ফটোগ্রাফি : মেলায় তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল এবং সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু আজকে আমি একেবারে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আসলাম। যেটা হচ্ছে ফটোগ্রাফি পোস্ট। ফটোগ্রাফি করতে এখন আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এজন্য আমি যেখানে যাই ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। কিছুদিন আগে আমি এই মেলায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় বিভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি করি।
এজন্য চিন্তা করলাম মেলার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আসলে আমি মনে করি ফটোগ্রাফি করাটা একটা আর্ট। সে ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি করা কিন্তু অতটাও সহজে বিষয় নয়। কিন্তু তারপরেও সময় দিয়ে ফটোগ্রাফি সুন্দর করার চেষ্টা করি। আমি নিজেই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আশা করি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি - ১ :
একটি আয়নার ফটোগ্রাফি। মেলায় ঘোরার সময় খুবই সুন্দর একটি আয়না দেখেছিলাম। দেখেই আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের একটি ছবি তুলে ফেললাম। আয়নাটির ফ্রেম কাঠ দিয়ে তৈরি। কাঠের তৈরি আসবাবপত্র আমার এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে এমন ছোটখাটো জিনিসগুলো। আয়না যখন আমি দেখেছি তখন কিনার চিন্তা করলাম কিন্তু তুলনামূলকভাবে আয়নাটির দাম অনেক বেশি। আয়নাটি আমার কাছে সাড়ে চারশ টাকা চেয়েছিল। নাম শুনেই আমি চলে আসি। কিন্তু বাসায় এ ধরনের একটি আয়না তৈরি করার খুব ইচ্ছে রয়েছে।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ২ :
মেলাতে একটি ফুলের দোকানের ফটোগ্রাফি। আমরা যখন মেলাতে ঢুকলাম তখনই একটি ফুলের দোকান দেখলাম। ফুলের দোকান দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। ভালো লাগার কারণে ফুলের দোকানে ফটোগ্রাফি করেছি। এই দোকানের ফুল গুলো কাপড়ের তৈরি ফুল। আমার কাছে এ ধরনের ফুল গুলো একদমই ভালো লাগে দেখতে। এখানে ম্যাক্সিমাম ফুলগুলো ৩০ টাকা করে বিক্রি করে। আমি আমার ভাগ্নির জন্য কয়েকটি ফুল ক্রয় করেছিলাম। ভাগ্নিকে যখন এনে দিয়েছি সে অনেক খুশি হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ফুলগুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দিয়েছে।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ৩ :
এই হচ্ছে মেলাতে চুলের খোপার দোকানের ফটোগ্রাফি। এখানে চুল বাধার খোপাল গুলো প্রতি ফ্রিজ বিশ টাকা করে বিক্রি করতেছে। আমি দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম ফ্রিজ গুলো কত টাকায় এবং আমি একটু বেশি নিলে কত টাকা করে রাখবেন। লোকটি আমাকে বলল এক ফ্রিজ ২০ টাকা আপনি যতই ফ্রিজই নেন দাম একই হবে। সত্যি এই বয়সে লোকটি কাজ করতেছে। বৃদ্ধ লোকটি সবার সাথে অনেক সুন্দর করে কথা বলতেছে। তার কথা শুনে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আসলে ব্যবহার বংশের পরিচয়।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ৪ :
কাঠের তৈরি আসবাবপত্রের ফটোগ্রাফি। মেলাতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র দেখতে পাই। আমি যখনই কাঠের তৈরি জিনিসপত্র গুলো দেখেছি তখনই ফটোগ্রাফি করেছি। এবং আপনাদের মাঝে ওই ছবিগুলো শেয়ার করেছি। আমার মত যারা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র পছন্দ করেন তারা অবশ্যই মন্তব্যে তা বলবেন।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ৫ :
বিভিন্ন ডিজাইনের বেলুনের ফটোগ্রাফি। মেলাতে প্রবেশের পথেই ছবি তুলেছিলাম। আমি আপনাকে ছোটবেলায় এই ধরনের বেলুন অনেক পছন্দ করতাম। আমার মা আমাকে বলেছিল। সত্যি বলতে এখনো আমার এ ধরনের বেলুন দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি চিন্তা করেছিলাম আমার ভাগ্নির জন্য একটি নিব কিন্তু হাত থেকে গেলে বেলুন অনেক উপরে উঠে যায়। এক কথায় তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এজন্য আমরা ক্রয় করি নাই। চিন্তা করেছিলাম আসার সময় একটি কিনব কিন্তু তাও ব্যস্ততার কারণে কিনা হয় নাই। ছবিটা বেশ ভালো লেগেছিল। এজন্য আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ৬ :
অনেক বড় বড় সুন্দর কিছু ফুলের টবের ফটোগ্রাফি। এই দোকানটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কাপড়ের তৈরি অনেক বড় বড় ফুলসহ টব দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আমার ঘরের জন্য একটি নেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু দোকানদার আমার কাছে বারোশো টাকা দাম চেয়েছিল। দাম শুনেই আমি দোকানে আর অন্য জিনিসও দেখলাম না। কাপড়ের তৈরি ফুল দেখতে সুন্দর হলেও দামটা অনেক বেশি। মেলাতে কিন্তু জিনিসপত্র দেখতে ভালো লাগে কিন্তু দামটা অনেক বেশি থাকে। আমি আশা করি আপনাদের সবার এই ছবিটা অনেক বেশি ভালো লাগবে।
device : Redme note 9
ফটোগ্রাফি - ৭ :
এই হচ্ছে পানির মধ্যে বাচ্চাদের খেলা দেখার পাতি হাঁসের ফটোগ্রাফি। এই খেলাটি দেখতে আমি ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অবাক করার বিষয় হচ্ছে পানিগুলো একটি বড় প্লাস্টিক এর মধ্যে রাখা কোন গর্ত কিছুই নেই। শুধু প্লাস্টিক দিয়ে চারপাশ বেঁধে রেখেছে। এইখানের ছোট ছোট বাচ্চারা এই প্লাস্টিকের হাঁসটির উপরে উঠে খেলা করতেছে। ১০ মিনিট এখানে খেলা করলে ৫০ টাকা করে টিকেট কাটতে হয়। তবে এখানে ছোট বাচ্চাগুলো আসলে তারা ওঠার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে। বাচ্চাদের এই খেলা আমার কাছে অনেক ভালোই লাগলো।
device : Redme note 9
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
সত্যি মেলায় গিয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল। কারণ মেলাটা অনেক বড় ছিল। বিশেষ করে কাঠের জিনিসপত্র আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এখানেও কাঠের জিনিসপত্র গুলো দেখে ভালো লেগেছিল। তার সাথে আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকানের ফুল গুলো ভীষণ সুন্দর ছিল। আমার বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের খেলার রাইড ছিল। বিশেষ করে মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি তো অনেক মজা করলেন।
আমারও মেলায় গিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে মেলার বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।
আপনি ঠিক বলছেন ফটোগ্রাফি করা একটি আর্ট বলে মনে করি আমিও।আসলে শুধু ফুলের ফটোগ্রাফি যেমন সুন্দর তেমনি মেলায় গেলেও খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় যা ফটোগ্রাফি করলে অনেক ভালো লাগে।আপনি মেলায় যেয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে দারুণ হয়েছে।অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন মেলায় বিভিন্ন রকম জিনিস দেখতে অনেক ভালো লাগে। ছোটদের জিনিসগুলো একেবারে অসাধারণ দেখায় তখন।
মেলাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে। আসলে মেলা মানে অনেক হাসি আনন্দ মেলার মাঝে ঘুরাঘুরি। মেলাতে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । বিশেষ করে কৃত্রিম ফুল এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমরা তো দু তিনবার মেলায় ঘুরাঘুরি করেছিলাম। প্রায় দু তিন ঘণ্টা সময় এগিয়ে গিয়েছে।
যদিও আমাদের আশেপাশে তেমন একটা মেলা হয় না। আর যদিও মেলা হয় তো আমি মেলাতে যা খুব একটা পছন্দ করি না। তবে এসব মেলাতে বিভিন্ন জিনিসপত্র আসে দেখা যায়। আর বিভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস থাকে বলে মানুষের অনেক ভিড় থাকে এবং মানুষ এগুলো অনেক ক্রয় করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে কাঠের জিনিসপত্র ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম ইত্যাদি। ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি মেলাতে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।
আমার মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। কারণ ছোট বাচ্চাদের অনেক কিছু কেনাকাটা করা যায়।
আপু আমি ও আমার পরিবার নিয়ে গত শনিবার মেলায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে অনেক ফটোগ্রাফি করেছি, কিন্তু সময়ের জন্য পোস্ট করতে পারছি না, আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে অনেক সহজ হয়ে আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট করাটা, আপনি মেলার অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আমি মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করে নিলাম।