভাঙ্গা পিঠা তৈরি করে নিয়ে নিলাম। আশা করি আমাদের পিঠার রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
ভিন্ন ধরনের হাড়িভাঙ্গা পিঠা রেসিপি দেখে অবাক হয়ে গেলাম। এত মজাদার ও ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পিঠার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে দেখে
https://x.com/bdwomen2/status/1861752743796641989?t=-9DIdRpQ0dgExyuHV6Jq5A&s=19
আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের এইবারের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।পিঠার নাম যে হাড়িভাঙ্গা হয় এটা শুনেই ভেবে নিয়েছিলাম এটি একটি ইউনিক ধরনের পিঠা হবে। যখন আস্তে আস্তে নিচে আপনার তৈরি করা পিঠাটি দেখতে লাগলাম তখন মনে হল এটি সত্যি একটি ইউনিক পিঠা। পিঠাটির ফাইনাল আউটপুট দেখে মনে হচ্ছে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার পিঠা তৈরীর প্রসেস গুলি অনুসরণ করে চেষ্টা করব আমি নিজেও বাসায় তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি করা এই রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হলাম ধন্যবাদ।
হাঁড়িভাঙা পিঠা নামটা প্রথম শুনলাম।তাই পোস্ট দেখেই তড়িঘড়ি খুলে নিলাম৷ রেসিপি দেখে বুঝলাম এতো স্টাফট পট্যাটো। আসলে সব কিছুরই এক একধরণের নাম হয়। তাই না? স্টাফট পট্যাটোর বাংলা নামটা আপনার থেকেই জেনে নিলাম। ধন্যবাদ আপু৷
আমিও নিজে এই রেসিপিটা তৈরি করে বেশ ভালোই মজা পেয়েছি আপনার ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম
একটু ঝাল ঝাল পিঠাগুলো খুবই ভালো লাগে খেতে। ভিন্ন ধরনের একটা পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। হাড়িভাঙ্গা পিঠাটা দেখে ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি এর মাধ্যমে কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
যে কোন ইউনিক পিঠা তৈরি করে খেতে নিজেদের কাছেও বেশ ভালো লাগে
হাড়িভাঙ্গা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। এই খাবারটি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। নতুন ধরনের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।
একবার হলেও চেষ্টা করে দেখবেন খেতে বেশ মজা লেগেছিল
হাড়িভাঙ্গা পিঠা কখন খাওয়া হয়নি।আলু দিয়ে বাটির মত তৈরি করে বেশ মজার পিঠা তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
চেষ্টা করেছি প্রতিটি ধাপ নিয়ে কোনভাবে তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। লোভনীয় একটি পিঠা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পিঠাটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। হাড়িভাঙ্গা পিঠা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি তবে একদিন বাসায় ট্রাই করব। ধন্যবাদ আপু লোভনীয়একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু পিঠার রেসিপি তৈরি করা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব
ভিন্ন ধরনের একটি পিঠা রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম অনেকটা পিজ্জা কোয়ালিটির তবে দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। ঝাল ঝাল এই পিঠা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভিন্ন ধরনের এই পিঠার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম