গল্প:- প্রথম সংসারের বাচ্চার কাহিনী।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি বাস্তব একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমাদের এলাকার একটি ঘটনা। আমাদের পাশের বাড়ির এক লোক কে তাদের ফ্যামিলি বিয়ে করিয়েছিলেন। প্রায় বিগত ১২-১৩ বছর আগে। ওই সংসারে তাদের একটিমাত্র মেয়ে হয়েছিল। মেয়েটি যখন দুনিয়াতে আসলো তখন তার মা-বাবা তাকে অনেক আদর করতেন। মেয়েটির বাবা একটি ছোটখাটো দোকান করতেন। একদিন হঠাৎ করে মেয়েটির মা অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেলেন মেয়েটিকে রেখে। যে ছেলেটির সাথে পালিয়েছেন তিনি হচ্ছে মেয়েটির বাবার আপন খালাতো ভাই। তখন মাগরিবের পর মেয়েটি কান্নাকাটি করতে লাগলো। তখন পাশ থেকে তার দাদি এবং চাষী বলতে লাগল কেন কান্নাকাটি করতেছে।

মেয়েটির মায়ের নাম ধরে অনেক ডাকাডাকি করলেন। এসে দেখতেছে ঘরের মধ্যে মেয়েটির মা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মেয়েটির মাকে পেলেন না। তারপর মেয়েটির নানার বাড়িতে অনেক খোঁজ করলেন। এদিকে মেয়ের বাবা ও এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন মেয়েটির মাকে। কিছুদিন পরে মেয়েটির মার সন্ধান পাওয়া গেল তার খালাতো দেবরের সাথে পালিয়ে গেছে। এই নিয়ে খালাতো খালাতো ভাই অনেক ঝগড়া এবং মেয়ের মার বাড়ির সাথে ঝগড়া হয়। মেয়েটির বাবার নাম হচ্ছে কাওসার। এদিকে কাওসার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোক অনেক বাজে কথা বলতে লাগলো।

বলতেছে কাওসার ভাই তার মেয়েকে মারধর করে এই কারণে সে অন্য লোকের সাথে পালিয়ে গেছে। এরপর কাওসার ভাই অন্য জায়গায় বিয়ে করলেন। এভাবে অনেক বছর কেটে গেল। পরবর্তী যে সংসারে কাউসার ভাই বিয়ে করেছেন ওখানে দুটি ছেলে সন্তান হয়েছে। অথচ কাওসার ভাইয়ের পরবর্তী ওয়াইফ তার স্বামীর আগের ঘরের মেয়েকে বিলকুল দেখতে পারে না। আগের সংসারের মেয়েটির নাম হচ্ছে সামিয়া। সামিয়ার বাবা কাওসার ভাই ও বউয়ের কথা শুনে তার আগের ঘরের বাচ্চাকে মারধর করে।

অথচ সামিয়া এখন বয়স ১০ থেকে ১১ বছর। সামিয়া ভালো-মন্দ সব এখন বুঝে। সামিয়া তার বাবার পরের ঘরের ভাই দুটিকে অনেক আদর করে। কিন্তু তার সৎ মা তাকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া দেয় না। সারাক্ষণ মেয়েটিকে দিয়ে কাজ করায়। এদিকে মেয়েটির দাদুও মারা গেছে। অথচ মেয়েটির দাদু জীবিত থাকলে মেয়েটির জন্য একটু ভালো হতো। সামিয়ার মায়ের কারণে সামিয়ার ও মানুষের কাছে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয়। আবার অনেকে এভাবেই বলতে থাকে সামিয়া ও বড় হলে মায়ের মত হবে। তবে একটা বিষয় হচ্ছে সামিয়ার বাবা আগে সামিয়াকে অনেক আদর করতেন।

অথচ পরবর্তী বিয়ে করার কারণে আপন বাবাও আর মেয়েকে দেখতে পারে না। এদিকে সামিয়ার মা যেখানে বিয়ে হয়েছে সেখানে থাকেন। কখনো সামিয়ার আর খোঁজ খবরও নেয় না। সামিয়ার মায়ের কারণে আজ মেয়েটির এত কষ্ট হচ্ছে। তবে একটা জিনিস অনেক খারাপ লাগে মা-বাবার অপরাধের কারণে মেয়েটি আজ অনেক কষ্ট করতেছে। যেখানে মেয়েটিকে সবাই এত আদর করার কথা ছিল। আজ মেয়েটি সেখানে অবহেলিত। একটাই বিষয় হচ্ছে যখন তাদের স্বামী স্ত্রী মিল ছিল না। তখন তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার ছিল।

সামিয়া হওয়ার দুই বছর পর তার মা যে কাজটি করেছে। এই কারণে সামিয়া যত বছর বেঁচে থাকবে। তত বছর সে বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছ থেকে বাজে কথা শুনবে। মায়ের শাস্তি এখন মেয়ে পাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সৎ মা তাকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া দেয় না। শুধু কাম কাজ করাই আর একটু এদিকে মেয়েটিকে মারধর করে। এই হচ্ছে প্রথম সংসারের বাচ্চার কাহিনী।

ধন্যবাদ সবাইকে