সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল এবং সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু আজকে আমি একেবারে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আসলাম। যেটা হচ্ছে ফটোগ্রাফি পোস্ট। ফটোগ্রাফি করতে এখন আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এজন্য আমি যেখানে যাই ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।
এজন্য চিন্তা করলাম ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আসলে আমি মনে করি ফটোগ্রাফি করাটা একটা আর্ট। সে ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি করা কিন্তু অতটাও সহজে বিষয় নয়। কিন্তু তারপরেও সময় দিয়ে ফটোগ্রাফি সুন্দর করার চেষ্টা করি। আমি নিজেই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আশা করি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি - ১ :
এই হচ্ছে ছোট মাশরুমের ফটোগ্রাফি। সাধারণত মাশরুম অনেক রকমের হয়ে থাকে। কিছু কিছু মাশরুম অনেক বড় হয় আবার কিছু কিছু একদম পাতলা হয়। তবে এখনকার সময় মাশরুম অনেক জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে। কারণ এখন মাশরুম চাষ করা হয়। এই মাশরুমের ফটোগ্রাফি করেছিলাম কিছুদিন আগে আমাদের ঘরের পাশ থেকে। যদিও মাশরুম দুটি একটু চিকন। তারপরও আমি অনেক সুন্দর করে মাশরুমের ফটোগ্রাফি করলাম। তাই আজকে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করলাম। আশা করি মাশরুমের ফটোগ্রাফি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ২ :
এই হচ্ছে একটি শুকনো পাতার ফটোগ্রাফি। এই পাতাটি ঝরে গেছে। এই পাতাগুলোকে আমরা বাদি গাছের পাতা বলে থাকি। পাতাটি আমাদের ঘরের সামনে যেখানে আমরা সবজি চাষ করেছি। ওখানে জালের উপর পড়ে আছে। বিকেলবেলা পাতাটি যখন আমার চোখে পড়ে তখন আমি ঘর থেকে মোবাইল নিয়ে এসে এই পাতার ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে এই পাতার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি এই পাতার ফটোগ্রাফি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ৩ :
এটি হচ্ছে বেগুনের ফটোগ্রাফি। বেগুন আমাদের অতি পরিচিত একটি সবজি। বেগুন খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই লম্পা বেগুনগুলো মাছের সাথে দিলে খেতে অনেক মজাই লাগে। তবে অনেকে বলে যার কোন গুণ নাই তার নাম হচ্ছে বেগুন। তবে বেগুনের মধ্যে অনেক পরিমাণ এলার্জি আছে। যাদের শরীরে এলার্জি আছে তারা এই বেগুন খেতে পারে না। কিছুদিন আগে আমাদের সবজি বাগান থেকে আমি এই বেগুনের ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে অনেক সুন্দর করে এই বেগুনের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ৪ :
এই হচ্ছে শিম পাতার ফটোগ্রাফি। সিম পাতাগুলো দেখলে অতি সহজে চেনা যায়। তবে সিম পাতা মানুষের শরীরের মধ্যে লাগলে সাথে সাথে ওই জায়গাটি হালকা জলে যায়। অনেকে বলে সিম পাতার মধ্যে এসিড আছে। আমার শাশুড়ি ঘরের সামনে একটি সিম গাছের মোয়া লাগিয়েছিল। ওই সিম গাছের মধ্যে অনেক সিম ধরেছে। আমি অনেকদিন আগে ওখান থেকে সিমের পাতার ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে অনেক সুন্দর করে এই সিমের পাতার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি এই সিমের পাতার ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগবে।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ৫ :
এটি হচ্ছে বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি। বেগুন ফুল একটু ভিন্ন কালারের। তবে বেগুন অনেক রকমের আছে। তাই ফুলগুলো ভিন্ন ভিন্ন কালার হয়ে থাকে। আমার হাজব্যান্ড ঘরের সামনে অনেকখানি জায়গার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি করেছে। ওখানে বিকাল বেলা আমি সবজির মধ্যে পানি দিয়ে থাকি। কিছুদিন আগে দেখি বেগুন ফুলটি ফুটে রইলো। বেগুন ফুলটি তাজা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তাই সাথে সাথে আমি ওই বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি করলাম। আশা করি বেগুনের ফটোগ্রাফার অনেক ভালো লাগবে।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ৬ :
এই হচ্ছে শুকনো মরে যাওয়া একটি বেগুন গাছের ফটোগ্রাফি। বেগুন গাছটি আমাদের সবজি বাগানের গাছ। এই গাছের মধ্যে অনেক বছর পর্যন্ত বেগুন ধরেছে। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে গাছটি আস্তে আস্তে করে মরে যাচ্ছে। গাছটি যখন একদম মরে গেছে তখন আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছি। আমি এই বাড়িতে আসার পর থেকে কিছুদিন পর পর এই গাছ থেকে রান্না করার জন্য বেগুন নিতাম। যখন গাছটির সম্পূর্ণ মরে গেল তখন আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। তাই আজকে বেগুন মরা গাছের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
device : Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফি - ৭ :
এই হচ্ছে ছোট নদীর ফটোগ্রাফি। এই নদীটি আমার হাজবেন্ডের বাড়ির একদম পাশে। আমি বিয়ের পর থেকে এই নদীর ধারে ঘুরতে অনেকবার গিয়েছি। তাদের বাড়ি থেকে চার পাঁচ মিনিট লাগে নদীটির ধারে যেতে। সত্যি বলতে বিকেল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে গেলে অনেক ভালোই লাগে। কিছুদিন আগে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে এই নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম। তখন আমি অনেক সুন্দর করে এই ছোট ফেনী নদীর ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে অনেক সুন্দর করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার ছোট নদীর ফটোগ্রাফি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Samsung galaxy a7
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আজকে আপনি বেশ দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমাদের সকলের খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির সাথে চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। মাশরুমের ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ফুল, প্রকৃতি পরিবেশ এবং শুকনা পাতার এত দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
মাশরুমের ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে খুশি হলাম।
আপু আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। সবশেষের নদীর ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আমি সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি দেখে আমি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছি কারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম আপু। এভাবে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
সুন্দর কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।বিশেষ করে প্রাকৃতিক কোন সৌন্দর্য দেখলে আমি ক্যামেরাবন্দি করতে মিস করিনা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ফটোগ্রাফির প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।