সুস্বাদু বড়ই আচার তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজের করা রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হচ্ছে। তাই সব সময় ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগে আমি আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে বড়ই পেরেছিলাম। বড়ই পাড়ার সুন্দর মুহূর্তটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছে। সেই মজাদার মিষ্টি বড়ই গুলো আমরা আমাদের ছাদে শুকিয়ে আজকে আচার তৈরি করলাম।তাই আজকে আমি ভাবলাম সেই বড়ইয়ের আচারের রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। বড়ই গুলো খেতে যেমন সুস্বাদু ছিল ঠিক তেমনি বড়ইয়ের আচার অনেক মজা ছিল। আমার তো এরকম টক ঝাল মিষ্টি আচার খেতে অনেক ভালো। নিজেদের গাছের বড়ই আচার দিয়ে খেতে বেশ ভালো লেগেছে। আমার তো এরকম রেসিপিগুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সবারও খুবই পছন্দ হবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বড়ই | ৫০০ গ্রাম |
লবণ | স্বাদমতো |
শুকনো মরিচ | ৪-৫ টা |
রসুন | ৩ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
চিনি | ১ কাপ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
পাচপুরন | ৫০ গ্রাম |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কড়াই এর মধ্যে তেল ফুটন্ত ভাবে গরম করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর গরম তেলের মধ্যে রসুন বাটা আর কিছু মশলা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
কিছু ভেজে নেওয়া শুভ মরিচ সেই মসলাগুলোর মধ্যে দিয়ে আবারও নেটে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
শুকনো বড়ই গুলোকে মশলার মধ্যে সুন্দরভাবে ঢেলে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর বড়ই হলো একটু নেটে ছেড়ে নিয়ে নিলাম। তারপর তার মধ্যে পরিমাপ মতো কিছু চিনি ঢেলে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর শুকনা বড়ই গুলোকে চিনির মধ্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নেটে ছেড়ে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর গুলোকে আরো ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ করে ভাজা ভাজা করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপর সব মসলার সাথে সুন্দর ভাবে মিশিয়ে চমৎকার একটি বড়ই আচারের রেসিপি তৈরি করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এইভাবে পুরো বড়ইয়ের রেসিপিটি শেষ করে নিলাম। আশা করি আমাদের রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটা টক বড়ই গাছ ছিল, সেই গাছের বড়ই পেকে গেলে সেখান থেকে বড়ই পেরে আমার ঠাকুরমা আচার তৈরি করত, ঠিক আপনি যেমন তৈরি করেছেন। প্রসেস একেবারেই same তবে আপনার ডেকোরেশন অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
আসলে এরকম মজাদার বড়ই পেড়ে আচার তৈরি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1665001562165633024?t=_npXQMnTD3kvdENRxTNLJw&s=19
আপু পাশের বাড়ির গাছ থেকে বড়ই পেরে শুকিয়ে আচার দিলেন।বড়ইয়ের আচার খেতে বেশ মজাই লাগে।আমি আচার খেতে ভীষণ পছন্দ করি।আপনার আচার বানানো দেখে লোভ লেগে গেলো আপু।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপু মজার এই আচার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের বাড়ির পাশে বড়ই গাছে প্রচুর বড়ই ধরে ছিল। আচার ও খেতে ভীষণ সুস্বাদু লেগেছে।
আপনার রেসিপি টা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে আসলো 😅 আপনার রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার নিজের কাছেও বড় হয়ে আচার খেতে ভীষণ সুস্বাদু লেগেছিল।
আপু আপনি দেখছি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন সেটি হচ্ছে সুস্বাদু বড়ই আচার তৈরি। দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে আপু একলা খাইলে তো হবে না একটু দাওয়াত করেও তো খাওয়াতে পারেন। শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বড়ই এর আচার আমার খুব ভালো লাগে খেতে। বড়ই এর আচার অনেক খেয়েছি তবে কিভাবে তৈরী করতে হয় সেটা দেখিনি। আপনি বড়ই এর আচার তৈরীর ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আচার এর রং খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে আচার তৈরি করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে তৈরি করার জন্য।
আপনার মত যদি আমার একটা পাশের বাড়ি থাকতো আর এমন বড়ই থাকতো! তাহলে তো আমি প্রতিদিনই বরই পেরে লবণ মরিচ মাখিয়ে খেতাম। সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন আপু। রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
আসলেই মরিচ মাখিয়ে খেতে বড়ই ভীষণ সুস্বাদু লেগেছে।
বড়ইয়ের আচার আমার খুবই পছন্দের। আর নিজেদের গাছের বড়ই আচার হলে তো কথাই নেই। দেখে জিভে জল চলে আসলো । খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আচার তৈরি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন নিজেদের গাছের বড়ই হওয়ার কারণে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লেগেছে।
এটা কিন্তু ভালো হলো না আপু। বড়ই আচার তৈরি করে একা একা খেয়ে নিয়েছেন আমাদেরকে না দিয়ে। আমার কিন্তু অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে এই বড়ই আচার রেসিপি দেখে। ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। আর আমার জন্য অবশ্যই এক্সট্রা ভাবে পাঠিয়ে দেবেন এই বড়ই আচার। দেখেই বুঝতে পারছি বেশ মজাদার এবং লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটা। মনে হচ্ছে সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট শেয়ার করলেন আপনি।
সোনিয়া আপুকে কিছু আচার দিয়েছিলাম আমি।
আপনাকে দেই নাই আগে তো জানতাম না
আপনার মতো টক ঝাল মিষ্টি আচার খেতে আমারও খুব ভালো লাগে আপু। বড়ই আচার দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। বড়ই আচার আমার খুব পছন্দ। বড়ই আচারের কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। এমন মুখরোচক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও ভীষণ ভালো লাগে মিষ্টি বড়ইয়ের আচার খেতে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ