গল্প:-অভিশাপ।( প্রথম পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। আমার শাশুড়ি দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের গঠনা। এবং এই ঘটনাটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে আমি শুনলাম। একটি ফ্যামিলিতে তিনটি ভাই ছিল। এবং সবগুলো ভাই বিয়ে করে একদম সেটেল। এবং ভাই তিনটি অনেক বড় ব্যবসায়ী। যদিও ছোটকাল থেকে তাদেরকে তার মা-বাবা অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেছে। এবং অনেক বছর আগে তাদের বাবা মারা গেল। এবং মা ছেলে তিনজনের সাথে ছিল।
যদিও ছেলে তিনজনের ফ্যামিলি আলাদা । এবং তার মা ছেলে তিনজনের মধ্যে মাসে খাওয়া-দাওয়া করতেন। এক ছেলের ঘরে দশ দিন করে সেই খাওয়া-দাওয়া করত। হঠাৎ করে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মূলত তাদের মার বয়স হয়েছে এই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ল। কিন্তু ছেলেগুলো মাকে ডাক্তার দেখালো। তবে ডাক্তার বলেছে সেই পুরোপুরি সুস্থ হবে না। যতদিন হায়াত আছে সেই ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবেনা তবে কথা বলতে পারবে।
এরপর থেকে তিনজন ছেলের মায়ের উপর হঠাৎ করে বৌদের নির্যাতন চালু হয়েছে। এবং তাদের তিন ভাইয়ের নাম হচ্ছে। পারভেজ, দিদার ও জুবায়ের। পারভেজ বড় ছেলে সে অত্যন্ত ভালো মানুষ। এবং জুবায়ের ছোট ছেলে সেও তার মাকে অনেক দেখাশোনা করে। মূলত দিদার যেমন তার মাকে দেখাশুনা করেনা তার ওয়াইফও একই অবস্থায় ছিল। দশ দিন করে যখন একটি ছেলের ঘরে থাকতো তখন তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ওই ছেলের ছিল। যখন দিদারের ঘরের তার মার ১০ দিন আসতো তখন সেই ঘরে যেতে তার মা যেতে সাইতেনা ।
কারণ দিদার এর ওয়াইফ ঠিকমত তার খাওয়া দাওয়া দেই না এবং তার খেদমত করে না। এবং দিদারের ওয়াইফ তার শাশুড়ির গায়ে হাত পর্যন্ত তুলতেন। কিন্তু দিদারের মা এই কথাগুলো কাউকে বলতেন না। কারণ ছেলের মান ইজ্জত নষ্ট হয়ে যাবে। কয়েকদিন তার ছোট ছেলের ওয়াইফ এবং বড় ছেলের ওয়াইফ দেখেছে গোসল করার সময় তার গায়ে হাত তুলতেছে। বৃদ্ধ মহিলাটি গোসলের সময় কান্নাকাটি করার কারণে এরা দেখতে গেলো।
এবং দিদার ও ওয়াইফ তার গায়ে হাত তুলল দেখতেছে। যদিও পারভেজ ভাইয়ের ওয়াইফ এবং জোবায়ের ভাই এর ওয়াইফ তাদেরকে বলো। তারা দিদারকে বলার সাথে সাথে দিদার আরো গরম হয়ে গেল। তোমাদের যদি এতই ভালোবাসা থাকে তোমাদের ঘরে নিয়ে যাও। আমার ওয়াইফ অনেক কেয়ার করে আমার মাকে আমি জানি এই কথা দিদার এদেরকে বলতেছে। আসলে ভাগ্য যখন খারাপ হয় তখন হয়তোবা এরকম হয়। আজ এ পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব সবাই ভালো থাকবেন। ( চলবে )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপনার গল্পটি পড়ে প্রথমদিকে বেশ ভালই লেগেছিল আপু। আসলে তিন ছেলে তাদের মায়ের বেশ ভালোই দেখা শোনা করত।তবে দিদার তার বউয়ের জন্য মায়ের গায়ে হাত তুলল এটা সত্যি অনেক জঘন্য। যাইহোক যেহেতু তার ভাইয়েরা দেখে ফেলেছে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।ধন্যবাদ আপু পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। কিছু কিছু ছেলে মেয়ে আছে তারা মা-বাবার জন্য অনেক বড় বিপদ।
আপনার গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে আপু। কিন্তু এ ধরনের গল্প গুলো পড়লে কষ্ট পাওয়া যায়।আমাদের চারিপাশে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে।কিন্তু আমাদের দেখে কষ্ট পাওয়া ছাড়া কিছু করা থাকে না।তবে আমি বলব এই ধরনের ছেলেদের জন্য আল্লাহতালা ভয়ংকর শাস্তি লিখে রেখেছেন। তার পাশাপাশি বাবা-মার অভিশাপ বলে একটা কথা আছে। যারা বাবা মাকে কাছে পেয়েও সেবা যত্ন করতে চায় না। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। এই কাহিনীটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
যারা মা-বাবাকে পেয়ে সেবা যত্ন করে না তাদের মত মানুষ জীবনে ভালো কিছু করতে পারে না। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1760632685326917685?t=Bz4dVJZnuipb6CWkLnQ8sg&s=19
আপু আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই সমাজে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। কিন্তু মা তো তাই সবসময়ই সবকিছু সহ্য করে নেয়। সেই সুযোগই সন্তানরা কাজে লাগায়। কথায় বলে ছোট বেলায় সবাই আমার মা,আমার মা বলে কিন্তু বড় হলে তোর মা,তোর মা বলে। যখন সবাই জেনে গেলো মেজো ছেলে ও বউ মিলে তার মা কে কষ্ট দেয় এরপর এই দুঃখিনী মায়ের কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার গল্প পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
মা সবসময় ছেলেদের চিন্তা করে কিন্তু ছেলেরা কতটুকু মায়ের চিন্তা করে সেটা জানা নেই। গল্পটা পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো, যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আসলেই গল্পটি লিখতে আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লেগেছে। বিশেষ করে মায়ের সাথে যেরকম ব্যবহার তারা করল।